Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরাইলের হামলা, নিহত ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪২৯জন দেখেছেন

Image

গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। রবিবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এর আগে ওই প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি দখলদাররা। সাহায্য চাওয়া ফিলিস্তিনিরা জানুয়ারি থেকেই ওই গোলচত্ত্বরে জড়ো হচ্ছেন এবং ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি চলন্ত ট্রাক থেকে খাবার পেতে চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় এবং এতে বহু লোক হতাহত হন। হামলার পর কিছু আহত লোক মাটিতেও পড়ে ছিল।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিক বার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবারেও কুয়েত গোলচত্ত্বরে হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। সেদিন ত্রাণের পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলি সেখানে জড়ো হয়েছিল। এটি দেখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখানে ভিড় জমায়। এরপর সাহায্য বিতরণের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।


আরও খবর



ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: গতকাল ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি মাইক্রোবাস যোগে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি তাৎক্ষনিক ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন বেউতা এলাকায় অবস্থান করে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং সন্দেহজনক গাড়ী তল্লাশী করতে থাকে। তল্লাশীর একপর্যায়ে একই তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৭:১০ ঘটিকায় সন্দিগ্ধ মাইক্রোবাসটি র‌্যাবের চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছানো মাত্র কর্তব্যরত র‌্যাব সদস্যরা মাইক্রোবাসটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামায়।

অতঃপর র‌্যাব সদস্যরা উক্ত মাইক্রোবাসে থাকা ০২ জন আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের মাইক্রোবাসে ফেনসিডিল আছে। পরবর্তীতে কর্তব্যরত র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেখানো ও বের করে দেওয়া উক্ত মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা  ০৩ টি সাদা রংঙ্গের প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত আনুমানিক ১৪,৬৭,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ সাতষট্টি হাজার) টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ (চারশত ঊননব্বই) বোতল ফেনসিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম  মমতাজ বেগম (৩৭), স্বামী-মোঃ নুরুজ্জামাল, সাং-বেউতা, ইউ/পি-তারানগর, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, ২। মোঃ নুরুজ্জামাল (৪০), পিতা- মৃত আক্কাছ, সাং-বেউতা, ইউ/পি-তারানগর, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে মাদক বহনে ব্যবহৃত ০১টি মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কেরাণীগঞ্জ মডেলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।


গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর



মাদারীপুরের শিবচরে বাবার হাতে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: মাদারীপুরে শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার হাতে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খুন হয়েছে।

রোববার সকাল আটটার সময় উপজেলার যাদুয়ারচর এলাকার গোমস্তাকান্দি গ্রামে এ ঘটে। নিহত ওই কলেজ ছাত্রীর গোমস্তাকান্দি গ্রামের ফরহাদ গোমস্তার মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের জাদুয়ারচর গ্রামের ফরহাদ গোমস্তা ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সাথে তাদের  কলেজ পড়য়া মেয়ে আইরিন আক্তার মুক্তিকে (১৭) নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ফরহাদ গোমস্তা তার পাশে থাকা মেয়ের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহত ওই কলেজ ছাত্রী শিবচরের  বহরমগঞ্জ কলেজের এইচএসসি  প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
আইরিন আক্তার মুক্তি হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন।

তিনি জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ বেড হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

 


আরও খবর



পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে ইলেট্রিশিয়ানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সোহান প্রামানিক (২০) নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানের গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত দশটায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বাঙালী শেড ব্র্যাকের বি-৩ কক্ষের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ার গাজী এন্টারপ্রাইজের হয়ে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ছিল। সে পাবনা সদর থানার বাহাদুরপুর এলাকার মধু প্রামানিকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহান গত ২০ নভেম্বর বাড়ি এসে কাজে যোগদান করে। গত দুইদিন ধরে সে অসুস্থ থাকায় বাঙালি সেডের ব্র্যাকে অবস্থান করছিল। গতকাল রাত নয়টার দিকে তার খালাতো ভাই অন্তর কাজ শেষে ওই ব্রাকে গিয়ে সোহানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ওই  কক্ষের দরজা খোলা ছিলো। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখন নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

আরও খবর



স্বর্ণসহ অভিনেত্রীর আটক নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী অনামিকা জুথী দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে আছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিনেত্রীসহ দুই যাত্রীর কাছ থেকে ৭৩৩ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬৯ লাখ টাকা। শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তাদের আটক করেন এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম ও শুল্ক গোয়েন্দারা।

আটক দুই যাত্রী হলেন— ঢাকার মিরপুরের নাট্যাভিনেত্রী অনামিকা জুথী ও চট্টগ্রামের রাউজানের মোহাম্মদ রায়হান ইকবাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।

দীর্ঘদিন ধরেই বিনোদন জগত থেকে দূরে আছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী অনামিকা জুথী। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে দুবাই থাকছেন। হঠাৎ করেই খবরের শিরোনামে এলেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম ঠিক এমন ‘৬৯ লাখ টাকার স্বর্ণসহ বিমানবন্দরে আটক অভিনেত্রী জুথি’। 

এমন খবরের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনামিকা জুথী বলেন, আটক করার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তবে কিছু স্বর্ণ আমার সঙ্গে ছিল, তবে সেটার জন্য ট্যাক্স দিতে হয়। অলরেডি আমি ট্যাক্স দিয়েছি। প্রয়োজনীয় পেপারে সাইন হয়ে গেলেই বাসায় ফিরব। যেভাবে নিউজ হয়েছে তা দেখে আমি বিব্রত। পরিচিত সবাই ফোন করছেন। কীভাবে এত বড় ভুল একটি তথ্য ছড়িয়েছে আমার বোধগম্য নয়। এটা আমার জন্য সম্মানহানিকর।

অন্যদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করলে দুই যাত্রীর কাছ থেকে চুড়ি, চেইন ও হোয়াইট গোল্ডের চেইনসদৃশ নিখাদ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অনামিকা জুথী তার দুই হাতে চুড়িগুলো স্কচটেপ দিয়ে আটকে এবং চেইনগুলো তাদের গলায় সুকৌশলে লুকিয়ে বহন করছিলেন। এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কারগুলো তারা তাদের হাতব্যাগে বহন করছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুই যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটযোগে (দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা) দুবাই থেকে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তবে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী হওয়ায় অ্যাভিয়েশন রুল অনুযায়ী তাদের একই বিমানযোগে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর