Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আশুলিয়া ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল মনির : আশুলিয়া ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাধারণ সভা ও বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্লবার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি:) দিনব্যাপী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকায় নাহার গার্ডেনে এ সাধারণ সভা ও বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি সংগঠনটির উপদেষ্টা সাংবাদিক মো: জহিরুল ইসলাম খাঁন লিটনের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আশুলিয়া ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের  সভাপতি মো: জাহিদ হাসান সিকদার।

বিশেষ অতিথি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবিএম জাহাঙ্গীর আলম, জামগড়া পল্লী চিকিৎসক সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো: নূর উদ্দিন পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পরিচালনায় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরীফুল ইসলাম পাঠান ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলী খান পাপ্পু।

এছাড়াও সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ সহ আরো অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন। সব শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালে ২১জন সদস্য নিয়ে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ জন।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু : শীতের বিদায়। আর ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সন্ধিক্ষণে। প্রাকৃতি যখন নিজেকে অপরূপ সাজে সাজাতে ব্যস্ত এমনই শুভ ক্ষনে। প্রতিবছরের ন্যায় শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে। সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালযে। উদযাপিত হতে যাচ্ছে ০৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‌।

উক্ত ০৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান সূচি: 

০৮ ই ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৮'৩০মি: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ০৯ ও১০ ফেব্রুয়ারি রবি ও সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। বাগেরহাটের শরণখোলার-৪ নং সাউথ খালি ইউনিয়নের-সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫। আজ শনিবার-০৮ ফেব্রুয়ারী জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন হল করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ১! জনাব সুদীপ্ত কুমার সিংহ-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- শরণখোলা- বাগেরহাট, বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন- ১! মোঃ শহীদুল্লাহ-অফিসার ইনচার্জ শরনখোলা- বাগেরহাট, ২! জনাব ধনঞ্জয় মন্ডল-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার-শরণখোলা বাগেরহাট, সভাপতিত্ব  করছেন: 

মোঃ আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি-উথখালীমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সদস্য সচিব-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি এন পি) শরণখোলা উপজেলা বাগেরহাট। অনুষ্ঠান পরিচালনায় থাকবেন: ১! মোঃ শফিকুল ইসলাম-সহ: শিক্ষক ২! মোঃ আলমগীর হোসেন-সহ: শিক্ষক, ৩! মোঃ রেহেনুল ইসলাম-সহ: শিক্ষক, ৪! মোঃ ইমতিয়াজ---সহ: শিক্ষক, সাউথ খালি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায়: ১! মোঃ শামীম হোসেন-সহ: প্রধান শিক্ষক ২! জনাব অনিমেষ শিকদার-সহ: শিক্ষক, সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় 

রেকর্ড সঞ্চালনায়: ১! মোঃ এমাদুল হক সহ: শিক্ষক, ২! জনাব শুভঙ্কর কুমার সাধক-সহ: শিক্ষক সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




স্ত্রীর দেনমোহর নিয়ে ইসলামে যা বলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক:  মহর হল বিয়ের মাধ্যমে নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের খাতিরে ইসলাম স্বামীর ওপর যে আর্থিক জিম্মাদারী আরোপ করেছেন তারই নাম দেনমোহর। দেনমোহরের মাধ্যমেই বিবাহ পূর্ণাঙ্গ ও বৈধ হয়। প্রাচীন আরবে যৌতুক দেয়ার প্রথা চালু ছিল, নবুয়াত প্রাপ্তির পর মোহাম্মদ (সা.) এই মোহর আদায় করা স্বামীর অবশ্য পালনীয় কর্তব্য এবং বিয়েতে স্ত্রীর জন্য মোহর নির্ধারণ এবং তাতে নারীর পূর্ণ মালিকানা প্রদান ইসলামি বিধানের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। দেনমোহর বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত এক গুরুত্বপূর্ণ হক বা অধিকার। দেনমোহর নারীদের অস্তিত্বের বিনিময় নয়। বরং মানবতা রক্ষার্থে দেনমোহর আদায় করা হয়ে থাকে। কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন আয়াতে দেনমোহরের কথা উল্লেখ রয়েছে। দেনমোহর বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যকীয় করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদের আপনি মোহরানা প্রদান করেন।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৫০)

‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪) হযরত আয়শা রা. নিহলার তরজমা ফারিজাহ করেছেন। আরেক জন প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ বলেন, আরবী ভাষাতে শব্দটি ওয়াজিবের অর্থে ব্যবহৃত হয়। এজন্য দেনমোহর ধার্য্য করা এবং তা আদায় করা ওয়াজিব। যদি কেউ দেনমোহর না দেওয়ার শর্তে বিবাহ করে তারপরও মোহরে মিসল (পারিবারিক দেনমোহর) দেওয়া ওয়াজিব হবে। ইমাম মালেক রহ. এর নিকট তো এমন অবস্থায় বিবাহই সংঘঠিত হবে না।

দেনমোহরের পরিমাণ

দেনমোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ দশ দিরহাম। যদি কেউ তার চেয়ে কম দেনমোহর নির্ধারন করে তাহলে তা ধর্তব্য হবে না; বরং দশ দেরহাম ওয়াজিব হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: দশ দেরহামের চেয়ে কম দেনমোহর নেই। ১০ দিরহাম বর্তমান হিসাবে ৩০ গ্রাম ৬১৮ মিলি গ্রাম হয়। বর্তমান টাকার হিসাবে সর্বনিম্ন দেনমোহরের পরিমাণ ২ হাজার ৮৩৫ টাকা। যদি ১ তোলা রৌপ্যের মূল্য ১ হাজার ৫০ টাকা হয়, তাহলে ৩০ দশমিক ৬১৮ গ্রাম রৌপ্যের মূল্য ২ হাজার ৮৩৫ টাকা। ইমাম মালেক (রহ.) এর নিকট দেনমোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ এক চতুর্থাংশ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) অথবা তিন দিরহাম খাটি রৌপ্যমুদ্রা। এক চতুর্থাংশ দিনার বর্তমান হিসাবে (প্রায় সাড়ে চার মাশা স্বর্ণ) এবং তিন দিরহাম। অর্থাৎ প্রায় ১১ গ্রাম। ইমাম মালেক (রহ.) কিছু হাদিসকে সামনে রেখেই এই মত পেশ করেছেন। ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এর নিকট দেনমোহরের কোনো সর্বনিম্ন পরিমাণ নেই। সর্বনিম্ন মূল্যবান জিনিসই তাদের নিকট দেনমোহর হতে পারে। তবে সর্বোচ্চ দেনমোহরের ক্ষেত্রে সকলেই একমত যে, তার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। কেননা কুরআনুল কারীমে দেনমোহরের ক্ষেত্রে (ক্বিনতার) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ অনেক সম্পদ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ১২ হাজার দিরহাম অথবা এক হাজার দিনারকে বলেছেন। সুতরাং নববী যামানা ও সাহাবিদের যামানাতে অনেক সময় অঢেল পরিমাণে দেনমোহর নির্ধারণ করা হতো। স্বয়ং নবী কারীম (সা.) এর পবিত্র স্ত্রীদের মধ্যে হযরত উম্মে হাবিবাহ (রা.) এর দেনমোহর চার হাজার দিরহাম ধার্য করা হয়েছিল, যা হাবশার বাদশাহ নাজাশী ধার্য করে নিজের পক্ষ থেকে তা আদায়ও করে দিয়ে ছিলেন। এ ব্যাপারে এক ঘটনা উল্লেখযোগ্য, আর তা হল: হযরত উমর রা. দেখলেন যে, লোকেরা আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে অধিক পরিমাণে দেনমোহর ধার্য করা শুরু করেছে, তাই তিনি মনে করলেন যে, দেনমোহরের একটা সর্বোচ্চ পরিমান ধার্য করে দেওয়া দরকার, আর তা ৪০০ দেরহামের চেয়ে বেশি হতে পারবে না। একথা তিনি মিম্বরে উঠে খুতবার মধ্যে উল্লেখ করেন। এরপর যখন তিনি খুতবাহ শেষে মিম্বর থেকে নেমে আসেন তখন এক কুরাইশী নারী বললেন: হে আমিরুল মু’মিনীন! আপনি এটা কিভাবে নির্ধারণ করলেন যে, ৪০০ দেরহামের বেশি দেনমোহর দেওয়া যাবে না? অথচ কুরআনে আল্লাহ তাআলা দেনমোহরের ব্যাপারে (ক্বিনতার) শব্দ উল্লেখ করেছেন, যার অর্থ প্রচুর পরিমাণ। অর্থাৎ তোমরা যত ইচ্ছা পারো দেনমোহর দাও। সুতরাং সেই অধিকারকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। হযরত উমর (রা.) এর মন নির্দিধায় সত্যকে গ্রহণ করার ছিল। সুতরাং ততক্ষণাৎ তিনি ইরশাদ ফরমান:

