Logo
আজঃ রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রে অনবদ্য অবদান রাখায় এ ক্যাটাগরিতে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণ-এ অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ভিক্টর অ্যাবব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যামশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটসের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুয়েটস মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সাইন্সের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।

অপরদিকে গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে এখানেই জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন তিনি।গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএন করোনা টিকা আবিস্কারের জন্য তাদের পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছিল।

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।


আরও খবর



সাতক্ষীরায় হরিণের মাংসসহ ২ শিকারি আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ২১ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন মো. মুনতাসির ইবনে মহসীন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানান।

আটক শিকারিরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার মাহমুদ মল্লিকের ছেলে মো. মশিউর রহমান শামিম (৪৭) ও একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী গাজীর ছেলে মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (৬০)।প্রসঙ্গত, পেশাদার হরিণ শিকারিরা রাতের বেলায় গোপনে সুন্দরবনে ঢুকে হরিণের যাতায়াতের পথে নাইলনের দড়ির ফাঁদ পেতে রাখেন। চলাচলের সময় হরিণগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়। পরে বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব হরিণের মাংস বিক্রি করা হয়।



আরও খবর

বাংলাবান্ধায় ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় আসামির ছুরির আঘাতে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্য পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জিমখানা মোড়ে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্য হলেন কামরুজ্জামান (৩০)। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।

সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, ঘটনাস্থলে আসামি বাবুকে (২২) ধরতে গেলে বাবু ওই পুলিশ সদস্যের ডান কব্জিতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।



আরও খবর

বাংলাবান্ধায় ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। এই বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।   

ট্র‍্যাইব্যুনালের (পুরাতন) মূল ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ভবন সংলগ্ন (অস্থায়ী) ট্রাইব্যুনালে আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারসহ অপর দুই বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

এ সময় আদালতে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে ; হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত শয্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

মুন্সীগঞ্জে  ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৩৭২ জন ডেঙ্গু রোগী জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়েছেন আরও কয়েক গুণ। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে চারজনকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী শুধু মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের জন্য আলাদা ডেঙ্গু কর্নার তৈরি করা হলেও ওয়ার্ডে সংকুলান হচ্ছে না রোগী। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দায় ফ্লোরে।  রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওই হাসপাতালের মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ডের সামনে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন কমপক্ষে ১০/১২জন রোগী। হাসপাতালের সিঁড়ির সামনেও চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন।হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, যারা ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা অধিকাংশই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে আটজন, ফেব্রুয়ারিতে একজন, মার্চে একজন, মে মাসে সাতজন, জুনে ছয়জন, জুলাইয়ে ১৩ জন, আগস্টে ৩১ জন, সেপ্টেম্বরে ১৪৮ জন ও অক্টোবরে এ পর্যন্ত ১২৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। 

ঘনঘন বৃষ্টিতে শহরে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব প্রজনন ক্ষেত্র  ধ্বংস না হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ আগে নিয়মিত মশার ওষুধ শহরে দেওয়া হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট  মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হলে নাগরিক অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জ শহরের লোকজন। ঢিমেতালে চলছে এখন মশা নিধন কার্যক্রম। ঠিকমতো মশা নিধন না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও মিরকাদিম পৌরসভা এবং আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আর এ বছর বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় শহরের বিভিন্নস্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এতে মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। মুন্সীগঞ্জ শহরের ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর দেখা মিলেছে শহরের উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুর মহল্লায়। জলাবদ্ধতা এবং বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এডিস মশার বংশ বিস্তার বাড়ছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহাত মিয়া বলেন, আমার বাসা ইসলামপুর এলাকায়। মশার অত্যাচারে শুধু রাতে নয়, দিনেও শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না। শহরের সব এলাকায় মশাবাহিত রোগ বাড়ছে। একই রকম মন্তব্য করেন চিকিৎসাধীন ফারিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ।

মিরকাদিম পৌরসভার গোয়ালঘুগ্নি এলাকার বাসিন্দা সুমন বেপারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পৌরএলাকার বিভিন্ন জায়গায় মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। তবুও মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। একাধিকবার তাদের জানালেও কাজ হয়নি।এলাকাবাসী বলেন, পৌর এলাকার বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে নালার ব্যবস্থা নেই। সড়কের পাশেও নালা নেই। তাই বৃষ্টি হলেই পানি জমে বংশবিস্তার করে মশা। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, শরীর ও মাথায় তাদের প্রচণ্ড ব্যথা। জ্বরের সঙ্গে বমিও হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ ও মিরকাদিম পৌরসভা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নালাতেও জমে আছে ময়লা। বাসাবাড়ির বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি ও জলাশয়গুলো যেন এডিস মশার বংশবিস্তারের অভয়ারণ্য। অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেও মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না লোকজন। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুর, খালইস্ট, মধ্য কোটগাঁও, দেওভোগ, মালপাড়া এলাকায় দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে দেখা যায়। শহরের উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুর মহল্লায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এডিস মশার বংশবিস্তার বেড়েছে। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালে জ্বরসহ মশাবাহিত রোগে চিকিৎসা নিতে দেখা যায় শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষকে।

জানা গেছে, সকাল হলেই হাসপাতালে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এর অধিকাংশই জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, মশাবাহিত বিভিন্ন রাগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। জ্বরে আক্রান্ত অসংখ্য মানুষের মধ্যে ডেঙ্গুর সব লক্ষণ পেয়েছেন, তবে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত না হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা জানান, এ বছর ওষুধ স্প্রে কমেছে তাই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তারা বলছেন, ঢাকায় যে পরিমাণ মশার ওষুধ দেওয়া হয় মুন্সীগঞ্জে সেই পরিমাণ ওষুধ দিতে দেখা যায় না। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাইদুর রহমান হিমেল বলেন, জেলাজুড়ে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েই চলেছে। দিনে অন্তত ১৫ জন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই মশা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন মনজুরুল আলম বলেন, মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাধারণ মানুষেরও ভূমিকা রাখা উচিত।

মুন্সীগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মো. জামাল বলেন, অসময়ে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তা ছাড়া মুন্সীগঞ্জে মশা নিধন যে কার্যক্রম তা যথাযথ হচ্ছে না। যার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মানুষ সচেতনেতার অভাবে অনেকে মশারি না টাঙিয়েই ঘুমাচ্ছেন যার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

তবে মেঝেতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কর্নার করা হয়েছে। মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়া পাশাপাশি জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন তিনি।


আরও খবর

বাংলাবান্ধায় ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




আমির হোসেন আমুর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার ( ১৫ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আমু। এ ছাড়া, ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজে মোটা অঙ্কের টাকা অনৈতিকভাবে তিনি আদায় করতেন। সম্পদের মধ্যে ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট, সাভারের বাটপাড়া মৌজায় ৪৮.৭২ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় এক কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে।

এ ছাড়া, তার একটি গাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ পাওয়া যায় ১১ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৮ টাকা ও তার নিজ নামে মোট ২০ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

 

আরও খবর