Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

‘প্রিয়তমা’ যাচ্ছে পর্তুগালে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৪২১জন দেখেছেন

Image

পর্তুগাল প্রতিনিধি : ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের সিনেমা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার পর্তুগালে। বক্স অফিস হিট করা প্রিয়তমা মুক্তি পাচ্ছে দেশটিতে। 

আগামী ১৯ অগাস্ট পর্তুগালের লিসবনে আইডিয়াল সিনেমা হলে মুক্তি পাবে প্রিয়তমা। এছাড়া খুব শিগগির দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ শহর পর্তোতেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে এ সিনেমাটি।

শনিবার বিকেলে লিসবনে মিট দ্যা প্রেস ও বিজনেস শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদুল আযহায় মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচিত্র ‘প্রিয়তমা’ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পর্তুগাল প্রবাসী বাঙালি চলচিত্র প্রেমীদের আকাঙ্ক্ষার কথা চিন্তা করে ছবিটি তাদের উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে পর্তুগালের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আয়োজন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ছবিটির প্রিয়তমা ও ইশ্বর শিরোনামের জনপ্রিয় দুটি গান পরিবেশন করেন পর্তুগাল প্রবাসী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ আই রনি। সিনেমার টিকিটের সংগ্রহ করা যাবে লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল মারতিম মুনিজ এ অবস্থিত বিডি সুপারমার্কেট, ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাভেল এন্ড এসোসিয়েট এবং সুন্দরবন ট্যুরিজম এ। 


আরও খবর



নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ঈমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মাজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ঈমানের পরিচয় : পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ঈমানের পরই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৩) নামাজই ঈমানের পরিচয় বহন করে।  যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে সেই প্রকৃত মুমিন। যে নামাজ আদায় করে না সে পূর্ণ মুমিন নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১-২) নামাজ সবার জন্য সব সময় : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। তবে হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছুকিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে না পারে; সে যেন বসে নামাজ আদায় করে। যদি কারো বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়; সে যেন শুয়ে নামাজ আদায় করে। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১) নামাজের বিধান ঊর্ধ্বলোকে : মহান আল্লাহ নবী (সা.)-কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বলোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মিরাজের রাতের প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বলেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)-কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বলেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) ৫০ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৩) নামাজ পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম : নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ সব পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবন যাপন করতে পারে। নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫) নামাজ পাপ থেকে মুক্তির উপায় : নামাজ মানুষকে পাপ মুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে এসেছে-আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো-যদি কারোর বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিরা বলেন, কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও তেমনই। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫২৮) নামাজ সব সমস্যার সমাধান : আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো-নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদণ্ডআপদে ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৩) হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩১৯) গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায় : কোরআন মাজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমকি ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর দুর্ভোগ ওই নামাজিদের জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : মাউন, আয়াত : ৪-৫)  এজন্য খুব গুরুত্বসহ সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে-উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বলেন, ইহসান হলো-‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর তুমি যদি তাকে না-ও দেখো, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫০)


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪

যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ

মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪




আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)। সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র।

যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত। প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল।

রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আজ সন্ধ্যার মধ্যে দেশের আট অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য পূর্বাভাসে দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়।

 আবহাওয়া অফিস জানায়, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, খুলনা, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এদিকে আবহাওয়ার অপর এক পূর্বাভাসে লঘুচাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে মৌসুমী অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। আর মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।


