Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

সিলেট প্রতিনিধি : প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিলেট বিভাগ প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে  দেশে ২২১ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে। এই অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ঢাকা বিভাগে ১০৭ কোটি ডলার। আর সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট মজেলায় মাত্র ১৫ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের তালিকায় ৩য় অবস্থানে রয়েছে সিলেট বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, দেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের জেলা গুলোয় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সবচেয়ে বেশি। আর রংপুর বিভাগে তা সবচেয়ে কম। গত মাসে, অর্থাৎ আগস্টে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব মিলিয়ে ২২১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ঢাকা বিভাগে ১০৭ কোটি ডলার, চট্টগ্রামে ৬০ কোটি ৭৭ লাখ, সিলেট ২০ কোটি আট লাখ, খুলনায় ১০ কোটি ৪৯ লাখ, রাজশাহী বিভাগে আট কোটি ৭৪ লাখ, ময়মনসিংহ বিভাগে চার কোটি ৮৪ লাখ, বরিশাল বিভাগে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম মাত্র তিন কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত আগস্ট মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ২২১ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা ছিল আগের পাঁচ অর্থ বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ। কোটা আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়া সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জুলাই মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে আয় কম পাঠিয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বতীকালীন সরকার। যে কারণে প্রবাসীরাও ব্যাংকিং চ্যানেলে আরও উজ্জীবিত হয়ে টাকা পাঠিয়েছে। ফলে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগস্টে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় প্রবাসীরা ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার  দেশে পাঠিয়েছে।
প্রবাসী আয়ে শীর্ষ পাঁচ জেলা : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, দেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ঢাকা জেলায়। এরপর রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার অবস্থান। গত আগস্ট মাসে ঢাকা জেলায় ৭১ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলায় ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এবার নোয়াখালী ও সিলেটের বিভিন্ন জেলাকে পেছনে ফেলেছে কুমিল্লা জেলা। এ ছাড়া বরিশালে দুই কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যশোরে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার এবং বগুড়ায় এক কোটি ৮৬ লাখ ডলার।

কম আয় যেসব জেলায় : চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে লালমনিরহাট, রাঙামাটি, জয়পুরহাট, পঞ্চগড় ও খাগড়াছড়ি এই পাঁচ জেলা। এর মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে লালমনিরহাটে, মাত্র ১৫ লাখ ডলার।


আরও খবর



ইরানে হামলা চালানোর ঘোষণা নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের সাম্প্রতিক ব্যাপক আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

নেতানিয়াহু বলেন, “সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলের যে মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।”

“নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।”ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনে গত ৩০ তারিখ থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। এ অভিযান শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে ২ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আইআরজিসি।অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিতে পেরেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), তবে ওই ঘটনার পর থেকে গুঞ্জন উঠেছিল যে ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল , তবে এতদিন এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেনি জেরুজালেম। শনিবারের ভাষণে প্রথম এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নেতানিয়াহু।

এদিকে, গত ৩ অক্টোবর এক সরকারি সফরে কাতার গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিন এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে ইরান আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।


সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল



আরও খবর



খাবার গ্রহণে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক :  বড় প্লেটে একসঙ্গে খাওয়া সুন্নত। আরব দেশে এখনো বড় প্লেটে খাবার গ্রহণের সংস্কৃতি আছে। যদিও আলাদাও খাওয়া যায় এবং যার যার রুচি অনুযায়ী খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে প্রিয় খাদ্য হলো যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে একসঙ্গে খায়। (সহিহুল জামে, হাদিস : ১৭১; সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ৮৯৫) একসঙ্গে খেলে খাবারে বরকত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্রহণ কোরো না। কারণ একজনের খাবার দুজনের জন্য যথেষ্ট হবে আর দুজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৫৪) তবে একসঙ্গে খেতে বসে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। এবং এমনভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত, যাতে অন্যের অরুচি না হয়।

নবী (সা.) (একসঙ্গে খেতে বসে) সঙ্গীদের অনুমতি ছাড়া কাউকে একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২৩৫৭) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি বড় খাবারের প্লেট ছিল। সেই প্লেট নিয়ে ঘটে গেল এক শিক্ষণীয় ঘটনা। আবদুল্লাহ বিন বুসর (রা.) বলেন, একবার নবী করিম (সা.)-এর জন্য একটি ছাগল হাদিয়া পাঠানো হলো। সেদিন খাদ্য অল্প ছিল। ফলে তিনি তাঁর পরিবারকে বলেন, এই ছাগলটি রান্না করো। আর এই যে আটা এ দিয়ে রুটি তৈরি করো এবং তার ওপর সারিদ ছড়িয়ে দাও। নবী করিম (সা.)-এর একটি (বড়) গামলা ছিল যাকে ‘গাররা’ বলা হতো। চারজন লোক সেটাকে বহন করত। যখন সকাল হলো এবং তারা সালাতুজ জুহা আদায় করল, তখন ওই গামলাটি আনা হলো, লোকেরা তার চার পাশে জমা হলো। যখন লোকসংখ্যা বেশি হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) হাঁটু গেড়ে বসলেন। এতে এক বেদুইন বলল, এ কোন ধরনের বসা? নবী করিম (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে উদার ও বিনয়ী বান্দা হিসেবে পাঠিয়েছেন, অবাধ্য ও স্বেচ্ছাচারী হিসেবে পাঠাননি। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা এই খাদ্যের পার্শ্ব থেকে খাও, মধ্যভাগ থেকে খেয়ো না। কেননা মধ্যভাগে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হয়। তারপর বলেন, তোমরা নাও এবং খাও। মহান আল্লাহ আমাদের খাবার বরকতময় করুন।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোর সুপারিশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বাজারে চিনির দাম স্বাভাবিক ও সাশ্রয়ী মূল্য ধরে রাখতে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো চিঠিতে আপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠানটির বাণিজ্য নীতি শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে ট্যারিফ কমিশন শুল্ক কমানোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তির উপস্থাপন করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে স্থানীয় বাজারে চিনির বর্ধিত চাহিদা সৃষ্টি হয়। বর্ধিত এই চাহিদা বিবেচনায় চিনির সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনই চিনি আমদানির নিমিত্ত এলসি খুলতে হবে। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির মূল্য ৩৯৪ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৬.১৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বৃদ্ধির হার ২০.৮১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আসন্ন পবিত্র রমজানে যৌক্তিক মূল্যে চিনি সরবরাহের নিমিত্ত শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন।