অনুবাদ: আল্লাহ আমাকে মাফ করেন, সকলেই উমরের চেয়ে বড় জ্ঞানী। অতপর তিনি পুনরায় মিম্বরে ওঠেন এবং ফরমান: হে লোকসকল! আমি তোমাদেরকে ৪০০ দেরহামের চেয়ে বেশি দেনমোহর দেওয়া থেকে মানা করেছিলাম, কিন্তু এখন তোমরা যত চাও তোমাদের সম্পদ থেকে দেনমোহর দিতে পার। আল্লাহ তাআলা যখন সাহাবায়ে কেরামকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করেছিলেন এবং তাদের অবস্থা ভালো হয়ে গিয়েছিল তখন তারা অধিক পরিমাণে দেনমোহর ধার্য করতেন। স্বয়ং হযরত উমর (রা.) এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, যখন তিনি হযরত আলী (রা.) এর কন্যা হযরত উম্মে কুলসুমকে বিবাহ করেন তখন চল্লিশ হাজার দিরহাম দেনমোহর হিসাবে ধার্য করেছিলেন। সম্ভবত তা নববী খান্দানের ইজ্জত এবং সম্মানের জন্য ছিল। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) এর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ আছে যে, তিনি তার কন্যাদের দেনমোহর এক হাজার দিনার রাখতেন। পরে ১৫০০ দিনারের কথা উল্লেখ রয়েছে। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) এক নারীকে বিশ হাজার দেনমোহরে বিবাহ করেছেন। হাদীসের শব্দে সাধারণভাবে বিশ হাজারের কথা উল্লেখ রয়েছে। সম্ভবত তার দ্বারা উদ্দ্যেশ্য বিশ হাজার দিরহাম। কিন্তু বেশির থেকে বেশি দেনমোহর রাখা শুধু লোক দেখানো এবং নিজের বড়ত্তের জন্য যেন না হয়, বরং সত্যিকার ভাবে তা স্ত্রীকে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে এবং তা আদায় করার মত সামর্থও থাকে; তাহলে বেশি ধার্য করাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থাতে দেনমোহর এত কম না হওয়া উচিৎ যার কোন গুরুত্বই থাকে না। আবার না এত বেশি পরিমাণ ধার্য করা উচিৎ যা আদায় করা কষ্টকর হয়ে যায় অথবা আদায় করার ইচ্ছাই না থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পবিত্র স্ত্রীদের সাধারণত ৫০০ দিরহাম দেনমোহর ছিল। বেশি গ্রহণযোগ্য অভিমত হল, হযরত ফাতেমা (রা.) এর দেনমোহর ৫০০ দিরহাম ছিল। এজন্য এটাকে মোহরে ফাতেমী বলা হয়। কিছু উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, ৫০০ দিরহামের বেশি দেনমোহর না হওয়া উচিৎ। ৫০০ দিরহাম বর্তমান বাজারের হিসাব হবে: ১ দিরহাম=৩ দশমিক ৯৭৫ গ্রাম। অতএব ৫০০ দিরহাম ১৪৮৭ দশমিক ৫০ গ্রাম। আমরা জানি, ১১.৩৩ গ্রাম-১ তোলা/ভরি। ১৪৮৭ দশমিক ৫০গ্রাম (৫০০দিরহাম)=১৪৮৭ দশমিক ৫০/১১ দশমিক ৩৩=১৩১ দশমিক ২৮ তোলা/ভরি। সুতরাং বর্তমান বাজারে প্রতি তোলা রুপা ১১০০ টাকা হলে, মোহরে ফাতেমী (১৩১ দশমিক ২৮ তোলা/ভরির) মূল্য হবে= ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৮ টাকা। স্বর্ণ ও রৌপ্যের মাধ্যমে দেনমোহর দেনমোহর ধার্যের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা উচিত। দেনমোহর এত কম পরিমাণ না হওয়া উচিৎ যার কোন মূল্যই বাকি থাকে না। আবার এত বেশি পরিমাণ হওয়া যাবে না যা স্বামীর জন্য আদায় করা অসম্ভব বা দুষ্কর হয়ে যায়। এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম স্ত্রীর পরিবারের অন্য সদস্যদের দেনমোহরের পরিমাণটা সামনে রেখেছেন। অর্থাৎ নারীর পিতার খান্দানের মেয়েদের দেনমোহরের পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে। ফিকহি