Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

শুল্ক কমানোর পরও দাম বেড়েছে রোজার পণ্যের

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২৩জন দেখেছেন

Image

রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেলসহ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টো গত এক সপ্তাহে রমজানসংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ নয়। ডলার সংকটে সাধারণ ব্যবসায়ীরা এতদিন ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারেনি। তখন সরকার নজর দেয়নি। ফলে রমজানের এসব ভোগ্যপণ্য আমদানির সুযোগ নিয়েছেন সীমিত কয়েকজন আমদানিকারক। রমজানের আগ মুহূর্তে আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর অর্থ অনেকটা বড় আমদানিকারকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার মতো বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি চালের আমদানি শুল্ক-কর ৬৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আর সম্পূরক শুল্ক কমানো হয় ২০ শতাংশ। এ ছাড়া পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চিনি আমদানিতে প্রতি টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে, আগে যা ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর খেজুর আমদানিতে শুল্ক ৫৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেছে।

পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এ ছাড়া গত সপ্তাহে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬১ টাকা, পাম তেল ১৩১ টাকা ও সুপার পাম তেল ১৩৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, পাম তেল ১৩৪ টাকা ও সুপার পাম তেল ১৩৭ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ জামান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নুরুল আলম বলেন, ‘ডলার সংকটের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারেননি। ব্যাংক মালিক কিংবা কোনো না কোনোভাবে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমদানিকারকরাই প্রভাব খাটিয়ে পণ্য আমদানির সুযোগ পেয়েছেন। রমজানসংশ্লিষ্ট পণ্যসহ দেশের পুরো ভোগ্যপণ্যের বাজার এখন সর্বোচ্চ ১০-১৫ জন বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের হাতে সীমাবদ্ধ। ফলে রমজানের আগমুহূর্তে শুল্ক-কর কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। বরং এটা আমদানিকারকদের বাকি পণ্য আমদানিতে শুল্কছাড়ের সুযোগ করা দেওয়া। যার কোনো সুফল ভোক্তারা পাবে না।’

এ ব্যাপারে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ‘সাধারণ ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খুলতে পারছেন না বিষয়টা গত কয়েক মাস ধরে শুনে আসছি। তা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টরা কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’ ‘রমজানের আগমুহূর্তে এখন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। আমদানি থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত পূর্ণ প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’

শনিবার রাজধানীর কল্যাণপুর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুল্ক কমানোর পরও খুচরা পর্যায়ে ওই ভোগ্যপণ্যের দাম কমেনি। কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী আলী হোসেন বলেন, খোলা চিনি ১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা কেজি, ছোলা ১১০ টাকা কেজি, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা লিটার বিক্রি করছেন তারা।বেড়েছে ছোলার দামও ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে অস্বাভাবিক বেড়েছে রমজানের অন্যতম ভোগ্যপণ্য ছোলার দাম।

তারা বলেন, এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে ভালো মানের প্রতিকেজি ছোলা (অস্ট্রেলিয়া) বিক্রি হয়েছে ৮৭ টাকা। দাম ১০ টাকা বেড়ে সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার একই ছোলা ৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের যেসব ছোলা ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তার দাম এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকায়।

একইভাবে স্বাভাবিক সময় ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া সাদা মটরের দাম ঠেকেছে এখন ৬৬ টাকায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এবারে রমজানকে ঘিরে ছোলা আমদানি হয়েছে চাহিদার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। এই সুযোগে আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশিরভাগ ছোলা খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী (পায়েল ট্রেডার্স) কিনে নিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ী এখন ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে পায়েল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী পরিতোষ মহাজন বলেন, ‘বাজারের বেশিরভাগ ছোলা-মটর আমরা মজুদ করেছি, বিষয়টি সত্য নয়। আমরা ১০০-২০০ টন করে পণ্য কিনে বাজারে বিক্রি করি।’ তিনি কয়েকটি বড় কর্পোরেট গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশিরভাগ পণ্য রয়েছে।বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের বাজারে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাজারে একচেটিয়া প্রভাব রোধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি রমজানে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। চলতি সপ্তাহে আমদানিকারক ও পণ্য উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া ভারত পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন। ‘আমরা ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করব।’ তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ রয়েছে, মজুদ রয়েছে ১৭ লাখ টনেরও বেশি। ‘আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তৈরি কৃত্রিম খাদ্য সংকট বা মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করব না,’ বলেন তিনি।


আরও খবর



এবার অ্যালেক্সায় যুক্ত হচ্ছে এআই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১জন দেখেছেন

Image

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অ্যালেক্সা অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম। একাকী জীবনে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছিল অ্যালেক্সা। কিন্তু এআইয়ের দাপটে কিছুটা স্তিমিত ছিলো। তবে এবার নতুন উদ্যমে তাকে শক্তিশালী করে তুলছে অ্যামাজন। এবার অ্যালেক্সার মস্তিষ্কে যুক্ত হচ্ছে এআই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যালেক্সা নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। গত দুবছর ধরেই অ্যালেক্সাকে ঢেলে সাজাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে অ্যামাজন। তবে সংস্থার আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা রোহিত প্রসাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও সময় আসেনি। আপাতত আরো নানা প্রযুক্তিগত বাধা পেরতে হবে অ্যালেক্সাকে। তারপরই তাকে উন্মুক্ত করা হবে।

যেসব বাধা এখন অ্যালেক্সার চ্যালেঞ্জ

এর মধ্যে রয়েছে হ্যালুসিনেশন অর্থাৎ নকল জবাব। এছাড়াও সাড়া দেয়ার গতি ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারার মতো বিষয়গুলোতেও আরো নিখুঁত করা হচ্ছে অ্যালেক্সাকে। এখনও অ্যালেক্সাকে খুব সহজ কাজ দেয়া হয়। যেমন, অ্যালার্ম দেয়া কিংবা গান বাজানো। নতুন করে সে ভালো রেস্তোরাঁ খুঁজে দিতে পারবে কিংবা ব্যবহারকারীর ঘুমের রুটিন মেনে বেডরুমের আলোর দিকটা খেয়ালে রাখবে। ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিট আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। মাইক্রোসফট, গুগল, মেটা ও অন্য সংস্থাগুলো দ্রুত নিজস্ব এআই মডেল বাজারে আনলেও তাড়াহুড়া করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন। সেই সময় থেকেই তারা ব্যস্ত অ্যালেক্সাকে আরো নিখুঁত করে তুলতে। কয়েক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যালেক্সা। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে অ্যামাজনের এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি।


আরও খবর



চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক সাগর হত্যা মামলার প্রধান আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : -ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় “চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক সাগর @ রহিম হোসেন হত্যা মামলার” প্রধান আসামি রুবেল (৩০)’কে মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাসকারী সাগর @ রহিম হোসেন (৪০) তিনি অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৪/০১/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ২১:১৫ ঘটিকায় ভিকটিম রহিমের ছেলে সাকিব হাওলাদারকে একই এলাকায় বসবাসকারী মো: রুবেল এবং তার সহযোগী রনি মিলে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রহিমের সাথে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন মনু বেপারীর ঢাল এলাকার সামনে রুবেল ও তার সহযোগীর রনির সাথে দেখা হলে ভিকটিম রহিম তার ছেলেকে অন্যায় ভাবে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে রুবেল ও রনি মিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম রহিমকে উপর্যুপুরি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে এবং এক পর্যায় রুবেল একটি বাঁশ দিয়ে ভিকটিম রহিমের ঘার ও পিঠে স্বজোরে আঘাত করলে রহিম গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। এসময় ভিকটিম রহিমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। অতঃপর রহিমকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতঃপর উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ভিকটিম রহিমের অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম রহিমকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম রহিমকে মৃত ঘোষনা করে।

উক্ত ঘটনায় মৃত রহিমের ছেলে মো: সাকিব হাওলার বাদী হয়ে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় আসামি রুবেল ও তার সহযোগী রনির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩২, তারিখ-২৫/০১/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৬/০১/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন ভাগনা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক সাগর @ রহিম হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ রুবেল (৩০), পিতা-নোয়াব মিয়া, সাং-বোরহানিরবাগ, থানা-কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিদ্যালয়ের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

খোরশেদ রনি : লক্ষ্মীপুরে বিদ্যালয়ের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বৈদ্যুতিক লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম রাফসি ও নিশা। নিশা ওই এলাকার বকসি বাড়ির খোকা সিকদার ও রাফসি একই বাড়ির মো. রনির মেয়ে।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ আক্তার মিতু জানান, ‘গুরুতর দগ্ধ হয়েছে তারা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের স্বজনদের নির্দেশনা দিয়েছি ঢাকায় বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার।’

আবুল কাসেম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ছাদের পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক তারের লাইন। অসাবধানতাবশত দুই শিক্ষার্থী বৈদ্যুতিক লাইনের কাছে পৌঁছায়। পরে তাদের একজন লাইনটি স্পর্শ করলে অপরজন ছাড়াতে যায়। এতে দুজনেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ছাদে সব সময় তালা দেয়া থাকে। আজকে কে বা কারা তালা খুলেছে, তা আমরা জানি না। ছাদের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের খোলা তার গেছে। ঘটনার সময় চিৎকার শুনে আমরা তাদের উদ্ধার করি।’

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, ‘দগ্ধ শিশুদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি।’ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সচেতনতার ঘাটতি ছিল বলেও জানান ইমরান খান।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২০জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক: সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার রাতের মাদ্রিদ ডার্বি ছিল উত্তেজনা ও বিতর্কে ভরপুর। লা লিগার এই ম্যাচে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় রিয়াল মাদ্রিদ এবং আতলেতিকো মাদ্রিদের লড়াই। তবে এই ড্র ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, যা নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়।

প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেসের পেনাল্টি গোলে আতলেতিকো এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। কিন্তু মূল আলোচনার বিষয় ছিল, ৩১ মিনিটে রিয়ালের অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির সাথে আতলেতিকোর সামুয়েল লিনোর সংঘর্ষে রেফারির পেনাল্টি দেওয়া, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে। পেনাল্টি পরবর্তী সময়ে আতলেতিকো দলের একমাত্র গোলটি আসে। 

এদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এই ড্র ছিল টানা দুই ম্যাচে জয়হীন থাকার ঘটনা, যা শিরোপা ধরে রাখার পথে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৩ ম্যাচ শেষে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে রয়েছে, তবে আতলেতিকো মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে। 

বার্সেলোনা, যারা এই ড্রয়ের পর রিয়াল ও আতলেতিকোর সাথে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে ফেলেছে, তারা এখন শিরোপার দৌড়ে আরও বেশি আশাবাদী। 

এভাবে, মাদ্রিদ ডার্বি শেষ হলে, তৃতীয় দল হিসেবে বার্সেলোনা হাসিমুখে তাদের সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।


আরও খবর



বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার হামলার শিকার হয়ে সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভাঙচুরের ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বুধবার রাত আটটার দিকে ফেসবুকে ঘোষিত ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করে। রাত ১০টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। এরপর ক্রেন এবং এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাড়ির সামনের অংশের তিন তলা পর্যন্ত অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির ভেতরে থাকা দরজা, জানালা, লোহা, স্টিলসহ নানা জিনিসপত্র ভাঙা এবং লুট করার দৃশ্যও দেখা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, বাড়িটির পেছনের ছয়তলা ভবনটি ভাঙা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শত শত মানুষ বাড়ির ভেতরে ঢুকে নানা সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে আসছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার সাবধান’।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিক হাসান বলেন, "বাড়িটি পুরোপুরি ভাঙতে হবে। নাহলে ফ্যাসিবাদকে জিইয়ে রাখা হবে। আমরা এখানে স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে এসেছি।"

বিক্ষোভকারীরা "স্বৈরাচারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও" এবং "দিল্লি না ঢাকা" স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। বৃহস্পতিবার "জয় বাংলা" স্লোগান দেওয়ায় এক মধ্যবয়সী নারীসহ দুইজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র সরে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নীল আহমেদ বলেন, "যত বিভেদ থাকুক না কেন, হাসিনা এবং ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। এই বাড়ি ভেঙে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত করেছি।"

শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে:
-খুলনায়: ময়লাপোতা এলাকায় শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-চট্টগ্রামে: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জামাল খান এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে।
-সিলেটে: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-রাজশাহীতে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
-রংপুরে: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
-কুষ্টিয়ায়: আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের এই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই অবস্থান কতটা টেকসই হবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।


আরও খবর