Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর মা-ছেলের দেখা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: মা খালেদা জিয়াকে দেখা মাত্র জড়িয়ে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর সম্মুখ দেখা হলো মা-ছেলের। উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছানোর পর বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান।


যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ সময় যুক্তরাজ‍্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।


তারেক রহমান ২০০৭ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর তাঁর আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি।

চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন খালেদা জিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তিনি যাত্রাবিরতি করেন। ১৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সে সময় বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। লন্ডনে সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উভয়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারেক রহমান তখন নিজের গাড়িতে করে মা খালেদা জিয়াকে গন্তব্যে নিয়ে যান।


এর আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে বিদায় জানান।


আরও খবর



শ্রীপুর বাজারে সাখাওয়াত হোসেন সবুজের লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

কামাল পাশা : ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবিতে শ্রীপুর বাজার লিফলেট বিতরণ করেন সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। সোমবার ২০ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শ্রীপুর থানার সামনে থেকে বাজার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন প্রধান, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য আব্দুল হান্নান মিয়া।

গাজীপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জসেরিন জুয়েল। সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক ছাএদলনেতা ফাতাহ ইসলাম মিশু, উপজেলা বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রধান, গোসিংগা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, পৌর জাসাস যুগ্ন আহব্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক দপ্তরের দায়িত্বে রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহান আহমেদ সোহাগ,  পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য জহির আহমেদ খান, গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো সৈকত হাসান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ


আরও খবর



শেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে ইয়াবা কারবারি আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া এলাকা হতে ১২০ পিস ইয়াবা'সহ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (১৮) নামের এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে র‍্যাব ১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমানিক সারে আটটায় র‍্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক শ্রীবরদী থানার ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামের বকশীগঞ্জ টু ঝিনাইগাতীগামী পাকা রাস্তায় জনৈক মোঃ খায়রুল ইসলাম (৪০) এর রাইচ মিলের সামনে অভিযান চালায়। এসময় ১২০ পিস ইয়াবাসহ সাজ্জাদ হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৬ হাজার টাকা।

ধৃত সাজ্জাদ হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার হাসধারা গ্রামের মোঃ জহুরুল হকের ছেলে। আসামীকে আলামতসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের অধিনায়কের পক্ষে মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, পিপিএম-সেবা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পটভূমি ও সাম্প্রতিক ঘটনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনি জাগরণ জোটের মুখপাত্র চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রুলে বলা হয়েছে, চিন্ময় দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন চিন্ময় দাস। তার নেতৃত্বে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতা ফিরোজ খান রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় চিন্ময়সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

তবে মামলার কিছুদিন পরই বিএনপি থেকে ফিরোজ খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় এবং ২৬ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম।

চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার অনুসারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হন।

জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে চিন্ময় দাস পুনরায় উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে তার জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

সরকারের জবাব পাওয়ার পর হাইকোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার গুরুত্ব তুলে ধরে জামিন না দেওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে, চিন্ময়ের পক্ষ থেকে জামিনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হবে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নিয়ে আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।


আরও খবর



রংপুরে ঘন কুয়াশায় আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কয়েকদিন ধরে রংপুর ও আশপাশ এলাকায় হিমেল হাওয়া, বৃষ্টির মত ঘন কুয়াশা ঝরছে। সেই সঙ্গে রয়েছে তীব্র শীত। উত্তর-পশ্চিম থেকে ধেয়ে আসা বাতাসে আলুর ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চললে লেটব্রাইটসহ নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে আলুর ক্ষেত। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, আলুর ক্ষেত রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তাজিদুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়নের বুলবুল ইসলামসহ অনেকে জানান, ধার দেনা করে জমিতে আলু রোপণ করেছেন বেশি লাভের আশায়। হঠাৎ করে শীত ও পশ্চিমা বাতাস বইতে শুরু করায় আলু ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আলুতে লেটব্রাইট রোগ দেখা দিবে।

ফলে আলুর উৎপাদন ব্যাহত হবে। তারা বলেন, জমিতে ছত্রাকনাশকসহ বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করে আলু ক্ষেত রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে অনেকের জমির আলুর বয়স ৫০ থেকে ৬০ দিন হয়েছে। আলু সাধারণত ৯০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায় জানা গেছে, গত কয়েক বছর থেকে বাজারে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা এবার বেশি পরিমান জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে এবার আলুর আবাদ হয়েছে। বেশি জমিতে আলু রোপণ হওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা। অনেকে জমিতে আগাম ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে আলু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।

কয়েক দিনের টানা কুয়াশায় আলু গাছের পাতায় এ রোগ দেখা দিয়েছে। রোগের লক্ষ্মণ হিসেবে গাছের পাতা সাদা হয়ে ধীরে ধীরে গাছ নুয়ে পড়ে। ছত্রাকজনিত এ রোগটি ছড়িয়ে পড়লে ফলন অনেকাংশে কমে আসে। নিয়মিত কুয়াশার প্রভাব কাটাতে স্প্রে করায় খরচ বাড়ছে কৃষকদের। এতে উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ-সব কারনে চলতি বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তাদের দাবি, কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না, গাছ মরে যাচ্ছে।

গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউপির তিস্তাচরের কৃষক আবদুস সোবহান বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা তিস্তাচরে আগাম আলু আবাদ করি। এবারও আলু লাগিয়েছি কয়েক একর জমিতে। কয়েকদিনের ঠান্ডা আর কুয়াশায় আলু ক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ। গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করতেও প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে।

চর ইচলির আলু চাষী মামুন বলেন, ‘৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কুয়াশার কারনে আলু ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না। ঘন কুয়াশা থাকলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

গজঘণ্টা এলাকার কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। ঘন কুয়াশার কারনে আলু ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে। চরম বিপাকে পড়েছি।

এ বিষয়ে গংগাচড়া উপজেলার কৃষি অফিসার শাহীনুর রহমান বাসস কে বলেন, দিন দিন শীত ও কুয়াশার প্রোকপ বাড়ছে এতে আলু ক্ষেতে নাবি ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকদেরকে এ ছত্রাক নাশক দমন করার জন্য কৃষকদের স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ রোগটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

রংপুর জেলায় এবার আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বাসস কে বলেন, আলু চাষের জন্য আবহাওয়া কিছুটা বৈরি আচরণ করছে। এ ধরণের আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকরা আগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন। তারা ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


সূত্র : (বাসস)


আরও খবর



জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: মানুষ মাত্রই ভুল। অর্থাৎ মানুষই গুনাহ করবে এটা স্বাভাবিক। তবে কেউ হয়তো বেশি, আবার কেউ কম গুনাহগার হয়। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক সময় আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজ করে ফেলে। কিন্তু একজন মুসলিম গুনাহ করে তাওবা করবে- এটিই স্বাভাবিক। আল্লামা ইবনে কাইয়্যুম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, যে গুনাহ করে সে মানুষ। যে গুনাহ করে তার ওপর অটল অবস্থানে থাকে সে শয়তান। আর যে গুনাহ থেকে তাওবা করে, সে হলো মুমিন। যারা গুনাহের ওপর অটল থাকে এবং তওবা করে না তাদেরকে আল্লাহতায়ালা দুনিয়াতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং পরকালে জাহান্নামের বাসিন্দা করবেন।

রাসূল সা. মানুষকে জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকার এবং নেক আমল করার কথা বলেছেন। হজরত নোমান ইবনে বশীর রা. বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে ভীতি প্রদর্শন করছি আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে ভীতি প্রদর্শন করছি। তিনি এ বাক্যগুলি বার বার এমনভাবে উচ্চ কণ্ঠে বলতে থাকলেন যে, বর্তমানে আমি যে স্থানে বসে আছি, যদি রাসূল সা. এ স্থান থেকে ওই বাক্যগুলি বলতেন, তবে ঐ উচ্চ কণ্ঠ বাজারের লোকেরাও শুনতে পেত। আর তিনি এমনভাবে হেলে দুলে বাক্যগুলি বলছিলেন যে, তার কাঁধের উপর রক্ষিত চাদরখানা পায়ের উপর গড়ে পড়েছিল (দারেমী, মিশকাত, হাদিস : ৫৪৪৩)।

যারা জাহান্নামে যাবে তারা দেখতে কেমন হবে এ বিষয়ে এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, নবী করীম সা. বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হবে বিয়াল্লিশ হাত মোটা, দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং জাহান্নামীদের বসার স্থান হবে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী ব্যবধান পরিমাণ (তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস :৫৬৭৫)। আরেক হাদিসে আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, দু’প্রকারের লোক জাহান্নামী। অবশ্য আমি তাদেরকে দেখতে পাব না।

তাদের এক শ্রেণী এমন লোক হবে, যাদের হাতের মধ্যে থাকবে গরুর লেজের মতো চাবুক। যা দিয়ে তারা মানুষকে মারধর করতে থাকবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হবে এমন সব নারী, যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ থেকে অপরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে এবং নিজেও অপরের দিকে আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুল হবে বুখতি উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো। তারা কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি তারা জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। যদিও তার সুঘ্রাণ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৩৩৬৯)।


আরও খবর