Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

চবি ছাত্রলীগে ফের উত্তেজনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩১৩জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাদানুবাদের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় নিজ নিজ হল থেকে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের মতো সংঘর্ষের অবস্থা হয়নি। আমাদেরকে কোনো অ্যাকশনে যেতে হয়নি। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের তিন উপগ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়। কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বেশ কয়েকজনকে। সার্বিক ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে রক্ষা নেই বিহার-ওড়িশার, সর্তক করলেন মমতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, তাতে বিহার এবং ওড়িশাও রেহাই পাবে না বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 


আরও খবর



পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে ভক্তের মৃত্যু, আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা টু’ ছবির প্রিমিয়ারে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ভক্তদের অতিরিক্ত হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রেবতী নামের এক নারীর। তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনি ঝামেলায় পড়েছেন এই ছবির নায়ক আল্লু অর্জুন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শুধু এই প্যান ইন্ডিয়ান তারকার বিরুদ্ধেই নয়, তার নিরাপত্তারক্ষী ও থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে হায়দরাবাদে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লীর সন্ধ্যা থিয়েটারে রাত সাড়ে নয়টায় ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের আয়োজন ছিল। থিয়েটারের বাইরে ভক্ত-অনুরাগীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। এমনকি, ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ।

যখন থিয়েটারের সামনে প্রবেশ করেন দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন, তখন তাকে সামনে থেকে দেখতে গিয়েই অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সী রেবতীর। সঙ্গে ছিল তার ৯ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। থিয়েটারে অস্বাভাবিক ভিড়ের কারণে দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। শিশুটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

চিক্কদপল্লী পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করেছে রেবতীর পরিবার। তাদের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেয়া হয়নি। ওই থিয়েটারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও রেবতীর পরিবারের অভিযোগ।

থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, অভিনেতা আল্লুর টিম কিংবা ওই প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি তারা। ফলে থিয়েটারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ আগে থেকে মোতায়েন করা যায়নি।


আরও খবর



১৫ মিনিট স্লো ঘড়ি, বাস মিস ও এরপর ম্যাচসেরা—গল্পটা জর্জ লিন্ডার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন স্পিন অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডা। ব্যাটিংয়ে করেন ২৪ বলে ১৮। হারের পর জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে লিন্ডাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর, তিন মাস দুই দিন। চাইলে সঙ্গে আরও ১৫ মিনিট যোগ করতে পারেন।


সেই ১৫ মিনিটের ব্যাখ্যাটা বেশ মজার। ডারবানে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সেই বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন লিন্ডা।


সেই পথেই ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারের দেরি হয়েছে ১৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে হোটেল থেকে বের হয়ে টিম বাসে উঠতে পারেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে ধরেছেন বাস। এই পথেই ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে লিন্ডার।


তবে মাঠে নামার পর তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা লিন্ডা যেন মিটিয়েছেন সুদে-আসলে। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের পুঁজিতে সাতে নেমে ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। এরপর বল হাতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের ১১ রানের জয়ে লিন্ডা স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সময়মতো টিম বাস ধরতে না পারা নিয়ে লিন্ডা যা বললেন, তা–ও বেশ মজার।


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’




আরও খবর



৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর