Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২৪জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। তিনি বলেন, আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে এতো বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ– বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।


আরও খবর



ULAB’s HULT PRIZE: Record-Breaking Year of Student Engagement and Innovation

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১১১জন দেখেছেন

Image

Md. Mehedi Hasan :  University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB) celebrates its fifth consecutive year hosting the prestigious HULT PRIZE, witnessing unprecedented student engagement. The application deadline, which closed on January 10, marked a milestone with 457 students forming 155 teams, making this edition the largest in ULAB’s history.


Renowned for its achievements, ULAB’s HULT PRIZE has earned the “Program of the Year” award for Central and South Asia and ranked fourth globally on the HULT PRIZE Billboard in 2022. This year’s theme, ‘UNLIMITED,’ challenges participants to develop innovative solutions addressing global issues through social ventures.

The overwhelming response highlights the growing entrepreneurial spirit within the ULAB community. ULAB looks forward to the groundbreaking ideas and transformative projects that will emerge, reinforcing its commitment to fostering positive societal impact.


আরও খবর



আদালতের নির্দেশে জুলাই-আগস্ট অভুত্থানে নিহত চারজনের মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল মনির : ঢাকার আশুলিয়ায় জুলাই-আগস্ট অভুত্থানে নিহত চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ গুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। 

শনিবার  (পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল থেকে আশুলিয়ার চারালপাড়া, পবনারটেক ও বগাবাড়ী আমবাগান এলাকা থেকে মরদেহগুলো উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। 

পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশে আশুলিয়ার চারালপাড়া, পবনারটেক ও বগাবাড়ী আমবাগান এলাকা থেকে মরদেহ গুলো উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এসময় আশুলিয়ার চারালপাড়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয় জুলাই-আগস্টে নিহত জাহিদুল ইসলাম সাগরের মরদেহ ও পবনারটেক কবরস্থান থেকে আশরাফুল ইসলাম নামে আরেকজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে দুপুরে আশুলিয়ার বগাবাড়ী আমবাগান কবরস্থানে দাফনকৃত আবুল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরেকজনের পরিচয় সনাক্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়। লাশগুলো উত্তোলনের পর রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার জানান, বিজ্ঞ আদালত ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। এখানে লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল করা হবে এবং পরে ময়নাতদন্ত করা হবে। ভাদাইল ও চারালপাড়া এলাকায় দুটি কবরস্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আমবাগান কবরস্থান থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রযুক্তি বিশ্বের মাথা ব্যথার নতুন কারণ ডিপসিক এআই

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্বে আলোচনায় এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’। কয়েকদিনেই নতুন এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট গুলো কাছে যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালে চীনের হ্যাংঝো শহর থেকে যাত্রা শুরু করা ‘ডিপসিক’-এর কারণে ধস নেমেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে। যার প্রধান কারণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা। প্রথম দিকে ছোট পরিসরে কাজ শুরু করলেও ২০২৪ সালে এর নতুন মডেল ‘আর-ওয়ান’ উন্মুত্ত করা হয়। কম সময়েই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে এই এআই অ্যাপ। ডিপসিকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে যেসব কারণ রয়েছে-

ফ্রি পরিষেবা: যেখানে চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়, সেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডিপসিকের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। সহজ ব্যবহার: সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এর ইন্টারফেস অনেক সহজ।

উন্নত পারফরম্যান্স: ইউজারদের মতে, এই এআই মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে আরও বেশি মিল রেখে উত্তর দিতে পারে।দ্রুতগতির প্রযুক্তি: প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর তুলনায় এটি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

এদিকে ডিপসিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক আমাদের প্রযুক্তি বাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের টেক জায়ান্টদের এখন ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।


আরও খবর



জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা বাংলাদেশে মোট ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশে প্রায় ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সমান। এই হিসেবে, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা পতন লক্ষ্য করা গেছে। ডিসেম্বরে দেশে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও, জানুয়ারিতে তা কমে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, যা জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ কম। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। 

এছাড়া, জানুয়ারির ২৬ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৫০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জানুয়ারির ১৯ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত এসেছে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার, এবং জানুয়ারির ৫ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। 

অন্যদিকে, ২০২৪ সালের পুরো বছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার পাঠানো হয়েছে। 

এছাড়া, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে এবং রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মূল কারণ হুন্ডির চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। সরকারের অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপের কারণে অবৈধভাবে অর্থ পাঠানোর সুযোগ কমেছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানিতে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে কিছুটা স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। তবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের তুলনায় কিছুটা কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে রয়েছে।

এভাবে, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে, তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিস্থিতি আরও মনিটর করা প্রয়োজন।


আরও খবর



দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন অনশনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।


সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে তারা অনশনরত রয়েছেন। এই সময়ে তারা পানাহার থেকে বিরত রয়েছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অনশনে অংশগ্রহণ করেছে বলে তারা জানান।



গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম জানান, ১৩ জন প্রাথমিকভাবে অনশনে বসেছি, অনশনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে ৫০ জনের মতো হয়েছে। আরও অনেক শিক্ষার্থী যুক্ত হবে।


সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কেউ আসেনি কথা বলতে। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত যেই আসুক আমরা অনশন অব্যাহত রাখব। এখনো কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়নি। সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই ক্লান্তি রয়েছে।


এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এই অনশনে বসেন। তাদের দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


জবি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, আমরা ৩ দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।


দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র সুকুল বলেন, অস্থায়ী আবাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আমরা লালফিতার দৌরাত্ম্য দেখতে চাই না, চিঠি বিলির কাহিনি আর শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।


আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব উল ইসলাম বলেন, জবির ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার, অনুগ্রহ নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সীমাহীন জায়গা সংকট, অবকাঠামোর ঘাটতি, আবাসন সমস্যায় ভুগছি। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এবং জনবহুল পরিবেশে শিক্ষার মৌলিক চাহিদাগুলো কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু গত দুই দশকে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবায়ন নয়।


এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের পেছনে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।


আরও খবর