Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

রোনালদোর গোলে বড় জয়ে বছর শেষ আল নাসরের

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে ২০২৩ সালের একের পর এক গোল করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফুটবলার। বছরের শেষটাও করে গোল করে। আর রোনালদোর গোলের দিনে বড় জয় দিয়ে বছর শেষ করেছে আল নাসর।

৩০ ডিসেম্বর সৌদি লিগের খেলায় আল-তাউনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। রোনালদো ছাড়াও আল নাসরের হয়ে গোল করেছেন মার্সেলো ব্রোজোভিচ, আয়মারিক লাপোর্তে ও ওতাভিও।

ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আল নাসর। ১৩ মিনিটে গোল করে আল তাউনকে এগিয়ে দেন আশরাফ এল মাহদিওইয়ে। তবে ম্যাচের ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে আল নাসর। ব্রোজোভিচ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এরপর লাপোর্তের গোল ম্যাচে প্রথমবার লিড পায় আল নাসর। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রোনালদোরা।

বিরতি থেকে ফিরেই লিড বাড়ায় আল নাসর। ওতাভিওর গোলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় সৌদি ক্লাবটি। আর ম্যাচের ৯২ মিনিটে গোলের দেখা পান রোনালদো। দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে চলতি বছরের ৫৪তম গোলের দেখা পান পর্তুগিজ এই সুপারস্টার। 

শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের বড় জয়ে নিয়ে বছর শেষ করে আল নাসর। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকল আল নাসর। শীর্ষে থাকা আল-হিলালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে রোনালদোর দল। 


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ সামনে রেখে রাওয়ালপিন্ডি থেকে দেশে ফেরার পর নিয়মিত অনুশীলন করেছে টিম টাইগার্স। কাপ্তান নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা ভারত সিরিজ নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ এবং তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আজ (রোববার) দুপুরে দেশ ছাড়লেন ক্রিকেটাররা।দুপুর ১টা ৫ মিনিটের ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন ক্রিকেটাররা। দলের সঙ্গে এদিন ১৫ ক্রিকেটার গিয়েছেন। এ ছাড়া ইংল্যান্ড থেকে ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। এদিকে, দেশ ছাড়ার আগে জেতার পরিকল্পনার কথাই জানালেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বলছিলেন, 'পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো, যাতে ভালো ক্রিকেট খেলা যায়। বাংলাদেশ দল জিতুক এটাই পরিকল্পনা। সেই লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব। আর আমি নিজেও ভালো প্রস্তুতি নিতে ভারত সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে দাবি করে শান্ত বলেন, ‘এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ তারা আমাদের থেকে র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ বেশিরভাগ ম্যাচে শেষ দিনে গিয়ে ফলাফল হয়। তাই শেষদিন পর্যন্ত খেলা নিতে পারলে আমাদের হয়তো একটা সুযোগ থাকবে। কি ধরনের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, সেটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে আমাদের যেহেতু অনুশীলন সেশন রয়েছে, তাই আশা করছি ভালো কিছুই হবে।’পেরেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দলের হয়ে অবদান রাখার।’

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বরে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৬ সেপ্টেম্বরে কানপুরে। দুটি টেস্ট ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টেস্ট শেষে মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।



আরও খবর



ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: গত শনিবার দিবাগত রাতে হঠাৎ ইউটিউবে ফাঁস হয়ে যায় শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’। চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা এটি। গত শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সিনেমাটি আপলোড করা হয়েছিল। গত রোববার দুপুর নাগাদ ওই চ্যানেলটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত শনিবার দিবাগত রাত ১টায় রায়হান ইউটিউব নামে একটি চ্যানেলে দেখা গেছে ‘তুফান’ ছবির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারণ। আপলোডের সময় থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি দর্শক ছবিটি ওই চ্যানেলে উপভোগ করেছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর চরকি ও হইচইতে অবমুক্ত হয় ‘তুফান’। মাত্র ৯ দিনের মাথায় তা ফাঁস হলো ইউটিউবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৭ জুন দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার, ওমানে, মালয়েশিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘তুফান’। দেশে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমা ‘তুফান’। দর্শকদের আগ্রহের কারণেই ওটিটিতে মুক্ত করা হয়েছিল ছবিটি। সিনেমার দুটি গান উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো লেগেছে দর্শক-শ্রোতাদের। যার একটি ‘লাগে উরাধুরা’ ও ‘দুষ্টু কোকিল’। শাকিব খান, চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন দেশের বেশ কজন উল্লেখযোগ্য অভিনয়শিল্পী। ‘তুফান’-এ অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আদনান আদিব খান, রায়হান রাফীর গল্পে, আদনান আদিব খানের চিত্রনাট্যে ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওটিটি থেকেই বিশেষ উপায়ে ছবিটি ফাঁস হয়েছে।


