Logo
আজঃ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম

দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা পিন্ডির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়।”

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের লংমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এটাকে আমরা কখনোই বিক্রি করব না। পিন্ডির শাসন থেকে ছিনিয়ে আনা এই স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণ করার মতো রক্ত আমাদের নেই।”

রুহুল কবির রিজভী ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে বলেন, “দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী আজ এক ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিয়েছে। অথচ এই শাসকগোষ্ঠী গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রকামী দেশগুলোর নিকট নিন্দিত। ভারত যদিও গণতান্ত্রিক দেশ, তাদের শাসকরা বাংলাদেশের মানুষের আত্মশক্তি ও বীরত্বকে কখনোই বুঝতে পারেনি।”

বুধবার সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ শুরু হয়। কর্মসূচি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সমাবেশের মাধ্যমে দিনব্যাপী লংমার্চ শেষ হবে।

বিআরইউ


আরও খবর



সুন্দরবনের জেলে ও বনজীবিদের আতঙ্কের নাম পুরানো নতুন বনদস্যু দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

স্ট্যাফ রিপোর্টার:

সুন্দরবনে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বনদস্যুবাহিনী।গত ছয় বছর আগে আত্মসমর্পণকারী এবং নতুনভাবে সংগঠিত দল মিলিয়ে অন্তত ১৫-২০ টি দস্যু  বাহিনী এখন সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা , চাঁদপাই  রেঞ্জের বিভিন্নএলাকায় তাদের দৌরাত্ম বেশি। এসব দস্যুরা জেলেসহ বনজীবিদের অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করছে । গত একমাসে শতাধিক জেলে অপহরণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুক্তিপন আদায় করেছে তারা। এতে জেলে ও তাদের পরিবার, বনজীবী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।জেলেও বনজীবিরা দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত যৌথ  অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।

 মৎস্য ব্যবসায়ী জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া  তিন শতাধিক জেলে বনদস্যুদের হাতে আটক  অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত  সেপ্টেম্বর শতাধিক জেলেকে জিম্মি করে বনদস্যুরা। এর মধ্যে অনেকেই গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে ফিরে এসেছে। এখনও বিভিন্ন বাহিনীর হাতে জেলেরা জিম্মী আছে বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ীরা। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মরা ভোলা,আলী বান্দা,ধঞ্চে বাড়িয়া, তেঁতুল বাড়িয়া, টিয়ার চর, আন্ধারমানিক,পশুর, শিবশাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলদস্যুদের বিচরণ বেশি। দস্যুরা বিভিন্ন নামে দল গঠন করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আগের আত্মসমর্পণকারী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এগুলো। এসব বাহিনীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর বাহিনী, মনজুর বাহিনী, দাদা ভাই বাহিনী অস্ত্র ও সদস্য  সংখ্যায় বেশিও দুর্ধর্ষ। এই তিন বাহিনীর সদস্যরা আগে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবন জীবনে ফিরে গিয়েছিল। এছাড়া করিম- শরিফ বাহিনী, আসাদুর বাহিনী, দয়াল বাহিনী, রবি বাহিনী, দুলাভাই বাহিনী, রাঙ্গাবাহিনি, সুমন বাহিনী, আনোয়ারুল বাহিনী, হান্নান বাহিনী ও আলিফ বাহিনীর নাম উল্লেখযোগ্য। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বনসংলগ্ন এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি দস্যুদের  মধ্যস্থতাকারী ও সোর্স হিসেবে কাজ করছেন। তারা অপহৃত হয়ে জিম্মি থাকা জেলেদের পরিবার ও তাদের মহাজনদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে চাঁদার টাকা আদায় করে দস্যু বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন দস্যু বাহিনী নিজ নিজ সংকেত বসানো টোকেন দিচ্ছে জেলেদেরকে।  জলদস্যুর দেওয়া টোকেন সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনে যেকোনো জায়গায় মাছ ধরলে তারা নিরাপদ থাকে। টোকেনের মাধ্যমে সুন্দর বনে মাছ ধরার অনুমতি পায়।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরণখোলার একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, দস্যুদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা নিরাপদ নয়। বনের পাশে জেলে মৎস্য আরতের আশে-পাশে দস্যুদের প্রতিনিধি বা সোর্স ঘোরাফেরা করে। তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জানতে পারলে পরবর্তিতে  বনে গেলে জেলেদের উপরে বাড়ে নির্যাতন ও চাঁদার অংক। এই ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে জেলে বা মহাজন কেহই মুখ খুলছেন না। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য বনে জেলেদের পাঠালে নৌকা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। অপহরণের ঘটনায় মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হয় ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।

 কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায় ২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সুন্দরবনের দস্যুদের উৎপাত শুরু হয়েছে। এরপর থেকে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দস্যু দমনে অভিযান এবং তাদের অবস্থান সনাক্তকরণে গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। গত তিন অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ২৭ টি অভিযান পরিচালনা করেছে কোস্টগার্ড এতে  বাহিনী প্রধান সহ ৪৪ জন বনদস্যু এবং তাদের সহযোগীদের আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশি-বিদেশি ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র ৪৩ টি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।  ১৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩৬৯ টি ফাঁকা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  বনদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ৪৮ জেলেকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী  বলেন, সুন্দরবনে যে ভাবে দস্যুদল হানা করতে শুরু করেছে তাতে  শুটকি মৌসুমে দুবলা সহ বিভিন্ন চরে তাদের নির্ধারিত রেভিনিউ যআদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা ব্যাহত হতে পারে। তিনি দস্যু দমনে ঊর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

শরণখোলা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি বেলাল হোসেন মিলন বলেন জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন জেলখানায় বন্দি থাকা চিহ্নিত অপরাধী দাগি আসামি ও অনেক আত্মসমর্পণকারী বনদস্য জেল থেকে অস্ত্র সহ পালিয়ে গেছে তারা এখন গোটা সুন্দরবন চষে বেড়াচ্ছে। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। 



মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

শরণখোলা ,বাগেরহাট


আরও খবর



৭০ বছরের বৃদ্ধার ধর্ষণ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় ৭০ বছর বয়সী নারী কে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায়  সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেফতার করে  দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরীফ আল রাজীবের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় ৭০ বছর বয়সী নারী ছাগল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীটি  গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নির্যাতিত নারীটি এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে  স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

পুলিশ সুপার গ্রহণকালে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে  কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। 

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজা খানম মিতা, সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক নিয়াজ আক্তার ইয়াসমিন।

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি।



আরও খবর



প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকায় এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া যায়নি : ইসি সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ

       জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলা প্রতীক চাইলেও তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে বলেও তিনি জানান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইসির সিনিয়র সচিব।

তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ইসির অবস্থান একই। যেহেতু নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এটা নাই। অর্থাৎ দেওয়ার সুযোগ নাই। আমরা ওনাদেরকে (এনসিপি) একটা চিঠি দিয়েছি যে, আগামী ১৯ তারিখের মধ্যে বিকল্প চাহিত প্রতীক জানাবেন। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যদি না জানান, তাহলে নিজ বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

দু’টি দলের বাইরে আরো ১২টি দলের নিবন্ধনের তথ্য পুনঃযাচাই চলছে বলে জানিয়ে আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও মাঠ পযায়ে তথ্য অনুসন্ধান চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব দলের মধ্যে কোনটি নিবন্ধন পাচ্ছে তা চূড়ান্ত করা হবে।’

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা ১২টি রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে অতিরিক্ত তথ্যানুসন্ধান করার জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছি। কিছু তথ্য মাঠ পর্যায় থেকেও নিতে হচ্ছে। সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায় দু’টি মিলিয়ে এই তথ্যা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে এর একটা সমাধানে আসতে পারবো এবং অবস্থান ক্লিয়ার করবো।

সচিব বলেন, আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা চলমান আছে। আগামী ২০ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যে সমস্ত সংস্থা জড়িত যেমন- সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী এবং অন্যান্য যারা আছেন তাদেরকে কমিশন সচিবালয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো আগামী অক্টোবর। পাশাপাশি প্রবাসী ভোটারদের কাজের অগ্রগতি আছে। এ সংক্রান্ত অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন করতে পারবো।

তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রস্তুতির পর্ব সম্পন্ন করেছি। আরো কিছু প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। প্রস্তুতি একটা চলমান প্রক্রিয়া, এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন পরবর্তীতে আরেকটা নির্বাচনের প্রস্তুতি হবে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের। কাজেই এটি চলমান প্রক্রিয়া।


আরও খবর



নয় বছরেও হয়নি তিন সাঁওতাল হত্যার ‎বিচার : বাস্তব রূপ পায়নি আশার বাণী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ২০জন দেখেছেন

Image

স্ট্যাফ রিপোর্টার: নয় বছরেও গাইবান্ধার তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার হয়নি, বাস্তবায়িত হয়নি কোনো আশার বাণী। নির্যাতনের শিকার আদিবাসী সাঁওতালরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

‎বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় ‘সাঁওতাল হত্যা দিবসে’ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বরের ঘটনার করুণ কাহিনী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আহতরা উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে কেউ পঙ্গু, কেউ শরীরে গুলির স্প্রিন্টার নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কর্মক্ষমতা হারিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাসের বাণী শোনালেও তার কোনোটিরই বাস্তবায়ন হয়নি আজও।

‎সমাবেশে সাঁওতাল হত্যার বিচার, আসামিদের গ্রেপ্তার, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। 

‎এর আগে সকাল থেকে নানান আয়োজনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালিত হয়। সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামে নির্মিত অস্থায়ী শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে কালো পতাকা, সাঁওতালদের ঐতিহ্য তীর-ধনুক, ব্যানার, বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়। 

‎সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, গোবিন্দগঞ্জ ও ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটি, ঢাকা এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।  

‎সাহেবগঞ্জ নিমতলা মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি গণেশ মুরমু। এতে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি রেবেকা সরেন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রভাত টুডু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আহবায়ক আতোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন মোল্লা, আদিবাসী নেতা রাফোয়েল হাসদা, কামিল হেমব্রম, সমাজকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা প্রমুখ।

‎এদিকে, গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সাঁওতাল হত্যা দিবসের আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাহেবগঞ্জ- বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির একাংশের সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খায়রুল কবির, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আদিবাসী নেত্রী বিচিত্রা তিরকিত, গাইবান্ধা আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সমাজকর্মী মোর্শেদ হাসান দীপন প্রমুখ। 

‎উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা সাঁওতালদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন সাঁওতাল আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিন- সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান।

মোঃ জিল্লুর রহমান ‎‎গাইবান্ধা প্রতিনিধি।



আরও খবর



বিপিএলের পাঁচ দলের নাম প্রকাশ করল বিসিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ২৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ

আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পাঁচ দলের নাম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

মালিকানা পরিবর্তনের সময় বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নাম পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। যা ভক্তদের হতাশ করে। 

বিপিএলের দ্বাদশ আসর পাঁচটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে, সেটি দু’দিন আগেই ঘোষণা করেছিল বিসিবি। আনুষ্ঠিতভাবে আজ দলগুলোর নাম ঘোষণা করল বিসিবি। 

ফ্র্যাঞ্চাইজি নিবন্ধন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ হবার পর টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অনুমোদন দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। 

পাঁচটি দলের মধ্যে দু’টির নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ঐ দু’টি দল হল - ঢাকা ক্যাপিটালস এবং রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ক্যাপিটালস পরিচালনা করবেন রিমার্ক হারলেন এবং রংপুর রাইডার্সের দায়িত্ব থাকবে বসুন্ধরা কিংসের হাতে। 

চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় থাকছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড। দলটির নাম দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। 

নাবিল গ্রুপের মালিকাধীন রাজশাহীর নাম হবে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এছাড়াও সিলেট টাইটান্স ‘ক্রিকেট উইথ সামি'-এর মালিকানাধীন থাকবে। 

যদিও প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মালিকানা দিয়েছে বিসিবি। তবে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাতে না পারলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিসিবির এক কর্মকর্তা। 

আগামী ১৭ নভেম্বর বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। বিপিএলের ১২তম আসর শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর এবং ১৬ জানুয়ারি ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে।

বিপিএল দল :

১. ঢাকা ক্যাপিটালস
২. চট্টগ্রাম রয়্যালস
৩. রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
৪. রংপুর রাইডার্স
৫. সিলেট টাইটানস


আরও খবর