Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৯০৬জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



দশ বছরে চামড়ায় সর্বোচ্চ দাম বাণিজ্যে উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন মঙ্গলবার নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় চামড়া আড়ৎ পরিদর্শনকালে বললেন, “গত ১০ বছরের তুলনায় এবার কোরবানির চামড়া সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর আরও দাম বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতির প্রসারের জন্য বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে হবে।”

শেখ বশিরউদ্দিন আরও যোগ করে বলেন, “আমাদের দেশে এবছর লবণের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। সরকার সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে। সেজন্য লবণ চাষীদেরও একটা উপায় হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ১ হাজার টাকা মণ। তাতেও চাষী বাঁচবে না। সরকারকে সবসময় সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে মাদ্রাসায় বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এর ফলে বাজারে একটা সুষম কাঠামো তৈরি হয়েছে। তাদেরও কিছু ভুল রয়েছে। সেই ভুল থেকেই তারা জানতে ও শিখতে চান। অনেক মাদ্রাসা বিনামূল্যে লবণ পেয়েও কাঁচা চামড়া ও লবণ আলাদা করে বিক্রি করেছে।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকার লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পান। বাজারে একদিনে প্রচুর সরবরাহ হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া সম্ভব। সরকার বিসিকের মাধ্যমে ট্যানারি মালিকদের তিন ধরনের লবণের নমুনা দিয়েছে। তারা পরীক্ষার পর উপযুক্ত লবণ নির্ধারণ করেছেন। কেউ কেউ লবণের দাম বাড়ার কথা বলছেন, কিন্তু আমাদের লবণচাষীদের কথাও চিন্তা করতে হবে।”

‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা চাই। শুধু একটি বা দুটি দেশের সঙ্গে নয়, বরং ভারত, চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই। একইভাবে বৈশ্বিক বাজার থেকেও পণ্য আমদানি করব’-যোগ করেন এ উপদেষ্টা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।


আরও খবর



কারাগার থেকে ২শ’ জনেরও বেশি বন্দী পালিয়ে গেছে পাকিস্তানের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে গতকাল সোমবার ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর একটি কারাগার থেকে ২শ’ জনেরও বেশি বন্দী পালিয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। 

করাচি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মঙ্গলবার সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার সাংবাদিকদের বলেছেন, ভূমিকম্পের পর যখন কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে তখন মালির কারাগারে ৬শ’ জনেরও বেশি বন্দীকে তাদের নিরাপত্তার জন্য অন্য একটি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। এসময় ২১৬ জন পালিয়ে যায়।

করাচিতে জেল সুপারিনটেনডেন্ট আরশাদ শাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৮৭ জন পলাতক বন্দীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি ১২৯ জন বন্দীকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

লাঞ্জার সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় একজন বন্দী নিহত এবং কারাগার ও পুলিশ কর্মীসহ আরো ২২ জন আহত হয়েছেন।

সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান গোলাম নবী মেমন বলেছেন, বেশিরভাগ বন্দির বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ এবং অন্যান্য ছোটখাটো মামলা রয়েছে।

মেমন বলেছেন, কর্তৃপক্ষের কাছে ঠিক কারা পালিয়েছে তার তথ্য আছে এবং তারা তাদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেছেন, ‘কেন এবং কীভাবে এটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

সিন্ধু প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে ফিরে আসলে বন্দিরা সরকারি পদক্ষেপ থেকে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু যারা তা করবে না তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর



প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




আগামী শনিবার থেকে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকেট

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

২০২০ সালে সবশেষ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল। সংস্কারের প্রায় চার বছর পর আবারও ঢাকা স্টেডিয়ামে গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচটি হবে এই স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচের জন্য দর্শকদের টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইনে। টিকিট কেনা যাবে আগামী শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই (ঃরপশরভু.ষরাব) ডট লাইভে। টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে সাধারণ গ্যালারি ৪০০ টাকা। এর বাইরে ভিআইপি-১ বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার টাকা, ভিআইপি ২ ও ৩ বক্সের টিকিটের দাম ২৫০০ টাকা। স্কাই ভিউয়ের টিকিটের দাম ৩০০০ টাকা। ক্লাব হাউজ-১ এর টিকিটের দাম ২৫০০ ও ক্লাব হাউজ-২ এর দাম ২০০০ টাকা। যে কোনও ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। বুধবার বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাফুফের নির্বাহী সদস্য ও কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেছেন, ‘২৪ মে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই ডট লাইভ ওয়েবসাইট থেকে দর্শকরা টিকিট গ্রহণ করতে পারবে। আগামীকাল থেকে বাফুফে টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইট লিংক প্রচার করবে।’ টিকিফাইয়ের কর্মকর্তা ইফতেখার ইফতি টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান, ‘আমাদের ওয়েবাসাইটে এই ম্যাচ সম্পর্কে লিংক থাকবে, সেই লিংকে গিয়ে নাম, মোবাইল ও ইমেইল দিয়ে নিবন্ধন করে নির্দিষ্ট গ্যালারি ও সিট সিলেক্ট করার অপশন থাকবে। সবকিছু সম্পন্ন করার পর পেমেন্ট অপশন আসবে। ব্যাংক কিংবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে ইমেইলে টিকিটের কপি যাবে। একজন ব্যক্তি একটি নাম্বার ও মেইল থেকে সর্বোচ্চ ৫টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।’ অনলাইনে টিকিটের সংখ্যা সম্পর্কে ফেডারেশনের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা দেশের ফুটবলের স্টেকহোল্ডারদের কিছু সংখ্যক টিকিট রেখে বাকি সব অনলাইনে দেবো।’


আরও খবর