Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আজ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেক্ষাপট, দেশ সংস্কারের নানা পদক্ষেপ, সরকারের নানা চ্যালেঞ্জ প্রধান উপদেষ্টা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্র। আলোচনায় আসতে পারে ভারত প্রসঙ্গও।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে ড. ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠকের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কারণ, তিন দশক পর জাতিসংঘে মার্কিন কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনায় উঠে আসতে পারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি। পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও অগ্রাধিকার পেতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সামগ্রিকভাবে দুই দেশের সহযোগিতা কীভাবে জোরদার করা যায়, তা নিয়ে দুই শীর্ষ নেতা আলোচনা করবেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা খাতে সংস্কারের উদ্যোগ এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার থাকবে। সমকালীন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসতে পারে।

এর আগে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে স্মরণকালের সবচেয়ে ছোট প্রতিনিধিদল (৫৭ সদস্যের) নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটিই ড. ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর।


আরও খবর



সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।’

‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। আজ (৭ অক্টোবর) দিবসটি পালিত হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে বেগবান ও টেকসই করার লক্ষ্যে এ সব প্রতিকূলতাকে নির্মূল করার জন্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের অনেক শহরের মতোই বাংলাদেশের শহর বা নগরগুলো এখনো অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই নগর উন্নয়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে নাই। দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা, পরিবেশগত বিপর্যয় তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নানা অভিঘাতে ভুগছে এদেশের ছোটো-বড় বিভিন্ন শহর।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্য শক্তি, সাহস ও পরিবর্তনের প্রতীক। বৈষম্যহীন, শোষণহীন ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিগত দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণই প্রমাণ করে তারুণ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। এখনকার তরুণেরা অনেক বেশি আধুনিক এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী।

তিনি তরুণদের অদম্য মেধা, পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সততা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে বলে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।

মুহাম্মদ ইউনূস প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উৎকর্ষ ও তরুণদের উদ্যোগ আর প্রবীণ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আমাদের দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারকে বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, তার পরের বছর থেকেই বিশ্বব্যপী পালন হয়ে আসছে দিবসটি।


আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

গাজীপুরে বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা, চক্রবর্তী, গাজীপুর সদরের শিরিরচালা এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে জিরানি পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলন নিরসনে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।


আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক আছে। ইতোপূর্বে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কারখানার আয়রন ম্যান মো. আরমানকে মারধর করে মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নেয়। শ্রমিকদের সন্দেহ দাবি উপস্থাপন করায় কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের লোকজন দিয়ে আরমানকে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে অপরদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সিজন ড্রেস নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে এবং ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।


শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন ড্রেস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার ৫ থেকে ৬শ শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বকেয়া বেতন ভাতা ও অন্যান্য দাবিতে কর্মবিরতি করে আন্দোলনে নামেন তারা। এসময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অপরদিকে, গাজীপুরের সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকার বেতন বৃদ্ধিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তাসমিয়া হারবাল লিমিটেডের শ্রমিকর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে তারা কারখানার ভেতরে হইচই শুরু করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করছে শিল্প পুলিশ।

এদিকে, বৈষম্য বিরোধী শ্রমিক আন্দোলন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন ভেরিতাস ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের শ্রমিকরা।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিজন ড্রেস কারখানার শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া বেতন ভাতা পরিশোধে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।





আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




আমদানির পরও কমছে না ডিমের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

দেশে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ভারত থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮০০ পিস ডিম আমদানি করেছে সরকার। এমনকি পর্যায়ক্রমে আরও আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারকরা। ডিম আমদানির পরও দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বরং সপ্তাহে ব্যবধানে ডজন প্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা কোনোরকম কথা বলতে না চাইলেও ক্ষোভ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। বাজারের তুলনায় পাড়া-মহল্লার দোকানে আরও পাঁচ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে মুরগির ডিম।

তিনি বলেন, ভেবেছিলাম তো আওয়ামী লীগ সরকার থেকে গেলে সবকিছুর দাম কমবে। এখন তো দেখছি কিছুই কমছে না। তাহলে সরকার পরিবর্তন করে মানুষের লাভ হলো কী? আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা দু-চারটা ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলেই হলো। 

রবিউল আলম নামক আরেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। 

আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই ঢাকার বাজারে ডিমের দাম চড়া রয়েছে; ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। এর আগে ডজন ১৫০ টাকার নিচে ছিল। 

দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে অনেক মুরগির খামার নষ্ট হয়েছে। এতে ওই সব এলাকায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। আবার ভারত থেকে সম্প্রতি যে ডিম আমদানি হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। তাই সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়ায় দাম কমছে না।

রামপুরা বাজারের নাহিদ রানা নামক এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে ডিমের সংকট আছে। জানি না হঠাৎ করে কেন সংকট তৈরি হলো। আমাদের যদি বেশি দামে কিনে আনতে হয়, তাহলে তো সে অনুযায়ী একটু বাড়িয়েই বিক্রি করতে হবে।

ভারতীয় ডিম আসার পরও কেন দাম বাড়ছে? এ প্রশ্নের জবাবে এই বিক্রেতা বলেন, এখন পর্যন্ত আমি বাজারে কোনো ভারতীয় ডিম দেখিনি। শুনেছি এসেছে, কিন্তু কোথায় এসেছে সেটি আমরা জানি না। আমরা সাধারণ বিক্রেতা, ২/৪ টাকা লাভ হলে যে দেশের ডিমই আসুক, বিক্রি করব। দামটা কম থাকলে আমাদের জন্যও ভালো। দাম বেশি থাকলে তো মানুষ কিনতে চায় না।

এদিকে, সরকার বিদেশ থেকে ডিম আমদানি বন্ধ না করলে ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস। ডিমের উৎপাদন রয়েছে সাড়ে চার কোটি পিস। চাহিদার থেকে যেখানে উৎপাদন বেশি হচ্ছে, সেখানে ডিম আমদানির প্রশ্নই আসে না। সরকারের ডিম আমদানির ভুল সিদ্ধান্তে প্রান্তিক খামারিরা লসের মুখে পড়বে। দেশীয় খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; এতে পরবর্তী সময়ে সংকট আরও বড় আকার ধারণ করবে।



আরও খবর



শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৭

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন নদীর পানি। বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে।


শেরপুরের পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিজিবি। এছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে নালিতাবাড়ী সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছেন।


এদিকে শনিবার সকাল থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নতুন নতুন আরও এলাকার প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। 



আরও খবর



পেজারের পর ওয়াকিটকি ল্যাপটপ বিস্ফোরণ লেবাননে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

লেবাননজুড়ে হাজারো পেজার (তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র) বিস্ফোরণের পর গতকাল বুধবার দেশটিতে আবারও একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এবার ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি রেডিও, গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৪৫০ জন আহত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহার করা পেজার বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার লোক আহত হন। পেজারগুলোতে আগে থেকেই স্বল্প পরিমাণে হলেও শক্তিশালী বিস্ফোরক ভরা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবারের মতো গতকালও বিভিন্ন স্থানে যুগপৎভাবে যন্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরিত সব ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ, রেডিও এবং আগুন লেগে যাওয়া বিভিন্ন আবাসিক ভবনের ছবি লোকজন দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতে থাকেন।

গতকালের বিস্ফোরণ নিয়ে তথ্য ধীরে ধীরে আসছে। তবে দুপুরের পর রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ও দক্ষিণের টায়ার শহরে বেশ কিছু বিস্ফোরণ ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, বিভিন্ন গাড়িতে আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া উঠছে একটি আবাসিক ভবন থেকে। খবরে বলা হয়, ওয়াকিটকি রেডিও, মুঠোফোন, এমনকি সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বিস্ফোরিত হচ্ছে।

আল–জাজিরার সংবাদদাতা আলী হাশেম একটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। দক্ষিণ লেবাননে এক দাফন অনুষ্ঠান চলার সময় একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হতে দেখেন তিনি। দৃশ্যত, কোনো ড্রোন হামলায় নয়; বরং ভেতর থেকেই গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।



আরও খবর