Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা হিজবুল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগের প্রধান নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে এবার নিহত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সশস্ত্র মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে এবার নিহত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সশস্ত্র মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী এলাকা দাহিয়েতে হামলায় কুবাইসিসহ হিজবুল্লার অপর দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। এ দু’জনের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে— নিহত দুই কমান্ডার কুবাইসির সহচর ছিলেন।

হিজবুল্লাকে দমন করতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কিছু শহর ও গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে নিহত হন মোট ৫৫৮ জন। অতর্কিত এ হামলার জবাব দিতে মঙ্গলবার উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিলি অঞ্চলের হাইফা, সাফেদ এবং নাজারেথ অঞ্চলে প্রায় ৩০০ রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা।হিজবুল্লার রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতের এই হামলা পরিচালিত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে শুরুর দিকে চুপ থাকলেও পরে কুবাইসির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাও। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইব্রাহিক কুবাইসি এবং তার সহযোগী দুই কমান্ডার ‘জেরুজালেমের পথে শহীদ হয়েছেন।’



আরও খবর



সামান্থার সংসার ভাঙার পেছনে ছিল মন্ত্রীর হাত, বললেন আরেক মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: ২০২১ সালে সংসার ভাঙে জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এবং দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্যর। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা দাবি করেছেন, সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পিছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত।

মন্ত্রীর আরও দাবি, এই চক্রান্তের পেছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী‌ কেটি রামা রাও’র! এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যেই এমনটা দাবি করেন কোনডা সুরেখা।

বনমন্ত্রী বলেন, ‘কেটি রামা রাওয়ের জন্যেই সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে। উনি তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন অভিনেত্রীর ফোনে আড়ি পাতা তার কাজ ছিল। সেই আড়ি পেতে অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করতেন। এরপর সেই গোপন তথ্য পাওয়ার পর অভিনেত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন! অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে একপ্রকার বাধ্য করতেন। যে কারণে সংসার জীবনে বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি থাকত না! এ কথা সবাই জানেন। সামান্থা জানে, নাগা চৈতন্য জানে, তাদের বাড়ির লোক জানে।’

তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের তীব্র নিন্দার সম্মুখীন হতে হচ্ছেন কোনডা সুরেখাকে। তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীকে নিন্দা জানিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন খোদ সামান্থা নিজেও।

সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সামান্থা। পরিস্কার ভাষায় জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত জীবনকে যেন রাজনীতির আখড়ায় না টানা হয়।

অভিনেত্রীর কথায়, আমার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা অত্যন্ত ব্যক্তিগত। এই বিষয়টি সম্পর্কে কোনওরকম মন্তব্য করা থেকে দয়া করে দূরে থাকুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলি না মানে এই নয়, সেই বিষয়ে যা তা যে কেউ বলতে পারবেন। পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চাই, এই বিচ্ছেদ ছিল দুটি মানুষের যৌথ ভাবনার‌‌ ফসল। এর সঙ্গে কোনো রকম রাজনীতি জড়িয়ে নেই।

এরপর মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সামান্থা বলেন, ‘আর কোনডা সুরেখা একটা কথা বলি, আপনি নিশ্চয়ই অবগত একজন রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আপনার কোন বিষয়ে বক্তব্য অথবা মন্তব্য সমাজে কতটা ছাপ ফেলতে পারে। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় ও জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু দায়িত্বশীল হন।’


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪




জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : গুগল তাদের জিমেইল পরিষেবা ব্যবহারকীদের ১৫ জিবি স্পেস ফ্রি দেয়। যা দ্রুত ফুল হয়ে যায়। তখন জিমেইল ইনবক্সে নতুন করে ই-মেইল আসে না। এছাড়াও গুগল ড্রাইভে ছবি, ফাইল স্টোরেজ করা যায় না। স্টোরেজ পরিচালনা করা দক্ষ ই-মেইল যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গুগল জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটোজ জুড়ে সীমিত বিনামূল্যের সঞ্চয়স্থান অফার করলেও নিজেদের অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্টোরেজ খালি করলে জিমেইল চালনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো ডিলিট করা, সংযুক্তিগুলো পরিচালনা করা এবং মূল্যবান সঞ্চয়স্থান পুনরুদ্ধার করতে গুগলের অন্তর্নির্মিত সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করাসহ জিমেইল অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে।


জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস : 

অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল ডিলিট: আর প্রয়োজন নেই, এমন -ইমেইলগুলো ডিলিট দিয়ে শুরু করতে হবে। বড় বার্তা বা পুরনো থ্রেডগুলোতে মনোযোগ করতে হবে, যা আর কোনো উদ্দেশ্য পূরণ করে না। আকার বা সময় অনুসারে ই-মেইলগুলো খুঁজে পেতে এবং সেগুলোকে প্রচুর পরিমাণে ডিলিট করার জন্য জিমেইলের সার্চ ফাংশন ব্যবহার করতে হবে।

ট্র্যাশ এবং স্প্যাম ফোল্ডার খালি: মুছে ফেলা ই-মেইলগুলো ট্র্যাশ ফোল্ডারে সরানো হয়, যা এখনও ইউজারদের সঞ্চয়স্থান কোটার সঙ্গে গণনা করা হয়। নিজেদের ট্র্যাশ ফোল্ডারটি নিয়মিত খালি করতে হবে। এছাড়াও, অবাঞ্ছিত বার্তাগুলো স্থান দখল করছে কি না, তা নিশ্চিত করতে স্প্যাম ফোল্ডারটি খালি করতে হবে।

অ্যাটাচমেন্ট পরিচালনা: অ্যাটাচমেন্ট প্রায়ই উল্লেখযোগ্য স্থান গ্রহণ করে। বড় অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইলগুলো শনাক্ত করতে সার্চ বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে কিংবা ডিলিট করতে হবে। গুগল ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাটাচমেন্ট সেভ এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে সেগুলো সরানোর কথা বিবেচনা করতে হবে।

গুগলের স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার: গুগল স্টোরেজ পরিচালনার জন্য অন্তর্নির্মিত সরঞ্জাম সরবরাহ করে। কোন পরিষেবাগুলো সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহার করছে, তা দেখার জন্য গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার (নিজেদের গুগল অ্যাকাউন্ট সেটিংসে উপলব্ধ) অ্যাক্সেস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সেগুলো পরিচালনা করা প্রয়োজন।

পুরনো ই-মেইল স্টোরেজ: মুছে ফেলার পরিবর্তে, পুরনো ইমেলগুলোকে ইনবক্সে এলোমেলো না রেখে অ্যাক্সেসযোগ্য করতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্টোরেজ করার সময় এটি একটি পরিষ্কার, আরও সংগঠিত ই-মেইল পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।

অবাঞ্ছিত নিউজলেটার আনসাবস্ক্রাইব: নিয়মিত নিউজলেটার বা মেইলিং তালিকা আনসাবস্ক্রাইব করতে হবে। এটি ইনকামিং ইমেলের ভলিউম কমাবে এবং ভবিষ্যতে স্টোরেজ সমস্যা প্রতিরোধ করবে।

স্টোরেজ আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা: কেউ যদি দেখেন যে, বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তার তুলনায় আরও বেশি জায়গার প্রয়োজন, তাহলে তিনি একটি পেইড গুগল প্ল্যানে আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এটি সমস্ত গুগল পরিষেবা জুড়ে অতিরিক্ত স্টোরেজ প্রদান করে।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




এশিয়ার ৮ দেশের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি কোনো লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব দেশের সঙ্গে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আকু হলো, একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির দায় অর্থ পরিশোধ করে। তবে সম্প্রতি দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।আকুর বাইরে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়।

 জানা গেছে, আকুর সদস্য দেশ হলেও দেশের ব্যাংকগুলো ভারতের সঙ্গে অনেক লেনদেন সরাসরি করছে। এতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর অনেক সময় চাপ বাড়ে। এই চাপ কমাতে সব লেনদেন আকুর মাধ্যমে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



