Logo
আজঃ রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পর্তুগালে ‘অনৈতিক’ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৬৩জন দেখেছেন

Image

পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন চালু করার পর অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে আশ্রয় আবেদন বা লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ইইউ সেন্ট্রাল ডাটা সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই শুরু করার কারণে যারা অনৈতিকভাবে পর্তুগাল ছেড়ে গেছেন তাদের প্রসেস বাতিল বা বিভিন্ন বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করছে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ)।

এখানে উল্লেখ্য, একজন প্রফেশনাল বা কর্মজীবী হিসেবে পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন করা হলে এখানে তাকে চাকরি বা ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে এবং একই সঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের সীমানা ছেড়ে যেতে পারবেন না। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে তার প্রসেস বাতিল হয়ে যাবে, যা আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত।

পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আশায় এখানে প্রসেস চালু করে বেশি আয়ের জন্য ইউরোপের অন্য দেশে অবস্থান করছেন তবে বর্তমানে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার থ্রি পিলার খ্যাত ভিসা ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিআইএস), সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম (এসআইএস), ইউরোপিয়ান ডাকটাইলসকপি (ইউরোডাক) কার্যকর করার কারণে অভিবাসীরা পর্তুগালে ফিরতে শুরু করেছেন।

তবে এদের হঠাৎ করে দলে দলে ফেরা পর্তুগালের বাসস্থান এবং কর্মক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ হাজার হাজার অধিবাসী একই সঙ্গে পর্তুগালে প্রবেশ করছেন ফলে একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, তাছাড়া পর্তুগাল ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করার কারণে পর্তুগিজ ভাষায় তাদের দক্ষতা না থাকার কারণে চাকরি বা যথাযথ কর্মসংস্থান পেতে অসুবিধা হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বা সেফ তাদের পর্তুগালে নিয়মিত কাজ না করা বা অন্য যে দেশে অবস্থান করছিলেন সে দেশে তার আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত হওয়ার কারণে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন বা প্রসেসটি অনুসন্ধানের জন্য সময় চেয়েছেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে কারণ দর্শাতে বলেছেন। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেক প্রবাসীদের পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, পর্তুগাল অভিবাসীবান্ধব দেশ, প্রতি বছরই দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে গত ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা এক কোটির কিছু বেশি।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ আজ রোববার (১৩ অক্টোবর)। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’পালিত হয়ে আসছে। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এ উদ্যোগ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হচ্ছে।

 ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। গত দুই দশকে এ ভূখণ্ডে ১৮৫টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।এদিকে পূর্বাভাস ও পূর্ব প্রস্তুতির কারণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা গেলেও প্রতিনিয়ত চরিত্র বদলাচ্ছে দুর্যোগের। এ ছাড়া নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে ভূমিকম্প, বজ্রপাত ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত জনবল কাঠামো গঠনের পাশাপাশি স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।




আরও খবর



মুনাফা পাচ্ছেন পেনশন গ্রাহকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

প্রথমবারের মতো দেশের সব পর্যায়ে নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) গ্রাহক জমা করা টাকার মুনাফা বা লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন।চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জমা করা টাকার বিপরীতে ওই মুনাফা জমা হবে। লভ্যাংশের হার ন্যূনতম ৮ শতাংশ হতে পারে। যা বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পারবেন বলে জানা গেছে।

বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৮১ জন চারটি স্কিমে যুক্ত হয়েছেন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চারটি স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণের হার কিছুটা ধীরগতির হলেও আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। উদ্বোধনের পর গতকাল (সোমবার) প্রথম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এ যাবত ধারাবাহিকভাবে যে কার্যক্রমগুলো নিয়েছি, যে বিধিমালাগুলো প্রণয়ন করেছি এবং অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য যে কার্যক্রমগুলো নিয়েছিলাম সবকিছু বোর্ডকে অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর এর আওতায় এসেছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৮১ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ট্রেজারি বন্ডে। বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা হয়েছে, তা চলতি মাসেই পেনশন স্কিমের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে বণ্টন করা হবে।মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রথম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্কিমের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়।

প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম– এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম। চালুর প্রথম দিন থেকেই সাড়া মিলছে। ক্রমাগত যা ঊর্ধ্বমুখী।

পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন। অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।

আর পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত হিসেবে রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর।

অন্যদিকে, চলতি বছরের জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগদান করবেন, তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। যা পরে বাতিল করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ কর্তৃক ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়।

বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) ওই বছরের ১৭ আগস্ট উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে এবং চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া শুরু হয়।