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪




লেবাননকে ১০ কোটি ডলারের ত্রাণ সহায়তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব আমিরাতের লেবাননকে ১০ কোটি ডলারের জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিবৃতিটিতে ত্রাণ সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে বিবৃতিটিতে। লেবাননের ঐক্য, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে দেশটির, তাও পুনঃনিশ্চিত করা হয়েছে সেখানে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা বেড়েছে। লেবাননের দক্ষিণে ও রাজধানী বৈরুতের অংশবিশেষে ইসরায়েল মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। তাতে আহত হন আরও কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর



বাংলাদেশের এই টেস্ট দলকে সেরা বলে মনে করছেন হার্শা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ–ভারত সিরিজ নিয়ে আগ্রহ–উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগে থেকেই। প্রতিদিনই দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করায় এবার সাকিব–মুশফিকরা ভারতীয়দের কাছ থেকে বাড়তি সমীহ পাচ্ছেন।সমীহ করাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশিদের কাছেও পরিচিত নাম। বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রায়ই তিনি প্রশংসা করে থাকেন।

এবার রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেছেন হার্শা। ভারতকে ফেবারিট মানলেও নাজমুলের দল দারুণ লড়াই করে সিরিজ জমিয়ে তুলবে বলে আশা তাঁর।

গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো তারা (বাংলাদেশ) এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাদের কিছু পুরোনো সফরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে এবং ডারউইনে (ও কেয়ার্নসে) খেলা হয়েছিল অসময়ে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালের সেই সফরেও তিনটি টি–টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতলেও এরপর হেরেছে সব ম্যাচ। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি। মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সেই দল দুই টেস্টেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।

তবে এবারের বাংলাদেশ দলকে আগের চেয়ে অনেক ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে হার্শার। সে কারণেই তাঁর আশা সাকিব–মুশফিকরা সিরিজটা জমিয়ে তুলতে পারেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’

ভারতে এবার বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হার্শার বিশ্লেষণ, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক। তবে প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে।’



আরও খবর



কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : সৃষ্টির ওপর স্রষ্টার মর্যাদা যেমন, সব বাণীর ওপর কোরআনের মর্যাদাও তেমন। তাই ঐশীবাণী পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াতের ফজিলত এবং মর্যাদাও সবচেয়ে বেশি। এতে রয়েছে অনেক সওয়াব, কল্যাণ, রহমত, বরকত, আত্মার প্রশান্তি ও ইমানি শক্তি। কোরআনের প্রতিটি আয়াতে যেমন রয়েছে বিশ্ব মানবতার হেদায়েত ও মুক্তির বার্তা, তেমনি কোরআন তেলাওয়াতে রয়েছে বিশ্ববাসীদের জন্য অফুরান সওয়াব ও পুরস্কারের ঘোষণা। কেননা বান্দার জন্য আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একমাত্র মাধ্যম পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের বয়সের সময় ও শ্রম কম, কিন্তু তার সম্মান ও সওয়াব অনেক বেশি।

