Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

আর্জেন্টিনায় ফুটবলার ডি মারিয়া ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪০৮জন দেখেছেন

Image

নিজের জন্মশহর রোজারিওতে হত্যার হুমকি পেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা ডি মারিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ডি মারিয়া রোজারিওতে ফিরলে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

এখন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় খেলা ডি মারিয়া গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। ওই ঘোষণার পরই হুমকি পেলেন ডি মারিয়া। সোমবার ভোরে ডি মারিয়ার বাড়িতে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুড়ে ফেলে যায় অচেনা কিছু মানুষ। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা সেই কাগজে ডি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নর ম্যাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারোও ডি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।

ঠিক কী হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, সেই বার্তা পুলিশের বরাত দিয়ে আর্জেন্টিনার নিউজ পোর্টাল ইনফোবে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। সে যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




সিরিয়ার অবসান ঘটলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যুগের

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছে বলে সিরিয়ান কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন দেশটির সেনা কমান্ডার। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত সিরিয়ার একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বলছেন, সিরিয়া এখন আসাদ থেকে মুক্ত। এর আগে সিরিয়ার দুইজন সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আসাদ প্লেনে করে দামেস্ক ছেড়েছেন। তবে তিনি ঠিক কোথায় গেছেন- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। 

ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার একটি বিমান উড্ডয়ন করেছে। এরপর বিমানটি সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে যায়। তবে আচমকা বিমানটি ইউ-টার্ন নিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য উল্টো দিকে উড়ে যায় এবং ম্যাপ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। 

বিমানটিতে কারা ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। 

সিরিয়ার বিরোধীরা বলছেন, আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র বিরোধীরা বলেছেন, স্বেচ্ছাচারী শাসক আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা দামেস্ককে বাশার আল-আসাদ থেকে মুক্ত ঘোষণা করছি।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দামেস্কে প্রবেশ করছে বিদ্রোহীরা। বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, আমাদের সেনারা রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দামেস্কের প্রধান স্কয়ারে হাজার হাজার লোক গাড়িতে করে এবং পায়ে হেঁটে এসেছেন। তারা হাত নাড়ছেন এবং স্বাধীনতা বলে স্লোগান দিচ্ছেন।  

বিদ্রোহীরা বলছেন, আমরা সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে আমাদের বন্দীদের মুক্ত ও তাদের শিকল ভাঙ্গার এবং সেদনায়া কারাগারে অবিচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করার সংবাদ উদযাপন করছি। 

রাশিয়া এবং ইরান বাশার আল-আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। 

 

আরও খবর



অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: অদ্য ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪:১০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযানে দক্ষিণ কেরানাীগঞ্জ থানার মামলা নং-৩০(১২)২১, বিঃ ট্রাই-৪৫/২২, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ; অস্ত্র মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আসামী মোঃ মাসুম @ চুল্লু মাসুম (৩৫), পিতা-মোঃ মৃত অলিল মিয়া, সাং-খেজুরবাগ কবরস্থান, থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফাতার করে ।

 প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত মামলার ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রায় ঘোষনার পর থেকে ঢাকার কেরণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নাম পরিচয় গোপন করে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল।

 গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:
দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। আর সেই জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালি ধান আমন। কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ। হেমন্তের মিষ্টি বাতাসে দোল খাচ্ছে আমনের সোনালি শীষ। সোনালি ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। কেউ আঁটি বেঁধে ধানের বোঝা কাঁধে করে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এসব ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গড়ে ৩.৪-৩.৬ মেট্রিকটন ।এর মধ্যে আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উপশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রী-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাটাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত।

সরজমিনে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়ন, এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ও শিবনগর ইউনিয়নের  রাজারামপুর, গোপালপুর, জাফরপুর, পলিশিবনগর, শমসেরনগর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় , মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য মাঠে-মাঠে কিষান-কিষানিদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।

স্থানীয় কৃষক হাফিজুল হক চৌধুরী বলেন, এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হত। এখন স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আগাম জাতের ধান আবিষ্কার হওয়ায় জমি ফেলে রাখা হয় না। ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে প্রতি বছর আগাম ধান, আলু, ভুট্টাসহ চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে করে তারা লাভবান হচ্ছে।

আলাদিপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক ময়েজ আলী বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান লাগিয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলন ভালো হয়েছে, ইতি মধ্যে ১ এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাজারে দাম ও পেয়েছেন ভাল। বর্তমান বাজারে প্রতিবস্তা কাচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। ধান কাটা শেষে এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন,ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উবৃদ্ধির উপজেলা  এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এই উপজেলায়  বিগত বছরের চেয়ে এবছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ভাগ ধান কৃষ তাদের ঘরে তুলেছেন। কৃষক দামও বেশি পাচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে রক্ষা নেই বিহার-ওড়িশার, সর্তক করলেন মমতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, তাতে বিহার এবং ওড়িশাও রেহাই পাবে না বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 


আরও খবর



চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

 

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

 

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।


আরও খবর