মানুষ মারা গেলে যখন দাফন করা উত্তম

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

শরিয়তের সাধারণ নিয়ম বা সুন্নত পদ্ধতি হলো ব্যক্তি যে গ্রাম বা শহরে মারা যাবে, তাকে সে শহর বা গ্রামের স্থানীয় মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হবে। কেননা দ্রুততম সময়ে কাফন-দাফন সম্পন্ন করা আবশ্যক। আর লাশ অন্যত্র নেওয়া হলে কাফন-দাফনে বিলম্ব হওয়ার এবং বিনা প্রয়োজনে অর্থ অপচয়ের ভয় থাকে। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মদিনার নিকটবর্তী স্থানে সাহাবিরা মারা গেলে তাঁদেরকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে। অথচ তাঁদের লাশ মদিনায় নিয়ে আসা সম্ভব ছিল। সাহাবায়ে কিরাম দ্বিন প্রচারের জন্য আরব উপদ্বীপের বাইরে যেখানে যিনি মারা গেছেন, তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে। আর শহীদদের সেখানেই দাফন করা হয়েছে, যেখানে তাঁরা শহীদ হয়েছেন। হাদিসে এসেছে, আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর (রা.) হুবশি নামক স্থানে মারা গেলেন। পরে তাঁকে মক্কায় এনে এখানে কবর দেওয়া হলো। আয়েশা (রা.) মক্কায় এসে (ভাই) আবদুর রহমান ইবনে আবি বাক্রের কবর জিয়ারতে গেলেন এবং একটি কবিতা আবৃত্তির পর বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি যদি উপস্থিত থাকতাম, তবে আপনি যেখানে মারা গেছেন সেখানেই আপনাকে দাফন করা হতো। আমি যদি আপনার দাফনের সময় উপস্থিত থাকতাম, তবে আমি আপনার কবর জিয়ারতে আসতাম না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৫) যখন লাশ স্থানান্তর করা যাবে : যখন কোনো মুমিন এমন কোনো এলাকায় মারা যায়, যেখানে দাফন করলে পরবর্তী সময়ে লাশ বা কবর বিকৃতি হওয়ার ভয় থাকে অথবা অনুরূপ কোনো অসম্মানজনক কাজের আশঙ্কা থাকে, বা কাফন-দাফনের স্বাভাবিক ব্যবস্থা না থাকে, তখন লাশ অন্যত্র স্থানান্তর করা আবশ্যক। পরিবারের সদস্যরা যেন সহজেই জিয়ারত করতে পারে এই নিয়তে নিজ এলাকায় লাশ এনে দাফন করা জায়েজ। তবে অধিক বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা করা মাকরুহ। (আউনুল মাবুদ : ৮/৪৪৭) ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রহ.) একাধিক সূত্রে বর্ণনা করেছেন, ‘সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ও সাঈদ ইবনে জায়েদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) আকিক নামক স্থানে মারা যান এবং তাঁদেরকে মদিনায় নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাঁদের দাফন করা হয়।’ (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস : ৩১) তাঁদের লাশ স্থানান্তর করা হয়েছিল বহু সাহাবার উপস্থিতিতে এবং তাঁরা এই কাজে আপত্তি করেননি। নিজ এলাকার কবরস্থান নদীভাঙন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিলীন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে নিকটস্থ এলাকার অন্য কোনো করবস্থানে নিয়ে লাশ দাফন করা জায়েজ আছে। অসিয়ত করে গেলে : যদি কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর সময় নির্ধারিত কোনো কবরস্থানে দাফন করার অসিয়ত করে যায় এবং তা বাস্তবায়ন করা ওয়ারিশদের জন্য কষ্টকর ও অধিক ব্যয়বহুল না হয়, তাহলে তাদের উচিত অসিয়ত পূরণ করা। আর তা বাস্তবায়ন করা যদি কষ্টসাধ্য ও অধিক ব্যয়বহুল হয় অথবা লাশ দাফনে অধিক বিলম্ব হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে এমন অসিয়ত পূরণ করা থেকে বিরত থাকবে। মৃত ব্যক্তি যদি নিজ মহল্লার কবরস্থানের পরিবর্তে শহরের অন্য কোনো কবরস্থানে অথবা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করার অসিয়ত করে, তাহলে তা বাস্তবায়নে শরিয়তের কোনো বাধা নেই। (আল-ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবাআ, পৃষ্ঠা-১২৭৭)


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত কমিটি বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত ১০ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল।

এই কমিটিতে থাকা এক শিক্ষা গবেষক ও ঢাবির দুই অধ্যাপককে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ পালিত হয়। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন-ও এই কমিটির বিষয়ে আপত্তি তোলে।

এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এরপর আজ শনিবার পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিলের কথা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর