Logo
আজঃ রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশের একটি জায়গা: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৬৪জন দেখেছেন

Image

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশের একটি জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, এই যে উদীচীর লক্ষ্য এই লক্ষ্যটা সামনে রেখে ৬৮র পর থেকে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ততা ছিল।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শীতকল্প ১৪৩০ শিরোনামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজনে ভাস্কর্য চত্বরে 'বন্ধু এখানে শুকানো পাতার আগুন জ্বালো' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, উদীচী শিল্পীরা অনেকে আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গান গেয়েছেন, আবৃত্তি করেছেন, নাটক করেছেন, পর্যালোচনা দিয়েছেন অর্থাৎ এই যে একটা প্লাটফর্ম এই প্লাটফর্মটা আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশের একটি জায়গা।

উপাচার্য আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা, নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা, বৈষম্যহীন সমাজ এবং এই যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র এ রাষ্ট্রটি কেবলমাত্র একটি জাতিসত্তার ধর্মাবলম্বী মানুষের নয়, বাংলাদেশের  মাটির মধ্যে কিন্তু একটা বহুমাত্রিকতা আছে। সেই বহুমাত্রিকতা হচ্ছে আমাদের এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ বসবাস করে এবং সর্বোপরি নারী বা পুরুষ হিসেবে না দেখে আমরা তাকে মানুষ হিসেবে দেখব। 

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের যে পবিত্র সংবিধান আছে সেই সংবিধানে জাতির পিতা চারটি পিলারের কথা বলে গেছেন। যা হচ্ছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র। তাহলে এখানে ওদের কাজটা কোথায়? উদীচীর কাজটা হচ্ছে এখানে গণতন্ত্র চর্চা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়া। 

উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, আজকে যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আছে একসময় এখানে ব্রাহ্মসমাজ তৈরি হয় তারপরে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে বের হলে আমরা দেখতে পাই চার্চ আর একটু গেলে মন্দির। আমাদের যে সংস্কৃতি চারপাশে আছে তা দেখে আমি বিশ্বাস করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মন কখনো সংকীর্ণ হতে পারেনা। পুরান ঢাকায় ২২০০ পুরনো বাড়ি আছে যেটা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বলেছে আমাকে। তারা আমাকে বলেছেন, ' যে আপা আপনি প্রত্নতত্ত্ব  বিভাগ খুলেন এখানে' আমি সেটাও চিন্তা করেছি।

উপাচার্য সাদেকা হালিম আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে। এজন্য উদীচীকে এগিয়ে যেতে হবে। উদীচী গান করবে তবে ছোট জায়গায় নয়, তারা চার্চে গিয়ে গান করবে, ধুপখোলা মাঠে, ট্রাকের উপরে, খোলা রাস্তায় গান করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডিং করতে চাই সে ব্র্যান্ডিংকরবে আমার শিক্ষার্থীরা। আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা একটি অসম্প্রদায়িক সমাজ সংস্কৃতি তৈরি করবে যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকবে। আমি প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি সুসংবাদ শুনতে চাই অন্তত মাসে একবার হলেও হোক সেটা।  

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, এই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর যাত্রা অনেক কঠিন। তারা ১৯৯০ সালে বোমা হামলা শিকার হয়। আমরা জানি সেই মামলা আজও নিষ্পত্তি হয়নি। সেখানে প্রায় ১০ জন কর্মী নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। বারবারই উদীচীর উপর আক্রমণ আসে। কারা আক্রমণ করে সে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ তাদের থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে এই বাংলাদেশ কিন্তু পাকিস্তান নয়। সেটা আমরা ৫২ বছর আগে ফয়সালা করেছি। সেই ফয়সালা শক্তি নিয়ে কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম আরও বলেন, 'বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং বিশ্বের মানচিত্রের মধ্যে এটা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে তার আগে থেকেই আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। এই অগ্রযাত্রার হাতিয়ার হতে হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। প্রজন্মকে তৈরি হতে হবে এমন ভাবে যেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমি গান গাইতে, নাচতে, আবৃতি করতে পারি। পাশাপাশি আমাদের ভালো ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও সামাজিক বিজ্ঞানী হতে হবে। চারুকলার একজন শিক্ষার্থী হয়ে আলো ছড়িয়ে দিতে হবে আমি যা কিছু শিখেছি চারপাশে। আমি কিন্তু সেটাই চাই। আমি এই জন্য এখানে এসেছি, তোমাদেরকে নিয়ে যেতে।'

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সারাবছর তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চলমান রাখে। দেশীয় যে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, গ্রামীন সমাজের ইতিহাস ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে উদীচীর শিল্পীগোষ্ঠীরা কাজ করে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে উদীচী সুদৃঢ় মনোভাব জাগ্রত করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে থাইল্যান্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে। পাশাপা‌শি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিংয়ের ট্রায়াল শিগগিরই শুরু হ‌তে পা‌রে। 

সোমবার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র স‌চিব মো. জসীম উ‌দ্দি‌নের স‌ঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ক‌রে এই তথ্য জানান থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উপকূলীয় নৌপরিবহন, কৃষি ব্যবসা, পর্যটন ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সংক্রান্ত পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।  রাষ্ট্রদূত জানান যে, থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে, যেখানে আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ই-ভিসা পাবেন।

আলোচনাকালে থাই রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফল সফরের কথা উল্লেখ করেন, যা থাই ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।  উভয়েই যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ৬ষ্ঠ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভা আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার পথ সুগম করবে।  

উভয়েই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শিগগির অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশি সুস্বাদু খাবারের প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জ্ঞান, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বিনিময়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ সভার আয়োজন এবং মুলতবি থাকা দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।  

তিনি ২০২৪ সালের মধ্য ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ‘ভিসা অব্যাহতি চুক্তি’ বলবৎ করা হবে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং থাইল্যান্ডের রানং বন্দরের মধ্যে একটি সরাসরি শিপিং লাইন বা জাহাজ চলাচলের পথ চালু করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।


আরও খবর



এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে নিকারাগুয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়া এবং বলিভিয়ার পথ অনুসরণ করে এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য আমেরিকা দেশ নিকারাগুয়া। শুক্রবার সরকারি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনেই তার সামরিক অভিযান সীমানবদ্ধ রাখেনি; তাদের সেনাবাহিনী লেবাননে অভিযান শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যেই সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরানের সামনে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে ইসরায়েল।”

“নিকারাগুয়ার সরকার ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং দেশটির সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বলিভিয়া। বলিভিয়ার পর চলতি ২০২৪ সালের ২ মে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করলেও, দেশটি থেকে নিজেদের কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে কার্যত ব্রাজিলের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা অবশ্য ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের নামে শত শত মানুষকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সেই আন্দোলনে অন্তত ৩০০ জন নিহত হন।ওই ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক রকম বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন ওর্তেগা।





আরও খবর



বরিশালে এক দিনে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩ জন।বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার নাসিমা বেগম (৩৫) ও আমেনা বেগম (৬০) এবং বানারীপাড়া উপজেলার তারিফ খান (১৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২২ অক্টোবর মারা যান। এর মধ্যে নাসিমা বেগম ২১ অক্টোবর ও বাকি দুজনকে ২২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিভাগে মোট মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ২৫ জন, বরগুনায়, পটুয়াখালী, পিরোজপুরে দুইজন করে এবং ভোলায় একজন মারা গেছেন।

এ ছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৩৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনায় ১২৯২ জন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭২১, বরিশালের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ৬০২, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫৬, পটুয়াখালীর অন্যান্য হাসপাতালে ৪৮৫, ভোলায় ৪৬৩, ঝালকাঠিতে ১১৯ ও পিরোজপুরে ৫৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,২৯১ জন, আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩১০ জন।ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের দ্রুততার সঙ্গে এবং অধিক গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। দেশে মূলত বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়ে। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চিকিৎসার পাশাপাশি এডিস মশা যেন না জন্মাতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

জনসচেতনতা না বাড়ালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক।



আরও খবর



চট্টগ্রামে নিজের মাঠে ভালো করার প্রত্যয় টাইগার স্পিনারের

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বল হাতে প্রতিদান দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে দলের স্পিন বোলাররা বেশ সফল ছিলেন। সেখানে ভালো করেছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান। এবার নিজ শহর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে ভালো করার কথা জানালেন নাঈম।বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে আজ রোববার নাঈম বলেন, ‘অবশ্যই নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলতে খুব ভালো লাগে। আগেও খেলেছি, আলহামদুলিল্লাহ আমার ক্যারিয়ারের দুটা ফাইফার এখানে। এখানে সুযোগ পেলে নিজের শতভাগে দেওয়ার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ আমার মনে হয় মিরপুরে যে উইকেট ছিল এখানে ভিন্ন উইকেট থাকবে। আমাদের স্পিনাররা তো আল্লাহর রহমতে খুব ভালো শেপে আছে- তাইজুল ভাই, মিরাজ ভাই, ইনশাআল্লাহ আমাদের ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’

জহুর আহমেদের মাঠ নিয়ে নাঈম বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ সর্বশেষ ম্যাচ যখন খেলেছি এ মাঠে ৬ উইকেট পেয়েছি। কিন্তু এখন চেষ্টা করছি, প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে আমাদের। চেষ্টা করছি নিজের শতভাগ দেওয়ার জন্য। মাঠে যা যা দরকার ওগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছি, সর্বশেষ ম্যাচে যে ভুলগুলো হইছে ওগুলো নিয়ে কাজ করছি যেন সামনে আর না হয়।’উইকেট বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বিশ্বাস নাঈমের, ‘উইকেট আমি দেখিনি, উইকেটটা যদি স্পিন ফ্রেন্ডলি হয়, তাহলে তো স্পিন হবে। আমাদের এ মাঠে একটু স্লো স্পিন হয়, যেটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ, ওরা তো মিরপুরে অনেক আস্তে বোলিং করেছে, আমাদের স্পিনাররা তো ৯০ এর ওপর বোলিং করে। ঐ হিসেবে আমাদের জন্য ভালো।’দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে সিরিজ বাঁচাতে এবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় টেস্টে চোখ বাংলাদেশ দলের। বাংলাদেশ দলের লাকি গ্রাউন্ড নামে পরিচিত জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মাঠে নামবে দুই দল। 


আরও খবর

আফগানিস্তান সিরিজে থাকছেন না সাকিব!

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




ভুল অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যু সহ প্রসূতির মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধার সাঘাটায় বোনারপাড়াস্থ সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ভুল অপারেশনে নবজাতক হত্যা,প্রসূতির মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রতিকারের জন্য প্রসূতির পরিবার সিভিল সার্জনের নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রসূতি উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের গোরের পাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম।
মোঃ কফিল উদ্দিন সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম (৩২) গত ১৮ মে প্রসব ব্যথা অনুভব হলে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রায়হান সোবহান, ডাঃ রাশেদুনবী উপস্থিত থেকে গভীর রাতে নাজমাকে আলট্রাসোনোগ্রাম এবং কোনো পরীক্ষাছাড়াই অপারেশন করেন। অপারেশনের সময় গর্ভে নবজাত মারা যায় এবং নাজমার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পারদিন ভোরে ঘটনা বেগতিক দেখে হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসকগণ প্রসূতি নাজমাকে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাতে হবে, একথা বলে তারা নিজেরা এ্যাম্বুলেন্স ডেকে সেখান থেকে তড়িঘড়ি ভাবে প্রসূতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদায় করে দেন। কিন্তু বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কতব্যরত চিকিৎসক নাজমার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শদেন। কিন্তু টাকার অভাবে ঢাকায় নিতে না পেরে নাজমার স্বামী এলাকার একজন লোকের সহায়তায় নাজমাকে বগুড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানে পরিক্ষা করে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতির মুত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করা সহ ভুল অপারেশনে রোগির মারাত্মক ক্ষতির বিষটি ধরাপড়ে। এঘটনায় সবুজবাংলা জেনারেল হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসক সহ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাজমার বড় ভাই।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্তে গেলে অভিযুক্ত হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঘটনা স্বীকার করেন এবং প্রসূতি নাজমাকে ঢাকায় নিয়ে তাদের খরচে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করার আশ্বাস দেন। এতে নাজমার পরিবার থেমে যায় এবং তাদের কথামতো বগুড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াহনষ্টিক সেন্টার হতে নাজমাকে গত ২৪ মে ঢাকা উত্তরার নস্ট্রাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানে সময় সবুজবাংলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাশেদুনবী প্রথমে উপস্থিত থাকলেও ২/১ দিন খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে তারা সটকে পড়েন। এদিকে সেখানে কতব্যরত চিকিৎসক জানান বিচ্ছন্ন মূত্রথলির অপারেশন ৩ মাস পরে করতে হবে এ কথা বলে প্রসূতি নাজমাকে অসুস্থ্য অবস্থায় সেখান থেকে ছুটি দিয়ে দিলে নাজমার অসহায় স্বামী বাড়ি থেকে সংসারের গরু-ছাগল হাঁস-মুরগী, জিনিপত্র বিক্রি ও ধারদেনা করে ক্লিনিকের অর্থ পরিশোধ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ভুল অপারেশনের বিষয়ে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ রাশেদুন্নবীর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সন্তান প্রসূতির গর্ভে আগেই মারা গেছে। তবে অপারেশনের সময় মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ,আমরা তা অপারেশনের জন্য খরচ বহন করতে চেয়েছি সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে। এতে রোগির লোকজন রাজি হয়নি। গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহার সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে এখন হাসপাতালটি বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর

বাংলাবান্ধায় ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