Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

প্রাক্তন-বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে আরবাজ, হঠাৎ কেন এক হলেন তারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৬০৪জন দেখেছেন

Image

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সুরা খানের সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন মালাইকা আরোরার সাবেক স্বামী আরবাজ খান। সুরাকে বিয়ে করার পর মালাইকাকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করেছেন তিনি। 

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই নিজের নামের পাশ থেকে ‘খান’ পদবি সরিয়েছেন মালাইকা। কিন্তু শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁয় দেখা গেল একেবারে অন্য এক চিত্র। বর্তমান স্ত্রী সুরার হাত ধরে এলেন আরবাজ। পিছু পিছু এলেন মালাইকা। 

১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় আরবাজ-মালাইকার। যদিও সন্তান আরহানের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা। আর সন্তানের জন্যই ফের কাছাকাছি এলেন এই সাবেক দম্পতি। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শো শুরু করেছেন আরহান। তারই উদযাপনের খাওয়া দওয়া ছিল। ছেলের কথা ভেবেই এদিন এক হলেন আরোরা ও খান পরিবার।

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১২ বছরের ছোট অর্জুন কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মালাইকা। প্রথম দিকে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে মুখ না খুললেও এখন আর কোনও লুকোচুরি নেই। তবে আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে নানা ভাবে সামাজিক হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে মালাইকাকে।

কিন্তু ছেলের বিশেষ দিনে আরহানের মা-বাবা ছাড়াও ছিলেন আরবাজের বাবা সেলিম খান, মালাইকার মা জয়েস, বোন অমৃতাসহ অন্যরা। গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে আরহানে পডকাস্ট ‘দম বিরিয়ানি’র টিজার। সেখানে খান পরিবারের সকল সদস্যের দেখা মিলেছে। সালমান খানও উৎসাহ দিয়েছেন ভাতিজাকে।


আরও খবর



গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৪০জন দেখেছেন

Image

 লম্বা ছুটির প্রথম দিন আজ। সকাল থেকেই ঢাকা শহরে ছিল মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি। এ অবস্থার মধ্যে গরু কেনার জন্য এক হাট থেকে আরেক হাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্রেতারা। কিন্তু বাড়তি দামের আশায় বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। যে গরুর দাম এক লাখের নিচে সেগুলো তারা চাচ্ছেন ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা। গরু কেনার জন্য ক্রেতারা দাম বললেও বিক্রেতারা তাতে সায় দিচ্ছেন না। সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাটে গিয়ে এ অবস্থা দেখা গেছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর হাটগুলো। চলছে দার কষাকষি, দামে মিললেই পছন্দের পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।

তবে আজ সকাল থেকেই গরু বিক্রির হার ছিল অনেক কম। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই।

রাজধানীর পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হাটে মিলছে নানা জাতের গরু; এছাড়া খাসি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। কোথাও কোথাও দেখা মিলছে উট-দুম্বারও। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা।

খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ১ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরু কেনায় বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। তবে বড় আকারের গরু-ছাগলের প্রতি আগ্রহ অনেক কম। আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় বিক্রেতারা যেমন গরু ছাড়ছেন না তেমনি দামে একটু কম পাওয়ার আশায় ক্রেতারাও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। 

রাজধানীর লালবাগের রহমতগঞ্জ হাটে আসা এক ক্রেতা জানান, তিন ঘণ্টা যাবৎ তিনি গরুর দরদাম করছেন। কিন্তু বিক্রেতারা যথাযথ দাম পেয়েও গরু ছাড়ছেন না।

এদিকে একই হাটে ফরিদপুর থেকে আসা সালামত নামে এক গরু বিক্রেতা জানান, আজ থেকে মাত্র গরু বিক্রি শুরু হয়েছে তাই দুইটা পয়সা বেশি বিক্রির আশায় তারা এখনই কম দামে গরু ছাড়তে রাজি নন। বৃষ্টি না হলে গরুর সঠিক দাম পাওয়া যাবে।’

বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতাদের অনেকে।

গাবতলীর পশুর হাটের ইজারাদাররা জানান, এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তবে কিছু কিছু ক্রেতা বলছেন, এখনো পশুর দাম কিছুটা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় ছোট ও মাঝারিগুলোর দামও তুলনামূলক বেশি।

এবার রাজধানীর ২১টি স্থানে পশুর হাট বসেছে। এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসছে হাটে। ঈদের দিন পর্যন্ত এই কেনাকাটা চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে ইউরোপীয় শক্তির প্রতি ইরানের আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

ইরানের ওপর মারাত্মক হামলা বন্ধ করতে, ইসরাইলের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। 

তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চতুর্থ দিনের মতো লড়াই অব্যহত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেন, ‘জার্মানি, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের উচিত ছিল ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের, বিশেষ করে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে তারা যে হামলা চালিয়েছে, খুব স্পষ্টভাবে তার নিন্দা জানানো।’ 

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর উচিত ইসরাইলের ‘এই আগ্রাসন বন্ধ’ ও দেশটিকে ‘জবাবদিহি’ করার ওপর মনোনিবেশ করা।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর



গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগ নেতা বারের সাবেক সভাপতি লাছু গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ জিল্লুর  রহমান 

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাড. আহসানুল করিম লাছুকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। লাছু গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছিলেন। 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে আহসানুল করিম লাছুকে জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।


আরও খবর



সুন্দরবনে শিকারিদের ফাঁদ ভেস্তে দিল বন বিভাগের অভিযান, আটক ২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

        স্টাফ রিপোর্টার

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমোনি এলাকার ছোট ময়নার খালে বন বিভাগের টহল অভিযানে হরিণ শিকারের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) রাতের অভিযানে একটি কাঁকড়া ধরার নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি হরিণের কাটা মাথা, শিকারে ব্যবহৃত ফাঁদ এবং ২৬টি কাঁকড়া ধরার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি ডিঙ্গি নৌকাও জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন বাগেরহাটের মোংলার উত্তর চাঁদপাই এলাকার বাসিন্দা মামুন (৩৫) ও আব্দুর রহিম (২১)। অভিযানের সময় নৌকায় থাকা আরও একজন গভীর বনে পালিয়ে যায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “অনেকেই বৈধ কাঁকড়া আহরণের ছুতোয় সুন্দরবনে প্রবেশ করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা হরিণ শিকার করে মাংস পাচার করছে। এই ধরনের অপরাধ রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

আটকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



আরও খবর