Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হতে পারেন আহসান এইচ মনসুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টার:


লাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হলেন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর। 


 মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 



প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭ অব ১৯৭২) এর ১০(৫) অনুযায়ী পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরকে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।



প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘ড. আহসান এইচ মনসুর গর্ভনর পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশ ব্যাংক হতে গ্রহণ করবেন। 


এ নিয়োগের অন্যান্য বিষয় উল্লেখিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারণ হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’



আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা আহসান মনসুর বাংলাদেশের ত্রয়োদশ গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান পিপিপি প্রকল্প নীতিমালা তৈরিতে সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।


 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে লেখাপড়া করা আহসান মনসুর শিক্ষক হিসেবে সেখানেই পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। পরে অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা চলে যান। ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। 


পিএইচডি চলাকালীন ১৯৮১ সালে তিনি অর্থনীতিবিদ প্রোগ্রামের অধীনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে যোগ দেন। আইএমএফে দীর্ঘ কর্মজীবনে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে তিনি কাজ করেছেন। আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স এবং পলিসি রিভিউ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছেন।


 ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন আহসান মনসুর। ১৯৮৯ সালে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী ওয়াহিদুল হকের অর্থ উপদেষ্টা হন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর প্রবর্তনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল।



আরও খবর



শারজায় টাইগারদের লজ্জার হার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ হলো। এক ম্যাচ হারকে অঘটন বলা যায়। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে রীতিমতো নাকাল হলো বাংলাদেশ। বলেকয়ে এক ম্যাচ বাড়ানো যেন হিতে বিপরীত হলো টাইগারদের জন্য। শারজায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে অনায়াসেই হারিয়েছে আরব আমিরাত। সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে এটিই আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। অন্যদিকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হয়ে নিজের প্রথম সিরিজেই বিব্রতকর হার দেখলেন লিটন দাস। লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯। তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব। এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি। তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে টাইগাররা। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। শঙ্কা জেগেছিল একশর আগে অলআউট হওয়ার। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে। যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। এই ম্যাচে তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন। তানজিব সাকিব খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। তারপর শরিফুল আর হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। আরব আমিরাতের স্পিনার হায়দার আলি মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ও মাতিউল্লাহ খান পান ২টি করে উইকেট।


আরও খবর



ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে ইউরোপীয় শক্তির প্রতি ইরানের আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

ইরানের ওপর মারাত্মক হামলা বন্ধ করতে, ইসরাইলের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। 

তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চতুর্থ দিনের মতো লড়াই অব্যহত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেন, ‘জার্মানি, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের উচিত ছিল ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের, বিশেষ করে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে তারা যে হামলা চালিয়েছে, খুব স্পষ্টভাবে তার নিন্দা জানানো।’ 

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর উচিত ইসরাইলের ‘এই আগ্রাসন বন্ধ’ ও দেশটিকে ‘জবাবদিহি’ করার ওপর মনোনিবেশ করা।


আরও খবর



গাইবান্ধায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতি চাই

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বিকাশ, অধিকার ও বৈচির্ত্য রক্ষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতি দাবি করেছেন সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষ। তারা বলেছেন, আদিবাসী সমপর্কে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রানি- রয়েছে। জনসাধারণ আদিবাসী এবং দলিত কারা তা জানে না। তাদের নিজস্ব রীতিনীতি, মূল্যবোধ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক কার্যকলাপ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিবাহ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড রয়েছে। ‌‌‌‌‌আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় বাঙালি জনগোষ্ঠীকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে। 

শনিবার গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে তারা এসব কথা বলেন। উৎসবের স্লোগান ছিল, অধিকার, জীবিকা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলি একতায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আটিকেল নাইনটিন এর সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বন এই উৎসবের আয়োজন করে। ইয়ুথ লিডার ললিতা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী। 

আলোচনায় অংশ নেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উদীচী জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, এনজিও বিষয়ক কনসালটেন্ট সালমা পারভীন, ইয়ুথ লিডার স্মরণিকা মার্ডি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিরিন আকতার। আলোচকরা বলেন, বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা আর বহু জাতির সম্মিলনে বাংলাদেশ একটি জাতি- বৈচির্ত্যের দেশ। এ দেশের পাহাড় থেকে সমতলে ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বাস করে- যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি। তারা সংখ্যায় প্রায় ৪০ লক্ষাধিক, যা মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রায় ২ ভাগ। এদেশের বৈচিত্রময় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংখ্যাগুরু বাঙালিদের পরিচয় নেই বললেই চলে। মূলধারার জনগোষ্ঠীর অবহেলা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অভাবে আদিবাসীদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি আজ প্রায় বিপন্ন। কিছু কিছু এর মধ্যেই হয়ে গেছে বিলুপ্ত। এই বিপন্ন সংস্কৃতি উদ্ধার এবং বিকাশে প্রয়োজনে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এর আগে সকাল ১০টায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে তিন শতাধিক সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষ তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী জানান, অবলম্বন গত ১৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ মূলধারার উন্নয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তারা প্রান্তিকতার শেষ সীমায় বাস করেন। অবলম্বন তাদের জীবিকা, অধিকার এবং মূলধারার উন্নয়নের সাথে সমপৃক্ত করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে চায়।


আরও খবর



প্রায় ৬০ কোটি টাকার টোল আদায় ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ২১জন দেখেছেন

Image

ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক যানবাহন দেখা গেছে।

তিনি বলেন, সেতু পারাপারের সময় কমানোর লক্ষ্যে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সচিব বলেন, আমরা ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, যাতে যানবাহনগুলো অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সেতু পার হতে পারে।

সূত্র জানায়, ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড করেছে।

এই ঈদের ছুটিতে দেশের বৃহৎ সেতু দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ৫ জুন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় করেছে। 
একই দিনে যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

৫ জুন, যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে।


আরও খবর



গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

 ইসরাইলি বাহিনীর টানা হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা।

গাজা সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল, গাজা সিটি এবং মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

এরআগে তেল আবিব জানায়, হামাসকে পুরোপুরি পরাজিত করার লক্ষ্যে হামলা জোরদার করেছে নেতানিয়াহু সরকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়।

সেদিনের হামলায় ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে এএফপি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল নতুন করে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে আরো ৪ হাজার ৩৩৫ জন নিহত হয়েছেন। ফলে চলমান যুদ্ধে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে। 


আরও খবর