Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

দেড় যুগ পর আগামীকাল ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ভোলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেড় যুগ পর ভোলা জেলায় কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে ভোলা জেলায় জামায়াতে ইসলামীর সর্বশেষ বৃহৎ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এই দীর্ঘ বিরতির পর আবারও দলটি তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ভোলায় এমন একটি সমাবেশ আয়োজন করছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার আমীর, ভোলা ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মুহাম্মদ জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এম. পি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এ্যাড. মুহাম্মদ মুয়াযযম হোসাইন (হেলাল), কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য এ. কে. এম ফখরুদ্দিন খান রাযী।

জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলার শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, এই কর্মী সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখা, সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা। এছাড়া, সমাবেশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, যারা ভোলার জামায়াত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।

সমাবেশে দলের নেতৃবৃন্দ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন, বিশেষ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, এবং দলের আদর্শ ও মূলনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশের মাধ্যমে দলের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনঃনির্ধারণ করবেন।

এদিকে ভোলা জেলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সমাবেশের স্থানসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকল ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এই কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, জামায়াতে ইসলামী কি পুনরায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে? বিশেষ করে গত কয়েক বছরে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং এর মধ্যে জামায়াতের এই কর্মী সমাবেশ বিশেষভাবে নজরকাড়া। যদিও দলটি অতীতে বেশ কিছু বিতর্কিত অবস্থানে ছিল, তবে এবার তারা আবারও নিজেদের রাজনৈতিক ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভোলা জেলায় জামায়াতে ইসলামী একসময় রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য বেশ পরিচিত ছিল। তারা স্থানীয় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেও স্থানীয় জনগণের মাঝে প্রভাব বিস্তার করেছে। যদিও বিগত বছরগুলোতে জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যক্রম অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছিল, তবে এবার তারা নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

এ দীর্ঘ বিরতির পর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ ভোলায় অনুষ্ঠিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনা। দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, এই সমাবেশ তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে এবং আগামী দিনের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা প্রদান করবে। তবে, এই কর্মী সমাবেশের পর কী ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা সদর উপজেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। মতবিনিময় সভায় জামায়াতের জেলা ও উপজেলা নেতারা ২৫ জানুয়ারির কর্মী সমাবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় জামায়াত নেতারা বলেন ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ দেড় যুগ পর শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলার কর্মী সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সমাবেশ স্মরণকালের সেরা সমাবেশ হবে বলেও জানিয়েছেন জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত কুম্ভ মেলায় পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে পবিত্র স্নান করতে আসা লাখ লাখ পূণ্যার্থীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। শোকাবহ এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন, তবে এখনও সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানানো হয়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হাজার হাজার পূণ্যার্থী গঙ্গাস্নান করতে নদীর তীরে জড়ো হয়েছিলেন। পরদিন সূর্যোদয়ের আগেই তারা স্নান করতে এগিয়ে যান, কিন্তু ভিড়ের চাপে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা। উপাসকদের মধ্যে কেউ কেউ স্নান করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখনই আচমকা ধাক্কায় উপাসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় নদীর তীরে বসে থাকা মানুষের ওপর পড়েন অনেকেই এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, হাসপাতালের মর্গে আরও ২৫টি মরদেহ আনা হয়। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থাকা এক চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫ জন নিহত হলেও পরে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জনে পৌঁছেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভিড় করছে।

এ ঘটনায় কুম্ভ মেলার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় রাত ২টার দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কাছে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। পুলিশ বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে, তবে ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পদদলনের পর ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের জামাকাপড়, জুতা, কম্বল ও ব্যাগ। সারা দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ, যেখানে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী শ্বেতা ত্রিপাঠী বলেন, "আমরা দেখেছি মানুষ পড়ে যাচ্ছে, চারপাশে কাপড়, ব্যাগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছিল যে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।"

প্রসঙ্গত, কুম্ভ মেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি ১২ বছর পরপর কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে পরিচিত। ১৪৪ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় মহাকুম্ভ মেলা, যা প্রায় ৮০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এবারের কুম্ভ মেলায় ৪০ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মেলায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ পূণ্যার্থী বিশ্বাস করেন, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করে তারা অশেষ পুণ্য লাভ করেন। তবে এই স্নান উৎসবের মাঝে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যা সবার হৃদয়ে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নির্বাচনই জনগণের অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায় : তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বললেন, নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপি অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে জনগণ মেনে নেবে না। 

তারেক রহমান বলেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার থাকা উচিৎ। দেশের সংকট মোকাবেলায় নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। 

বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সব কিছু পালিত হয়। সুতরাং কোনো কিছুকে শুদ্ধ রাখার জন্য রাজনীতির বাইরে রাখা বা ঊর্ধ্বে রাখা এটি না করে বরং রাজনীতিটাই আমাদের শুদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজনীতিটা শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের রায় পেয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা কমিশন গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপে নেওয়া হবে।


আরও খবর



সড়ক ছেড়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছেন গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা আজ (রোববার) দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করার পর অবশেষে মিরপুর সড়ক ছেড়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা হয়েছেন। তাদের প্রধান দাবী হচ্ছে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, তারা যমুনা (প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন, এবং এই আন্দোলন চলমান থাকবে।

রোববার দুপুরের পর, আন্দোলনকারীরা মিরপুর সড়কের শিশুমেলা মোড় অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং রাজধানীর বিভিন্ন অংশে জনজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তারা নিজেদের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। 

কোরবান শেখ, একজন বিক্ষোভকারী, সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে  জানান, তাঁরা সড়ক ছেড়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হচ্ছেন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে যমুনার দিকে রওনা হচ্ছেন। 

তাদের দাবি ছিল, জুলাই আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন দ্রুত করা হোক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যে চারটি ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছে, তা বাতিল করা হোক। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন যে, এই ক্যাটাগরির মাধ্যমে আহতদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া তারা দাবি করেন, অসুস্থদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক। 

আজ বিকেল ৪টার পর, তারা শিশুমেলা মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে, কিন্তু সন্ধ্যার পর আবারও যাত্রা শুরু করেন। রোববার সন্ধ্যার পর মিরপুর সড়ক ছেড়ে পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালের দিকে তারা এগিয়ে যান, তবে তাদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন।

অন্যদিকে, রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনটি রাজধানী ঢাকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি করেছে। মিরপুর সড়ক অবরোধের কারণে হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, যাদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। 

এদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


সূত্র : এফএনএস


আরও খবর



আলহাজ্ব কয়েস উদ্দিন ফাউন্ডেশনের পক্ষে থেকে দুঃস্থদের মাঝে চেক বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫২জন দেখেছেন

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিবগঞ্জে আলহাজ কয়েস উদ্দিন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায়,দুঃস্থ,প্রতিবন্ধীদের মাঝে অনুদানের টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে অসহায় দুঃস্থ ও বাক প্রতিবন্ধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকার চেক পৌঁছে দেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরি চালক প্রভাষক মাসুদ রানা।

এ এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ সময় পরিচালক মাসুদ রানা বলেন আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফজিলাতুন্নেছা নেশা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা,আত্মা প্রতিবন্ধী সেবা,মাসুদ রানা পাগল সেবার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিমাসে মাসিক ৫০০ ও ১০০০টাকা করে অনুদান দেয়ার ঘোষনা দিচ্ছি। আজকে ৫জনকে টাকার চেক দিলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যে আরো সম্প্রসারণ করবো ইনশাআল্লাহ আগে আলহাজ কয়েস উদ্দিনের রুহের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ঘোষিত-৭ জন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩" ঘোষণা ১১ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি এন্ড লাইব্রেরী এর সেমিনার রুমে "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩" এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর সহ-সভাপতি ও সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ৭ গুণী ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন,  প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, কবি মো. নূরুল আবেদীন, ডাঃ হিউবার্ড চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মীর হোসেন মিরন, সাংবাদিক উবায়দুর রহমান, ঝিন্টু দেবনাথ, লুৎফর রহমান খোকন, সুপক রঞ্জন উকিল, আশেক-ই-মোস্তফা, মোঃ রমজান আলী মুক্তি, এসিক ইয়ুথ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক শাহদাৎ শাহ, শামীমা ইসলাম, চয়নিকা রানী দাস সহ গৌরীপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


ভাষা ও সাহিত্যের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কবি ও সাহিত্যিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংবাদিকতায় ময়মনসিংহ জেলার দৈনিক প্রথম আলোর নিজেস্ব প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, দি নিউ নেশন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও মেলানন্দ উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি মো. শাহ জামাল।

 

 বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রে নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়া জেলার গবেষক, সাহিত্যিক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শাহ কামাল খান, শেরপুর জেলার গবেষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি এটিআই স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সমাজসেবায় মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য চট্রগাম জেলার কৃতি সন্তান ও খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ এবং রংপুর জেলার তৃতীয় লিঙ্গের সমাজসেবক আনোয়ারা ইসলাম রানী, একজন রুপান্তরিত নারী।


অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন ও এসিক এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায়  সমাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এক বছর অন্তর অন্তর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ও খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ২য় ধাপে জুন- জুলাই মাসে ”খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” প্রকাশ করার পর ডিসেম্বর মাসের যে কোনো একদিন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে  "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ ও ২০২৫" এর পদক ও সার্টিফিকেটসহ মোট ১৫জন বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তাছাড়া এ বছরে ’পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স-২০২৪ ও ২৫’ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে।


 ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত “দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড” নামে সংগঠনটি  তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে- ঐতিহাসিক কেল্লা বোকাইনগর অধিপতি ঈশা খাঁর অনুগত রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর নামে এই অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজন করা হয়। পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে (১) ময়মনসিংহের গেীরীপুর উপজেলায় রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর ইতিহাস অবহিত করা, ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখা ও সমৃদ্ধ করা;  (২) ইলেক্টোরাল ভোটিং সিস্টেম প্রবর্তন ও পরীক্ষামূলকভারে এর প্রয়োগ ও সাফল্য এবং ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে অ্যওয়ার্ড বিজয়ীদের ঘোষনা। (৩) বৃহত্তর জেলাগুলোতে বা বিভাগে কোন বিশিষ্টজন উল্লেখিত চার বা একাধিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের নিকট থেকে প্রোফাইল সংগ্রহ করে ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ঘোষনা করা।


খাজা ওসমান ছিলেন উত্তর-পূর্ব বাংলার একজন পাঠান সর্দার এবং মহাযোদ্ধা। বারো ভূঁইয়াদের একজন হিসেবে তিনি উত্তর বঙ্গের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ সিলেটে নবাব সমতুল্য জমিদারি করেন। তিনি ছিলেন মানসিংহ এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বাংলার সর্বশেষ আফগান সর্দার ও শাসক। তার পরাজয়ের ফলে বাকী সকল পাঠানকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং সিলেট অঞ্চলটি সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাকে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে রোমান্টিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। বাহারিস্তান-ই-গায়বী, তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী এবং আকবরনামার মতো বিখ্যাত গ্রন্থে তার জীবনী রয়েছে। ঈসা খাঁর সাথে কাজ করে, উসমান খা ঁ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জয় করেন। তিনি তার রাজধানী গৌরীপুরে বোকাইনগর দুর্গ শহরটি তৈরি করতে সক্ষম হন এবং এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব বাংলার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পরে, ১৫৯৯ সালে উসমান বোকাইনগর দুর্গ পুনর্র্নিমাণ করে একে ২০,০০০ সৈন্যের একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে সক্ষম হন। খাজা উসমান হাসানপুর এবং এগারোসিন্দুরে আরও দুটি দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলের। ১৬১১ সালের নভেম্বর মাসে উসমান খাঁ গৌরীপুরের বোকাইনগর ত্যাগ করে সিলেটে চলে আসে আসে। সিলেটের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধে খাজা উসমান খাঁর মৃত্যু ১২ মার্চ ১৬১২।


রায়হান উদ্দিন সরকার, 

খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