Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশুলিয়ায় গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কমিটি ঘোষণা

শার্শায় সরিষায় আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৬৬জন দেখেছেন

Image

সরিষার মৌসুমে মাঠে মাঠে হলুদ ফুলের আনাগোনা। পৌষের ঝিরঝির হিমেল বাতাসে সেই ফুল আপন মনে দোল খাচ্ছে। ফুল ও ফুলের সুবাস মানুষকে বিমোহিত করছে। ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা মৌমাছিও। মৌমাছি দলবেঁধে মাঠের পর মাঠ ছুটে বেড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য যশোরের শার্শার প্রতিটি মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, মাঠজুড়ে সরিষার চাষ হয়েছে। চাষিরা সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ঘরে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, শার্শা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। চলতি বছর তা বেড়ে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সরিষার জাত হচ্ছে বারি ১৪, ১৭, ১৮ এবং বিনা ৪, ৯ ও ১০।

কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাটি সরিষা চাষের উপযোগী। অনুকূল পরিবেশে এখানে কৃষকদের সময়োপযোগী উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকি কৃষকদের মাঝে সময়মতো সরকারি প্রণোদনার বীজ, সার দেওয়ায় সরিষা চাষ বাড়ছে।

কুমরী গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গেল বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছি।’

কায়বা রুদ্রপুর গ্রামের চাষি নাজিমুদ্দিন জনি বলেন, ‘বরাবরই আমি মৌসুমে সরিষা চাষ করি। প্রতিবার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে অনেক লাভবান আমি।’

ডিহি ইউনিয়নের দরিদূর্গাপুর গ্রামের ইমান, শালকোনার রফিকুল ও ইয়াছিনসহ বেশ কয়েকজন জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সরিষা চাষ করা যায়। সে অনুযায়ী কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। সরিষা চাষে সেচ ও রাসায়নিক সার কম দরকার হওয়ায় খরচও কম। এছাড়া সরিষার পাতা জমিতে পড়ে সবুজ সার তৈরি হয়, যা বোরো চাষে জৈব সারের চাহিদা মেটায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ বছর উপজেলার ৫ হাজার ৫০০ কৃষকের মধ্যে বিঘাপ্রতি প্রণোদনার ১ কেজি সরিষার বীজ ও ২০ কেজি সার বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে দ্রুত জো এসেছে। আশা করি চাষিরা গত বছরের তুলনায় বেশি ফলন ও দাম পাবেন।’


আরও খবর



আল জাজিরায় প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা অপকর্ম নিয়ে ২০২১ সালে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’—শিরোনামে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের পর বেশ আলোচনা তৈরি হয় দেশে। প্রতিবেদনটিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নানা কীর্তি ও তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পোক্ত করার নানা ঘটনা উঠে আসে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেসময় ব্রিটেনের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার ডেসমন্ড ব্রাউন কেসি’র পরামর্শ নিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা মানহানি মামলার বিশেষজ্ঞ ব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার সাবেক বাসভবন গণভবন থেকে একটি দুমড়ানো-মুচড়ানো নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হন ব্রাউন। পরে তাদেরকে একজন সলিসিটরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই সলিসিটর ব্রিটিশ আদালতে মামলা শুরু করতে পারতেন। সাক্ষাতের পরের মাসে এই দুজন শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

এই বৈঠকের কয়েকদিন আগেই আল-জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিটি প্রচার করেছিল। তাতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই প্রকাশ্যে গর্ব করে বলেন, তিনি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উঠিয়ে নিতে পারেন এবং ঘুষ নিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারেন।

এই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর জেনারেল আজিজ ও তার ভাইয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইউটিউবে প্রায় দশ মিলিয়ন (এক কোটি) ভিউ পাওয়া ওই ডকুমেন্টারি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জেতে। শেখ হাসিনার শাসনামলের সর্বব্যাপী দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু হাসিনার প্রশাসন ওই ডকুমেন্টারিকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যা, মানহানিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করে।

ডকুমেন্টারিটি প্রচারের পরপরই প্রতিবেদনের প্রধান হুইসেলব্লোয়ার জুলকারনাইন সায়ের খানের ভাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ডকুমেন্টারির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দেশ ছাড়তেও বাধ্য হন।

ঢাকায় শেখ হাসিনার বাড়িতে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, ওই ডকুমেন্টারিতে অবদান রাখা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করছিল তার সরকার।

এই নথির তথ্য বলছে, হাসিনা সরকারের ‘লাইবেল ট্যুরিজম’, অর্থাৎ মানহানির জন্য বিদেশি আদালত ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল। এ পদ্ধতিতে বিদেশি বাদীরা ব্রিটিশ আদালতকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের বাইরে অবস্থিত ব্যক্তি বা প্রকাশনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। অনেকেই মনে করেন, ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা বাদীর প্রতি সহানুভূতিশীল, তাই দেশটির আদালতের মাধ্যমে অস্বস্তিকর তথ্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানো সম্ভব। তবে হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, এ ধরনের কাজ ঠেকানোর জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব খুবই সীমিত।