আরও খবর



কানপুরে মারধরের শিকার ‘টাইগার রবি’কে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কানপুরে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা ‘টাইগার রবি’কে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। চিকিৎসা ভিসায় ভারতে গিয়ে নাকি কানপুরে টেস্ট দেখতে গেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এখন তাকে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের উদ্যোগেই দিল্লি হয়ে রবি ফিরবেন ঢাকায়। চেন্নাইয়ে চিকিৎসা ভিসায় গিয়ে ম্যাচ দেখতে যাওয়ায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে পাঁচ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। রবিকে মারা হয়েছে কিনা, সেটাই এক বিতর্কের বিষয়। শুক্রবার রবি কিল-ঘুষি খেয়েছেন বলে দাবি করার পর ভারতীয় প্রশাসন তা উড়িয়ে দেয়। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রবির দাবি উড়িয়ে দেয়ার পর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে এই বলে যে, রবিকে মারা হয়নি। অসুস্থ বলে কয়েকবার মূর্ছা যান তিনি। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নিকটস্থ এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল থেকেই শুক্রবার লাইভে এসে ঘটনার বর্ণনা দেন এই বাংলাদেশি। গণমাধ্যমের খবরকে মিথ্যা প্রচারণা বলে উল্লেখ করেন রবি। তিনি বলেন, প্রিয় বন্ধুরা। আপনারা দেখেছেন মিডিয়া ইতিমধ্যে আমার নামে মিথ্যা প্রচারণা করেছে। আমি কাল রাত থেকে ঘুমাইনি। মাঠে গিয়েছিলাম। দুই তলা থেকে আমি ৬ নম্বর গেটের পিচের নিচে আসি। তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সেই সময় পিঠে দুই তিনটা ঘুষি মারে। বিশ্বাস না হলে ডেইলি ক্রিকেটের মিলন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন, উনি ছিলেন। পরে আমার কাছে (ভারতীয় ওই সমর্থক) ক্ষমা চায়।’ ওই লাইভেই নিজেকে সুস্থ দাবি করেন রবি, চান দোয়াও। তিনি জানান, আমাকে পেছন থেকে আঘাত করা হয়। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এখন সুস্থ আছি। আপনাদের জন্য দোয়া করি। আমার জন্যও দোয়া করবেন।


আরও খবর



দুই মাস পর মাঠে ফিরছেন মেসি

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

গত ১৫ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান লিওনেল মেসি। মাঠ ছাড়ার পর সেদিন ফোলা পা নিয়ে ডাগআউটে বসে কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে। সেই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত মাঠে ফেরা হয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকার।তবে দুই মাস পর মেসিকে নিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার মতো খবর দিয়েছেন ইন্টার মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাঙ্কেলের চোট থেকে সেরে উঠেছেন মেসি। আগামীকাল ভোরে মায়ামির হয়ে মাঠে নামতে পারেন। এর আগেও অবশ্য এই ম্যাচ দিয়ে মেসির কথা বলেছিলেন মার্তিনো।ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মার্তিনো বলেছেন, ‘হ্যাঁ, মেসি ভালো আছে। সে অনুশীলন করেছে (শুক্রবার)। ম্যাচের পরিকল্পনায় সে আছে। (শনিবার) অনুশীলন শেষে আমরা ঠিক করব, তাকে নিয়ে কোন কৌশলে আমরা আগাব। তবে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইস্টার্ন কনফারেন্সে পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে আছে ইন্টার মায়ামি।এরই মধ্যে প্লে–অফও নিশ্চিত করেছে তারা। ঘরের মাঠে আগামীকাল ভোরে ফিলাডেলফিয়াকে আতিথ্য দেবে মায়ামি। এই ম্যাচ দিয়ে মেসির ফেরা নিয়ে মার্তিনো আরও যোগ করে বলেন, ‘বিশ্বসেরা খেলোয়াড়কে দলে ফিরে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। আর এই দল এমনিতেই দারুণ ছন্দে আছে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে আমরা আনন্দিত।’

এর মধ্যে অবশ্য দুই মাস আগে পড়া চোটের কারণে মায়ামির হয়ে ৮টি ম্যাচ মিস করেছেন মেসি। এমনকি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এই পরিস্থিতিতে মেসির চোটকে ঘিরে তৈরি হয় নানা ধরনের শঙ্কাও। বিশেষ করে বারবার চোটে পড়ায় মেসির ভবিষ্যত পথচলা কেমন হবে, তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

তবে এসব শঙ্কা ও প্রশ্নের মধ্যে মেসির মাঠে ফেরাটাই এখন সমর্থকদের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে চোটপ্রবণ হয়ে পড়া মেসিকে নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিও থাকবে। এরপরও মেসি ও ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা থাকবে বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকাকে লম্বা সময়ের জন্য মাঠে দেখার। ফিট মেসি যে এখনো আগের মতোই অপ্রতিরোধ্য।



আরও খবর