পরিভাষায় তাকে মোহরে মিসাল বলা হয়ে থাকে। মোহরে মিসাল দ্বারা শুধু পরিমাণ উদ্দ্যেশ নয়, বরং তার মূল্যমানও দেখা হবে। যেমন: বিশ বছর পূর্বে যদি ফুফুর দেনমোহর দশ হাজার টাকা হয়ে থাকে এজন্য বর্তমানেও তার ভাতিজিকে দশ হাজার টাকাই দেনমোহর ধার্য করা হলে তা ইনসাফপূর্ণ কাজ হবে না। কারণ বিশ বছর পূর্বে দশ হাজার টাকা দ্বারা প্রায় দুই ভরি স্বর্ণ ক্রয় করা যেত আর আজকের বাজারে দশ হাজার টাকা দ্বারা আধা ভরিও পাওয়া যাবে না। সুতরাং শুধু মাত্র টাকার পরিমাণ দেখলে হবে না বরং বাজার মূল্যও দেখতে হবে। দু:খের বিষয় হল, আমাদের সমাজে আজ-কাল দেনমোহরের ব্যাপারে অনেক বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি দেখা যায়। এখনো অনেক এলাকাতে ও খান্দানে মাত্র পাঁচ, দশ হাজার টাকা দেনমোহর হিসাবে ধার্য করা হয়ে থাকে। যা মোটেই ঠিক না। আবার অনেক এলাকা এবং খান্দানে লোক দেখানোর জন্য লাখ লাখ টাকা ধরা হয়ে থাকে এবং তা আদায় করার ইচ্ছাও রাখে না। আজকাল যেহেতু কারেন্সির মুল্যের মাঝে স্থিতিশিলতা নেই বরং দিন দিন শুধু চড়া হতে চলছে এবং বিশ বছর পূর্বে পাঁচ হাজার অথবা দশ হাজার টাকার মূল্যায়ন ছিল, কিন্তু আজ এ পরিমাণ টাকা দিয়ে একটি গরিব পরিবারও চলতে পারেনা এবং আমাদের দেশে এ পরিমাণ টাকা কোথাও দেনমোহর হিসাবে দেওয়ার রেওয়াজও নেই; সুতরাং এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণ বা রৌপ্যের মাধ্যমে দেনমোহর ধার্য করাই উচিৎ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর যামানাতে দিনার স্বর্ণের হতো এবং দিরহাম রৌপ্যের হতো। স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যের মাঝে এখনো স্থিরতা রয়েছে। ফলে তা নারীদের হকের ক্ষেত্রে ইনসাফের বিষয় হবে। উদাহরণ স্বরুপ, আজ যদি কারো দেনমোহর টাকার পরিবর্তে পাঁচ তোলা স্বর্ণ ধার্য করা হয়, (যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা)। আর বিশ বছর পর যদি সেই দেনমোহর আদায় করতে চায় তাহলে তাকে সেই পাঁচ তোলা স্বর্ণই আদায় করতে হবে। তখন তার বাজার মূল্য আজকের মূল্য থেকে অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও নারী তার ধার্যকৃত দেনমোহরের সেই পাঁচ তোলা স্বর্ণই পাবে। কিন্তু এর বিপরীত যদি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর হিসাবে ধার্য করা হয়, তাহলে বিশ বছর পর যদি তা আদায় করতে চায় তাহলে তার উপর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই আদায় করা ওয়াজিব হবে। অথচ যেই টাকা দ্বারা তখন দুই তোলা স্বর্ণ ক্রয় করা যেত, আজ সেই টাকা দ্বারা এক আনা স্বর্ণও পাওয়া যাবে না। ফলে নারী এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াটাই নিশ্চিত এবং এটা তাদের সঙ্গে বেইনসাফি করা হবে। এক তো তাদের দেনমোহরকে সময়মত আদায় করা হয়নি, দ্বিতীয়ত যখন আদায় করতে যাচ্ছে তখন তার মূল্য আগের তুলনায় খুব কম। সুতরাং এ ব্যাপারে ‘ইসলামী ফিকহা একাডেমি ইন্ডিয়া’ ১৯৮৯ সালে এক ফিকহী সেমিনারের আয়োজন করে এবং নিম্নের বিষয়গুলো পাশ করা হয়: দেনমোহর স্বর্ণ এবং রৌপ্যের মাধ্যমে দেওয়া উচিৎ, যাতে করে নারীদের হকসমূহ পরিপূর্ণভাবে আদায় হয় এবং মুদ্রার মূল্যের ঘাটতির কারণে যেন নারীদের হকসমূহ নষ্ট না করা হয়। 

দেনমোহর-স্বামীর কাছে এক প্রকার ঋণ

এ কথা মনে রাখা দরকার যে, দেনমোহরও স্বামীর উপর অন্যান্য ঋণের ন্যায় এক প্রকার ঋণ। এজন্য সঠিক নিয়ম হল, বিবাহের সময়ই দেনমোহর আদায় করা। সাহাবায়ে কেরাম এবং পরবর্তী যামানাতে বিবাহের সময়ই দেনমোহর আদায় করার প্রচলন ছিল। যদি পুরা দেনমোহর আদায় না করতে পারত তারপরও বিবাহের সময় কিছু দেনমোহর আদায় করত। এ বিষয়টি আরবের ইসলামী সমাজে এত মজবুত ভাবে পালনীয় ছিল যে, ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন: যদি কোন নারীর বিবাহ হওয়ার পর এমন দাবী করে যে, আমার স্বামীর সাথে মিলন হয়েছে কিন্তু সে দেনমোহর আদায় করেনি, তাহলে তার এ দাবিটি বিশ্বাসযোগ্য ছিলনা। কারণ তা সমাজ ও পরিবেশে প্রচলিত আমলের বিপরিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত আমাদের এই উপমহাদেশে (ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে) বিবাহের সময় দেনমোহর আদায় করার কোন প্রচলন নেই। এখনতো অবস্থা এতোই খারাপ যে, যদি কেউ বিবাহের সময় দেনমোহর আদায় করে তাহেল সবাই মনে করে যে, স্বামীর মনে হয় তালাক দেওয়ার ইচ্ছা আছে!।

দেনমোহর আদায় করার নিয়ত যদি না থাকে

অনেক সময়তো দেনমোহর আদায় করার নিয়তই থাকে না। শুধু নামে মাত্র দেনমোহর ধার্য্য করা হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: যে বিবাহ করল এবং দেনমোহর শুধু ধার্য্য করল কিন্তু তার অন্তরে দেনমোহর আদায় করার নিয়ত নেই, তাহলে আল্লাহর দরবারে তাকে যিনাকারী হিসাবে গণ্য করা হবে। (নাউযুবিল্লাহ)

অন্য হাদিসে আছে যে, সে স্ত্রীর সাথে ধোকা বাজী করেছে, এজন্য সে কিয়ামতের দিন একজন যিনাকারী হয়ে উঠবে। কোন কোন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে তাকে অনেক যুলুম নির্যাতন করতে থাকে, যাতে করে স্ত্রী নিজেই দেনমোহর মাফ করতে বাধ্য হয়ে নিজেই চলে যায়। এটা খুবই নিম্ন স্বভাবের ও কলঙ্কময় কাজ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে খারাপ লোক ঐ ব্যক্তি, যে কোন নারীকে বিবাহ করে এবং তার প্রয়োজনকে পুরা করে তালাক দিয়ে দেয়, অথচ তার দেনমোহরও আদায় করে না। এজন্য পুরোপুরি ঋণ মনে করে বিবাহের সময়ই তা আদায় করার নিয়ত রাখা উচিৎ, কেননা যখন কোন ব্যক্তি তার ওপর ঋণকে আদায় করার নিয়ত করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার দিকে সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করে দেন। খোদা না করুন, যদি তালাকের পরিস্থিতি সামনে আসে তাহলে দেনমোহর আদায় করা থেকে বাঁচার জন্য বাহানা খোঁজা ঠিক না। বরং দেনমোহর ছাড়া আরো কিছু অতিরিক্ত দিয়ে স্ত্রীকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া উচিৎ। যাকে কুরআনে ‘মাতাউন’ বলা হয়েছে। ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন যে, কোন নারী যদি তার স্বামীর কাছে খুলআ কামনা করে, আর তা স্বামীর যুলুম ও নির্যাতনের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে সে অবস্থাতেও স্বামীর জন্য দেনমোহরকে মাফ করানোর বাহানা করা একটি অপছন্দনীয় কাজ। যদি নারীর ত্রুটির কারণে তালাকের পরিস্থিতি সামনে আসে, তাহলে দেনমোহর পরিমাণ ফেরত নেয়া অথবা মাফ করা জায়েজ আছে। এমনকি যদি দেনমোহর বিবাহের সময়ই আদায় করে থাকে তাহলে উত্তম হল সেই অবস্থাতেই রাখা। দেনমোহরের পরিমাণের চেয়ে বেশি আদায় করা মাকরুহ। 

ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে আগে দেনমোহর আদায় করা

যদি কোন কারণে স্বামী জীবদ্দশাতে দেনমোহর আদায় না করতে পারে, তাহলে অনেক এলাকাতে মৃত্যুর পর স্ত্রী থেকে দেনমোহরকে মাফ করানো হয়ে থাকে। কখনো এমন হয় যে, নারীর সামনে লাশ রেখে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বলা হয়ে থাকে যে, তোমার প্রাপ্য দেনমোহরকে মাফ করে দাও। সেই সময় নারী অনেক দুঃখ এবং ভারাক্রান্ত অবস্থায় থাকে, এমন অবস্থায় যদিও মন থেকে মাফ করতে না চায় তারপরও লোকমুখে লজ্জা-শরমের কারনে মাফ না করে উপায় থাকেনা। এমনটা করা অনেক ঘৃণিত ও শরীয়তের খেলাফ কাজ। শরীয়তের উসূল বা পন্থা হল, যদি কোন ব্যক্তি ইন্তেকাল করে তাহলে প্রথমে তার ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এরপর ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করা হবে। সুতরাং যেমনিভাবে অন্যান্য ঋণ আদায় করা ওয়াজিব এবং তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হতে হবে, তেমনিভাবে দেনমোহরও এক প্রকার ঋণ এবং তার ব্যাপারেও আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে। এজন্য দেনমোহর মাফ করানোর কোন অর্থই হয় না। সুতরাং অন্যান্য ঋণের ন্যায় স্ত্রীর ঋণও পরিশোধ করতে হবে। এরপর যা অবশিষ্ঠ থাকবে তা ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করা হবে।


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিলো তালেবান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জো বাইডেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে তালেবান। এমনটা জানিয়েছে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) কাবুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক তালেবান যোদ্ধার মুক্তির বিনিময়ে আফগানিস্তানে আটক দুই মার্কিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে দেশটির মুক্তি পাওয়া দুই নাগরিকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের নাম রায়ান করবেট ও উইলিয়াম ম্যাকেন্টি।

এখনও দুই মার্কিন নাগরিক তালেবানের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তাদের নাম জর্জ গ্লেজম্যান ও মাহমুদ হাবিবি।

২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য তালেবান সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। এই চুক্তির ফলে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়।

বাইডেন প্রশাসনের শেষ সময়ে চূড়ান্ত হওয়া বন্দি বিনিময়টি এমন এক সময়ে বাস্তবায়িত হলো, যখন মার্কিন-তালেবান সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি সম্পাদিত হয়।


আরও খবর



দারুল ইহসানের ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলের মুক্তির দাবীতে আশুলিয়ায় ছাত্র জনতার মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল মনির : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টির মারুফ হোসেন মুকুল এর নামে মিথ্যা মামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় জনতা। 

শুক্রবার  (২৪ শে জানুয়ারি ২০২৫) বাদ জুম্মা আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

মানব বন্ধনে এসময় বক্তারা বলেন, দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুল-এর নামে মিথ্যা মামলা করা হতেছে। ওই মামলায় অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ওই মামলায় মাদরাসার বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য প্রফেসর হেলাল আহমেদকেও আসামী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

বক্তারা বলেন, প্রফেসর হেলাল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রয়েছেন এবং তিনি ট্রাস্টির সদস্য। তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। তার বাড়ি আশুলিয়ার শ্রীপুরে। তাকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে  উত্তরা থানায় হত্যা মামলা (নং ১৮) তে আসামি করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয় যে, ট্রাস্টির সদস্য হেলাল আহমেদ থাকেন আশুলিয়ায়। আশুলিয়া থেকে এই বৃদ্ধ মানুষটিকে কিভাবে উত্তরা থানায় হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসার অন্য এক ট্রাস্টি মারুফ হোসেন  মুকুলকে একই মামলায় কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই গত ২২শে জানুয়ারী বুধবার আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে উত্তরা থানায় প্রেরণ করেন। অথচ তিনি জানেন না যে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।

প্রফেসর হেলাল আহমেদ ও মারুফ হোসেন মুকুলকে যে ভুয়া ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদেরকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবী জানান। তা না হলে শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২০ইং সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক দারুল ইহসান ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় জোরপূর্বক দখল করে তার মেয়েকে একটি অফিস বানিয়ে দেয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ৫ই আগস্ট দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলে নানক ও তার কন্যা পালিয়ে যায়। তখন ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দখল মুক্ত হয়। ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি কিংবা অন্য কোনো ট্রাস্টির আওয়ামী লীগ কিংবা-এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

দারুল ইহসান ট্রাস্টের সহকারী এস্টেট অফিসার মোঃ আসিফুজ্জামান, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থী সহ এলাকার সাধারণ জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গণমাধ্যমে নজিরবিহীন স্বাধীনতা: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন, সম্পদ পাচার রোধ, ভুল তথ্য মোকাবিলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে, তা অতীতের তুলনায় নজিরবিহীন। তবে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি রয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সঠিক তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।”

বৈঠকে অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বিধ্বস্ত ও সংকটাপন্ন অর্থনীতি পেয়েছে। পুনর্গঠনের জন্য আমাদের বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি জানান, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জুলাইয়ের ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এই পরিবর্তনকে সুসংহত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

তিনি ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা তুলে ধরে।

ড. ইউনূস বলেন, “দাভোস সফরে গিয়ে আমি দেখেছি, আন্তর্জাতিক মহলে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নেই। বরং, বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা আমাদের অর্জনকে দুর্বল করতে পারে।”

ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় খুঁজব।”

বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশন তাদের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করলে, প্রধান উপদেষ্টা তা স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভুল তথ্যের প্রসার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”


আরও খবর