Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

সীমানা ছাড়ানো জয়ার জৌলুস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৩৬৫জন দেখেছেন

Image

জয়া আহসান, ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে প্রথম পা রাখেন বড়পর্দায়। আলোচিত হয় প্রথম সিনেমাটি দিয়েই। দর্শকের নজরে কাড়েন সেই প্রথম সিনেমাই। এরপর তো শুধুই নতুন নতুন গল্প তার। হয়ে গেলেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী। দুই দেশের অসংখ্য সিনেমায় কাজ করে এমন বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছেন জয়া যা তাকে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। সেই সূত্রে কাজ করেছেন বলিউডে। পুরুষদের মধ্যে যেমন ফেরদৌস আহমেদ নারীদের মধ্যে তেমন জয়া আহসান। বাংলাদেশ থেকে এ দুজন অভিনয় শিল্পীই একই সঙ্গে দুই বাংলায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন। জয়া চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে প্রতিটি কাজে পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিয়ে নতুন নতুন কাজের পরিকল্পনা করছেন দুই বাংলার নির্মাতারা।

এদিকে ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত জয়া অভিনীত নতুন সিনেমা ‘ফেরেশতে’ প্রশংসিত হয়েছে। সিনেমাটির কলাকুশলীরা ভারতের গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ অভ্যর্থনায় ঋদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে ইরানের চলচ্চিত্র উৎসবে তার সিনেমা ‘ফেরশতে’ প্রতিযোগিতা করছে। এই সিনেমাটি ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেও উদ্বোধনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল।

আর এ দিকে, এই ভালোবাসার মাসেই আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’। ওই সিনেমার প্রয়োজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, সাত বছর পর জটিলতা কাটিয়ে গত বছরের নভেম্বরে সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে ‘পেয়ারর সুবাস’।

শোবিজে লম্বা ইনিংস খেলার প্রত্যয়ে মাঠে নামেন জয়া আহসান। বয়স পঞ্চাশের কোঠায় এলেও বর্তমানে দুই বাংলার সবচেয়ে কাক্সিক্ষত ও নন্দিত অভিনেত্রীতে পরিণত এই তারকা। ধারাবাহিক সাফল্য আর নব নব আনন্দে খবরে ভাসছেন। শুধু একের পর এক কাজ করা নয়, প্রতিটি সিনেমায় বক্স অফিসের সাফল্যকে অনেকটাই সুনিশ্চিত করেছেন। ঢাকা থেকে গিয়ে কলকাতার সিনেমায় এমন ঈর্ষণীয় জায়গা করে নেয়া অভিনেত্রী জয়া। যার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে তো বটে, বরং আরও প্রবল হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি টলিউড সিনেমায় বাণিজ্যিক সাফল্য এবং প্রশংসা উভয়ই নিজের ক্যারিয়ারের প্রাপ্তির ঝুলিতে ভরেছেন। বাণিজ্যিক ধারার বাহিরে এসে অভিনয় মেধায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় সফল জয়া। অবশ্য বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও অনেকটাই ডিজাইনার অ্যাক্টর নির্ভর। সেই চাহিদা এবং প্রত্যাশার ক্ষেত্রে জয়াও যে পরিণত মুখ, সঙ্গে গ্লামার আর ট্যালেন্টের প্যাকেজ। নায়িকা চরিত্রের গড়পড়তা ধারা থেকে বেরিয়ে চরিত্রনির্ভর অভিনয়ে সিদ্ধহস্ত জয়া। চরিত্রের খাতিরে তাই বারবার জয়াকেই বেছে নিচ্ছেন পরিচালকরা। জয়া বলেন, আমি চাইলে সুন্দর সেজে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে বহু সিনেমা করতে পারতাম। করিনি। তার জন্য টাকার লোভ, খ্যাতির লোভ সংবরণ করেছি। চেয়েছিলাম ‘আনকনভেনশনাল’ কিছু করতে।