আরও খবর



তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। ২০২১ সালের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের নিচে নেমেছে। অনেকের আশঙ্কা, তেলের দাম ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনো ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার। অয়েল প্রাইস ডটকম ও রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই তখন ধারণা করেছিলেন, তেলের দাম আবারও প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারে চাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার উল্টো ঘটনা, দাম কমে ৭০ ডলারের নিচে নেমে এল।

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে দাম কমছে। যতই সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা থাকুক, দিন শেষে বাজারে পণ্যের দাম নির্ধারণে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীন। তাদের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটা নির্ভর করে। কিন্তু সেই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। সেখানে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় তেলের বাজারে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। বছরের প্রথম ভাগে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের তেল আমদানি কমেছে। চাহিদা কম থাকায় তেল খুব একটা মজুত করছে না চীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার এটাই মূল কারণ।

কোভিড মহামারির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তার পর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।

অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।

চাহিদা কমলেই ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস করে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা তেলের উৎপাদন হ্রাস করেও বাজারে দাম খুব একটা বাড়াতে পারেনি। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়াতে পারে বলে জানা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে (এপিপিইসি) এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম বুরখার্ড এ কথা বলেছেন।

ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় তারা উত্তোলন বৃদ্ধির সময়সীমা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেক প্লাস জানায়, প্রয়োজনে তারা উত্তোলন কমানো বা অন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এপিপিইসিতে বহুজাতিক কোম্পানি ট্রাফিগুরার তেল বিভাগের প্রধান বেন লাকক বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শিগগির বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে। এমনকি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো উত্তোলন না বাড়ালেও বাজারে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত দর্শক। তার সিনেমা মানেই অন্যরকম চমক। চলতি বছরের ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় চঞ্চল অভিনীত ছবি ‘পদাতিক’। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন ওপার বাংলার সৃজিত মুখার্জী। কিন্তু ভারতের খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৃণাল সেনের এই বায়োপিক দর্শকদের থেকে তুমুল প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে সেই অর্থে চলেনি। এরপরও ছবিটি নিয়ে গর্বিত সৃজিত; সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন এই পরিচালক।  সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘পদাতিক’ এর একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। সেখানে ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন,‘পদাতিকের আজ ৫০ দিন পূর্ণ হল। এটা আমার ২২ তম বাংলা ছবি। অনেকেই যারা আমার এই ছবিটি দেখেছেন তারা জানিয়েছেন এটা আমার করা সেরা ছবি। আমি এর আগে বেশ কিছু ছবি করেছি যেগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনই আনন্দ দিয়েছে। এটি আমার করা এখনও পর্যন্ত যে ৩ টে ছবি বক্স অফিসে ডুবেছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হল, জাতিস্মর, নির্বাক এবং শাহজাহান রিজেন্সি। কিন্তু ওই তিনটের ব্যর্থতার মতো কষ্ট হয়নি। পদাতিকের ব্যর্থতা আমায় প্রচণ্ড গর্বিত করেছে।’ এরপর পরিচালক কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন, ‘মৃণাল সেনের এল ডোরাডো ২০২৪ সালে তাকে ঠিক সেভাবেই উদ্যাপন করেছে যেভাবে তাকে পাওয়া যেত, রাস্তায়, প্রতিবাদে।’ ‘পদাতিক’ যখন মুক্তি পায় তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় আরজি কর কা- ঘটে যায়। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতায় শহর, রাস্তায় নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ। পথে প্রতিবাদের ঢল নামে। বিচারের দাবিতে রাত দখল, জমায়েত, মিটিং, মিছিল চলতে থাকে। আর সেটার খানিকটা প্রভাব বিনোদন জগতের ওপর পড়ে। আসলে তখন কেউই সিনেমা উপভোগ করার অবস্থায় ছিলেন না। আর এই লেখার মাধ্যমে এদিন সৃজিত মুখার্জী সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। পদাতিক ছবিটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত (অল্প বয়সের) এবং চঞ্চল চৌধুরী (প্রাপ্ত বয়স্কের)। মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে মনামী ঘোষকে। সত্যজিৎ রায় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন জিতু কমল। উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। 


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