এ উম্মতকে আল্লাহতায়ালা কালামুল্লাহ বা আল কোরআন দান করেছেন, যা স্বয়ং আল্লাহর কথা। হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতেন, তবে তা ছিল নির্ধারিত সময়ে। আর এ উম্মতের জন্য যখন খুশি তখন আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু বলেন, আমার যখন মন চাইত আল্লাহর সঙ্গে কথা বলব, তখন আমি কোরআন তেলাওয়াত শুরু করে দিতাম। রমজান মাস ছাড়া পবিত্র কোরআন শরিফ খতম করে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ইচ্ছে করলে নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে ও সকাল-বিকাল দু-চার পৃষ্ঠা করে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা যায়। তাতে দেখা যাবে প্রতি দুই মাস তিন মাসে একটি করে খতম হয়ে যাবে। এছাড়াও কাজের সময়ও মুখস্থ করা ছোট ছোট সুরাগুলো আমরা পড়তে পারি অথবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে থেকে দেখে দেখে তেলাওয়াত করতে পারি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব নিয়মিত তেলাওয়াত করবে সেই ব্যক্তিকে যখন মৃত্যুর পর কবরে দাফন করা হয় তখন ফেরেশতারা মাথার দিক থেকে আজাব দেওয়ার জন্য এলে তখন কোরআন তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা সামনের দিক থেকে আসে তখন দান-সদকা তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা পায়ের দিক থেকে আসে, তখন মসজিদে পায়ে হেঁটে যাওয়া তাকে বাধা দেয়। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে মমিন ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হলো কমলা লেবুর মতো, তার স্বাধও ভালো আবার ঘ্রাণও ভালো।

তেলাওয়াতবিহীন মুমিনের উদাহরণ হলো খেজুরের মতো, তার স্বাদ ভালো কিন্তু কোনো ঘ্রাণ নেই। আর কোরআন তেলাওয়াতকারী পাপী ব্যক্তির উদাহরণ হলো ফুলের মতো, ঘ্রাণ ভালো কিন্তু স্বাধ তিক্ত। আর যে কোরআন তেলাওয়াত করে না এমন পাপী মমিনের উদাহরণ হলো মাকালের মতো, যা দেখতেই সুন্দর, তবে স্বাধে তিক্ত, বিষাক্ত ও দুর্গন্ধময়। (বোখারি)। বিশ্বনবী প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোরআনের আয়াতের সংখ্যার পরিমাণ হবে জান্নাতের সিঁড়ি, আর কোরআনের পাঠককে বলা হবে তুমি যতটুকু কোরআন পড়েছ, ততটুকু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাও। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কোরআন পড়েছে, সে আখেরাতে জান্নাতের সর্বশেষ ধাপে উঠে যাবে। আর যে ব্যক্তি কোরআনের কিছু অংশ পড়েছে, সে সমপরিমাণ ওপরে উঠতে পারবে।

আর তার কোরআন পড়ার সীমানা যেখানে শেষ হবে সেখানে তার সওয়াবের সীমানাও শেষ হবে। দুনিয়াতে কোরআন চর্চা তথা শিখা এবং শিখানোর ফজিলত সম্পর্কে প্রিয় নবী বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্ব উত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শিখে অতঃপর অন্যকে শিখায়। (বুখারি)। প্রিয় নবী আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি  কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে একটি নেকি পাবে আর একটি নেকি ১০টি নেকির সমপরিমাণ। (তিরমিজি)। দয়ার নবী (সা.) ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন কোরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে- তুমি পবিত্র কোরআন পড় এবং জান্নাতের ওপরে উঠতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে সুন্দর ও সহিভাবে, তারতিলের সঙ্গে কোরআন পড়তে, সেভাবেই পড়। জেনে রাখ যেখানে তোমার আয়াত পাঠ করা শেষ হবে, জান্নাতের সেই সুউচ্চ স্থানই হবে তোমার চিরস্থায়ী সুখ শান্তিময় বাসস্থান। (তিরমিজি)।

প্রিয় নবী (সা.) আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে, তা মুখস্থ করবে এবং তার বিধি বিধানের প্রতি যত্নবান হবে, সে উচ্চ মর্যাদার সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে জান্নাতে অবস্থান করবে, আর যে ব্যক্তি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কোরআন পাঠ করবে এবং তার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবে, সে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (বুখারি- মুসলিম)। নবীজি (সা.) আরও ইরশাদ করেন, তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর, কেননা কেয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হবে। 



আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