আরও খবর

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট যে ব্যক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

ইজ্জত-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি মহান আল্লাহর নিয়ামত। তিনি যাকে ইচ্ছে সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছে লাঞ্ছিত করেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান করো আর যার থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছে সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছে অপদস্থ করো, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৬) ইসলামের দৃষ্টিতে সম্মানের মাপকাঠি তাকওয়া। যে আল্লাহকে ভয় করে, একনিষ্ঠভাবে ইবাদত-বন্দেগি করে, মানুষের সঙ্গে নম্র আচরণ করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন। মানুষও তাকে মন থেকে ভালোবাসে, সম্মান করে। কিন্তু কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অনিষ্টের ভয় দেখিয়ে সম্মান ও ক্ষমতা অর্জন করতে চায়। মানুষের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। সম্মানিত লোকদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে তারা নিজেদের ক্ষমতা জানান দিতে চায়। অনেক সময় সম্মানিত ও সম্ভ্রান্তদের অর্থ-সম্পদও হাতিয়ে নিতে তারা বিভিন্ন ফন্দি-ফিকির করে। মানুষ এদের অনিষ্টের ভয়ে ওপরে ওপরে এদের সম্মান করলেও ভেতর থেকে যেমন ঘৃণা করে ও তাদের থেকে দূরে সরে যায়, তেমনি মহান আল্লাহর দরবারেও এরা নিকৃষ্ট হয়ে ওঠে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইল। তিনি বলেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বলেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন। এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১) তাই প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনের জন্য এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করা উচিত নয়, যা দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষকে নিকৃষ্ট করে তোলে।


আরও খবর

বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




আবারও ঢাকায় মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

আবারও মঞ্চ মাতাতে ঢাকা আসছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিল্পীদের নিয়ে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টটি আয়োজন করছে ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে আতিফের গাওয়া ‘কুচ ইস তারহা’ গানের মিউজিক শেয়ার করে এই কনসার্ট আয়োজনের কথা জানায়। পরে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকায় আতিফের গাওয়ার বিষয়টি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগেও কয়েকবার ঢাকা এসেছেন আতিফ। গত এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মঞ্চ মাতিয়ে যান তিনি। ৭ মাসের মধ্যে আবারও ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন এই গায়ক।


আরও খবর



আপাতত কাউকে প্রধান নেতা করছে না হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

সাবেক প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর দলের চেইন অব কমান্ডে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে, আপাতত নতুন কোনো প্রধান নেতা বেছে নিচ্ছে না গোষ্ঠীটি।

হামাসের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। গোষ্ঠীটির একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাৎ বরণের ঘটনার পর থেকে আমরা হামাসের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। কাতারে হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে বেছে নিয়ে একটি কমিটি গত সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়েছিল। দলের নীতিনির্ধারনী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত আপাতত সেই কমিটিই নেবে।”

“যদি যাবতীয় শর্ত অনুকূলে থাকে, তাহলে আগামী মার্চ মাসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রধান নেতা বেছে নেবো। পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকলে নির্বাচন আরও পরে হবে। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ৫ সদস্যের কমিটিই দলের নির্বাহী দায়িত্বে থাকবে।”গত আগস্ট মাসে হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর শীর্ষ ৫ নেতার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল গোষ্ঠীটি। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারেই হানিয়ার উত্তরসূরী প্রধান নেতা হয়েছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। কমিটির সদস্যদের সবাই কাতারে বাসবাস করছেন।

গত ৩১ জুলাই ইরানে এক আততায়ী হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ও শীর্ষ নির্বাহী নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৭ আগস্ট এই পদে আসেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এর আগ পর্যন্ত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। হামাসের শীর্ষ নেতার পদ পাওয়ার ৪০ দিনের মাথায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন তিনি।কমিটির ৫ জন সদস্যের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ এবং জাহের জাবারিন। এদের মধ্যে খলিল আল হায়া এবং জাহের জাবারিন যথাক্রমে ফিলিস্তিনের দুই অঞ্চল গাজা এবং পশ্চিম তীরের প্রতিনিধি। খালেদ মেশাল হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার পাশাপাশি একজন দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তাও। মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ এবং লিয়াজোঁর ব্যাপারটি তিনিই দেখভাল করেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ দারউইশ হামাসের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী শাখা শুরা কাউন্সিলের সদস্য।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল, খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল এবং মোহাম্মদ দারউইশের মধ্যে থেকে কেউ একজন শীর্ষ নেতা হবেন। তবে বর্তমানে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে গোষ্ঠীটি।


আরও খবর