সানডে টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত বাসভবনে অপ্রয়োজনীয় উপকরণের ভাণ্ডারের মধ্যে উদ্ধার নথিগুলি ইঙ্গিত দেয়, হাই কমিশন আল জাজিরা এবং ব্রিটিশ তদন্তকারী প্রতিবেদক ডেভিড বার্গম্যানসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ব্রাউনের সহযোগিতায় চেয়েছিল।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্রাউন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের একজন আইনজীবী রাখার পরামর্শ দেন, যিনি তাকে মানহানির মামলা এগিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিতে পারেন। তিনি রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জেরেমি ক্লার্ক-উইলিয়ামসকে সুপারিশ করেছিলেন। জেরেমি আল জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখে পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের সাথে দেখাও করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের বিকল্প বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করেছিলেন। এমনকি তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মামলা দায়েরের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করার কথাও বিবেচনা করেছিল।

উদ্ধার হওয়া নথিগুলোকে উদ্ধৃত করে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা ছিল। তাকে এই তথ্যচিত্রটি সাজানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বার্গম্যান এর আগে বাংলাদেশে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্য সানডে টাইমসকে বলেন, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে পতনের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রেফতার হতে পারেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না।

তবে ব্যারিস্টার ব্রাউন তার সংক্ষিপ্ত সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেন, তিনি বা ক্লার্ক-উইলিয়ামস কেউই প্রাথমিক পরামর্শের বাইরে আর কোনও পদক্ষেপ নেননি। এ বিষয়ে ক্লার্ক-উইলিয়ামসের মন্তব্য জানতে চেয়ে দ্য সানডে টাইমসের তরফ থেকে একাধিকবার ফোন ও ইমেইল করা করেও সাড়া পায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দেন। তবে সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন। ঢাকায় উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও, ইউটিউব ও মেটা উভয় প্ল্যাটফর্মই তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তথ্যচিত্রটি বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে যায়।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যচিত্রটির ফলাফল সুদূরপ্রসারী পরিণতি এনেছিল। আজিজ আহমেদ এবং তার ভাই বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে হুইসেলব্লোয়ার এবং প্রতিবেদনটিতে যারা অবদান রাখে তাদেরকে হুমকি, সহিংসতা এবং নির্বাসন সহ্য করতে হয়েছিল।


আরও খবর



জানুয়ারির ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক: চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে বৈধপথে দেশে এসেছে ১৬৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৪ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। তবে ৮টি ব্যাংকে আলোচ্য সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।  

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের নীতিগত পদক্ষেপ ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতার কারণে প্রবাসীরা এখন বেশি পরিমাণে বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা একক মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনা বলছে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের প্রতিটি মাসেই রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: কাতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি আগামীকাল রোববার গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানায়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে আগামীকাল স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, ‘সবাইকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

ছয় সপ্তাহের প্রথম যুদ্ধবিরতির পর্যায়ে হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী (সেনা ও বেসামরিক), শিশু এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ থাকবে।

প্রথমে নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সীদের মুক্তি দেবে, পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনজন করে জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস। ৩৩ জিম্মির বাকি অংশ মুক্তি দেবে চুক্তির শেষের দিকে। প্রথমে জীবিতদের মুক্তি দেওয়া হবে, তারপর জিম্মিদের মরদেহগুলো পাঠানো হবে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল প্রতিটি বেসামরিক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি প্রতি ইসরায়েলি নারী সেনাদের বিপরীতে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ জন মুক্তি পাবে।


আরও খবর



চৌকা সীমান্তে ভারতীয়দের হামলায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন লন্ডন প্রবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

 চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ চৌকা সীমান্তে ভারতীয়রা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ফসল ও গাছপালা কেটে ফেলে এমন অবস্থায় বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার্থে ভারতীয়দের সাথে গন্ডগোল জড়িয়ে পড়ে, ভারতীয়রা ইট পাটকেল, তীর, বল্লম, হাসোয়া, হাত বোমা নিক্ষেপ করে ও বিএসএফ বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে কাঁদানি গ্যাস ছুড়ে তাতে বাংলাদেশী ৫ জন আহত হয়। 

আহতরা হলেন উপজেলার কালিগঞ্জ মালোপাড়া গ্রামের ফারুক (৩৫), বিশ্বনাথপুর গ্রামের ঝাইটনের ছেলে আসমাউল (১৬) কালিগঞ্জের জিন্নুরের ছেলে তরিকুল (৫৫) সহ পাঁচ।

আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ রাহমান শামীম আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতাও করেন তিনি।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইলিয়াস, তৌহিদ, মুন্নার মতো পরিণতি আর দেখতে চাই না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যা দেখতে চায় না, কুমিল্লার ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস, রাজধানীর উত্তরায় নিহত ছাত্রদল নেতা মুন্না এবং যৌথবাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মতো ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি বিএনপি চায় না বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, যারা দখলদারিত্ব করবে তারা দল ও দেশের শত্রু। আওয়ামী লীগ হলেই তার কাছে গিয়ে মাস্তানি করা যাবে না। এটা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা অর্জন না করলে দেশ পরিচালনা করতে পারবে না বিএনপি। সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এসময় মহাসচিব ছাত্রদের নতুন দল গঠনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারে থেকে দল করলে মানুষ তা মেনে নেবে না। অযথা সংঘাতমূলক কোন কথা রাজনীতিতে আনতেও নিষেধ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। ঐক্যকে অনেকে ভাঙার চেষ্টা চলছে তাই আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেয়া যাবে না।


আরও খবর