দেশ-বিদেশে নানা স্বীকৃতি ছাপিয়ে মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পঞ্চমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জয়া। সিনেমায় সার্কাসের বিউটি চরিত্রে তার বাবা হত্যার প্রতিশোধের অদম্য লড়াই চালিয়েছেন। পুরস্কারটি জয়া উৎসর্গ করেছেন, যাত্রাশিল্পীদের প্রতিটি মানুষের প্রতি। নিজ দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও একাধিক সিনেমায় নিজেকে শীর্ষ স্থানে রেখেছেন তিনি। তার সঙ্গে টেক্কা দিয়েও পিছিয়ে ছিল অনেকেই। বিশেষ করে ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, পাওলী ধাম, শ্রাবন্তী চট্টপ্যাধায়দের পেছনে ফেলে বাংলাদেশের জয়াই ছিলেন সর্বাধিক আলোচনায়। কারণ ওপার বাংলার একাধিক নায়িকার সিনেমা মুক্তি পেলেও একই সময়ে মুক্তি পাওয়া জয়ার সিনেমাই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া একাধিক সিনেমায় সাফল্যের সূত্রে বলিউডেও কাজ করেছেন তিনি। সেখানেও তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। ফলে শীর্ষ নির্মাতা এবং প্রযোজকরা জয়াকে নিয়ে নতুন নতুন কাজের পরিকল্পনা করছেন।

অভিনেত্রীদের মধ্যে জয়ার শীর্ষস্থান দখলের সাফল্য ২০১৯ সাল থেকে। ওই বছর মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে ১৯ মার্চ মুক্তি পায় জয়া অভিনীত সিনেমা ‘অলাতচক্র’। আহমদ ছফার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ ছিল লক্ষ্যণীয়। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে আহমদ ছফার উপন্যাস অবলম্বনে হাবিবুর রহমান পরিচালিত ‘অলাতচক্র’ বাংলা ভাষায় প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র। উপন্যাসে লেখক আহমদ ছফা দানিয়েলের জবানিতে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। নিজের প্রেমিকারূপে সৃষ্টি করেছেন তায়েবা চরিত্রটি। যে চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হোন জয়া আহসান। অবশ্য এর আগে টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘রবিবার’ সিনেমায় অভিন করেন জয়া। সিনেমাটি দর্শক-সমালোচকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি ২০১৯ সালে রিলিজ হয় ‘দেবী’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’ নামে আরও তিনটি সিনেমা। তিনটিই সুপারহিট। এরপর কোভিড মহামারি ধাক্কা সামলে আরও একাধিক কাজের মাধ্যমে নিজের ধারাবাহিকতা ঠিকই বজায় রাখেন জয়া। তবে চলতি বছরটি জয়ার জন্য সুবর্ণ সময়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় চারটি নতুন সিনেমা। এর মধ্যে সৃজিত মুখার্জি নির্মিত জয়া অভিনীত ‘দশম অবতার’ ছিল মূল আলোচনায়। এ সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন জয়া। আর এই সিনেমাটিই দর্শক আগ্রহের মূলে ছিল। ব্যবসার দিক দিয়েও ছিল এগিয়ে। এ সিনেমায় দর্শকের সাড়ায় আপ্লুত জয়া আহসান বলেন, ‘দশম অবতার’কে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। গত বছরের ২ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় জয়া অভিনীত সিনেমা ‘অর্ধাঙ্গিনী’। কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত সিনেমাটি কয়েক মাস ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলে। এমনকি চলতি বছরের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে সুপারহিট তকমা পায়। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ এবং ‘দশম অবতার’ সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতে ফের সাফল্য হাজির জয়ার দুয়ারে।


আরও খবর



মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়নে গতি আনতে মাস্টারপ্ল্যানের তাগিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

উপকূলীয় মাতারবাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্রবন্দর, জ্বালানি কেন্দ্র এবং রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চল—এই লক্ষ্য সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ঘিরে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি (এমআইডিআই), যা এই অঞ্চলকে পরিণত করতে যাচ্ছে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ীকে বন্দর, উৎপাদন ও জ্বালানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি আনতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশনা দেন—মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে। পাশাপাশি সমুদ্রগামী বড় কনটেইনার জাহাজগুলোকে ধারণে সক্ষম টার্মিনাল গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

