জম্মু ও কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে কাশ্মিরের রামবান জেলার বানিহালে এক প্রচারণা সভায় গিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে কে না চায়? কারণ সত্য হলো— আপনি আপনার বন্ধুকে পরিবর্তন করতে পারবেন, কিন্তু প্রতিবেশীকে নয়। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাই এবং এজন্য আমাদের শুধু একটি শর্ত রয়েছে; সেটি হলো— পাকিস্তানকে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসী হামলার কারণে গত প্রায় চার দশকে জম্মু-কাশ্মিরে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৮৫ শতাংশই মুসলিম।“কাশ্মিরে নিয়মিত সন্ত্রাসী হামলা একটি রুটিন ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কিন্তু এসব হামলায় কারা মরছে? আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলতে চাই যে এসব হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৮৫ শতাংশই মুসলিম।”
নয়াদিল্লির অভিযোগ— ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোকে ইসলামাবাদ তার রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি অমূলকও নয়; কারণ ২৬/১১’র ভয়াবহ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিত হাফিজ সাঈদ সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। হাফিজ সাঈদ কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) প্রতিষ্ঠাতা।তবে কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসবাদে অর্থয়ান সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ পাকিস্তানকে নিজেদের ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পর দেশটিতে ভারতকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলার প্রবণতা কমেছে। সম্প্রতি সেই তালিকা থেকে নিজেদের নাম মুছতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, ভারতের সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় আছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।