শুধু শিল্প নয়, শ্রমিকদের জন্যও পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন অপরিহার্য—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সফলভাবে প্রথম জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর, জাপান এখন মাতারবাড়ী-মহেশখালী অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেইআরএ এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ একাধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প এমআইডিআই উদ্যোগের মূলভিত্তি হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বুধবার (২৮ মে) শুরু হতে যাওয়া তার জাপান সফরে এমআইডিআই অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হবে। তিনি ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনায় মূলত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুসংহত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, মাতারবাড়ীকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনা ও রূপরেখা থাকা জরুরি।

এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। বৈঠকে এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।


আরও খবর



চিন্তামুক্ত থাকার জন্য যে দোয়া করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। ঘুম ভেঙে উঠেই একরাশ দুশ্চিন্তা চেপে বসে মাথায়। সারা দিন অফিসের কাজে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। চাকরি, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। কিছুতেই মন শান্ত হতে চায় না। এই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার কারণে রাতে যেমন ঠিকমতো ঘুম হয় না, তেমনই দিনভর অশান্তি, উৎকণ্ঠা কাজ করে মনে। মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য উপযোগী টিপসগুলো মেনে চলা উচিত। একইসঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তার কাছে দোয়া করা উচিত। এখানে একটি দোয়া তুলে ধরা হলো, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবেন। 

চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-

حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

উচ্চারণ : হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তার প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

দোয়ার ফজিলত 

হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবার সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রেখে) এই দোয়া পড়বে, অথবা ফজিলতের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া এমনিই দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সব ধরনের চিন্তা থেকে হেফাজত করবেন। (আবু দাউদ)

আল্লাহর ওপর ভরসা

বিপদ-আপদ এবং যেকোনো মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনতো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয়, যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের কাছে তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে’ ( সুরা আনফাল, আয়াত, ২)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে।’ (সুরা, নাহল, আয়াত : ৯৯)

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ ( সূরা নাহল, আয়াত : ৪২)

কোরআনের অন্যত্র আরও বর্ণিত হয়েছে ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ।’ ( সুরা ইবরাহীম, আয়াত, ১১)

আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনিই বান্দার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, বান্দার আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরোনোর পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে জীবিকা দেন যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটা পরিমাপ ঠিক করে রেখেছেন।’ (সুরা, তালাক, আয়াত : ২-৩)।


আরও খবর



গনঅধিকার পরিষদের বিপ্লবী গাইবান্ধা জেলার সাধারণ সম্পাদকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি 

গনঅধিকার পরিষদে গাইবান্ধা জেলার বিপ্লবী  সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম কে  ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন গাইবান্ধা জেলার ( জি ও পি এর  নেতৃবৃন্দরা।  গাইবান্ধা জেলা   ফুলছড়ি ও সাঘাটা ৫ আসনের বিভিন্ন জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, গাইবান্ধা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সম্মানীত বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে। শত-শত মোটরসাইকেলের সোডাউনের মাধ্যমে  পলাশবাড়ি উপজেলা থেকে পথ সভা  শুরু করে গাইবান্ধা সদর, মদনের পাড়া,কঞ্চিপাড়া,কালির বাজার,উদাখালী,উল্ল্যাবাজার,ভরতখালী দিয়ে সাঘাটা উপজেলায় শেষ হয়। উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি জনাব শামসুজ্জামান সিদ্দিকী মামুন,সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রুমন বসুনিয়া,ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারী জনাব এম এ রিপন রবি,জুয়েল রানা,মিজানুর রহমান পলাশ,আনিস সরকার,রাজা আনসারী, মশিউর রহমান,

শাকিল,মুরাদ,জিল্লুর,মোনারুল,মমিনুরসহ জেলা -উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দু।

তার আগে গণঅধিকার পরিষদের গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ে নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা ডিসি মহোদয়, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী মহোদয় ও ওসি মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর



গাজায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত ইসরাইলি ড্রোন হামলায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ২৯জন দেখেছেন

Image

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।

গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, ‘আজ সকালে খান ইউনিসের কাছে বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন’। 

তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের অন্যান্য হামলায় আরো চারজন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর