Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

নাগরিকদের রাখাইন ছাড়ার নির্দেশ দিলো ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ দিন দিন বড় আকার ধারণ করছে মিয়ানমারে। এমন অবস্থায় ক্রমঅবনতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভারতীয়দের মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে না যেতে সতর্কতা জারি করেছে ভারত। এমনকি নাগরিকদের যারা সেখানে আছেন তাদের এখনই রাখাইন ছাড়তেও নির্দেশ দিয়েছে ভারত। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিরোধ, সংঘর্ষে কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। প্রাণে বাঁচতে সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন মিয়ানমারের নাগরিকরা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি, টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন, স্থল মাইন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মারাত্মক সঙ্কট সেখানে। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ সফরে না যেতে ভারতীয় সব নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা এরই মধ্যে ওই রাজ্যে অবস্থান করছেন তাদেরকে অবিলম্বে রাখাইন ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের আছে ১৬৪০ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে আছে সক্রিয় মিলিট্যান্টদের নাগাল্যান্ড এবং মনিপুর। গত সপ্তাহে সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধ করার আহ্বান জানায় ভারত।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ব্যাপকভাবে সহিংস বিক্ষোভের সাক্ষী হয়ে আসছে মিয়ানমার।


আরও খবর

তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। ২০২১ সালের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের নিচে নেমেছে। অনেকের আশঙ্কা, তেলের দাম ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনো ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার। অয়েল প্রাইস ডটকম ও রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই তখন ধারণা করেছিলেন, তেলের দাম আবারও প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারে চাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার উল্টো ঘটনা, দাম কমে ৭০ ডলারের নিচে নেমে এল।

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে দাম কমছে। যতই সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা থাকুক, দিন শেষে বাজারে পণ্যের দাম নির্ধারণে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীন। তাদের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটা নির্ভর করে। কিন্তু সেই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। সেখানে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় তেলের বাজারে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। বছরের প্রথম ভাগে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের তেল আমদানি কমেছে। চাহিদা কম থাকায় তেল খুব একটা মজুত করছে না চীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার এটাই মূল কারণ।

কোভিড মহামারির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তার পর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।

অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।

চাহিদা কমলেই ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস করে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা তেলের উৎপাদন হ্রাস করেও বাজারে দাম খুব একটা বাড়াতে পারেনি। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়াতে পারে বলে জানা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে (এপিপিইসি) এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম বুরখার্ড এ কথা বলেছেন।

ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় তারা উত্তোলন বৃদ্ধির সময়সীমা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেক প্লাস জানায়, প্রয়োজনে তারা উত্তোলন কমানো বা অন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এপিপিইসিতে বহুজাতিক কোম্পানি ট্রাফিগুরার তেল বিভাগের প্রধান বেন লাকক বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শিগগির বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে। এমনকি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো উত্তোলন না বাড়ালেও বাজারে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



দায়িত্ব নিয়েছি ক্ষমতা নয়: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে তিন বিলিয়ন অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ অর্থের যেন অপচয় না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

দায়িত্ব নিয়েছি-ক্ষমতা নয়, আমাদের সময়ে জনগণের অর্থ আর অপচয় হতে দেওয়া হবে না ।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান গবেষণার আউটপুট (ফলাফল) কাজে না লাগলে উন্নয়ন অর্থবহ হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে এটা নিয়ে গবেষণা ও গবেষণার প্রয়োগের ফলে। এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। লোকজন অনুভব করুক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নামে একটি মন্ত্রণালয় আছে। শুধু রূপপুর দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষ না। নিজেদের কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, সমাজে বা দেশের জন্য আপনাদের কন্ট্রিবিউশন (অবদান) ফেইলড (ব্যর্থ) হলে জনগণ এটার বিরুদ্ধে কথা বলবে। খুব দ্রুত হয়তো হবে না তবে ধীরে ধীরে হলেও কাজের পরিবর্তন আনতে হবে। কন্ট্রিবিউট করতে হবে।

দায়িত্ব নিয়েছি-ক্ষমতা নয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সবার কো-অপারেশন (সহযোগিতা) লাগবে।  

এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।  


আরও খবর

এআই ফিচার নিয়ে এলো অপো রেনো১২ এফ ৫জি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যারা ভাঙচুর করছে, তারা শ্রমিক নয়, তারা বহিরাগত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মন্তব্য করেছেন– এখন যারা ভাঙচুর করছে, তারা শ্রমিক নয়, তারা বহিরাগত। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক বাঁচাতে অর্থনীতি বাঁচাতে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। শ্রমিক আন্দোলন বন্ধে বাহিনী ব্যবহার করা হবে। পু্লিশের মনোবল ঠিক করতে সবার সহায়তা দরকার বলেও জানান তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে। এসময় সুইডেন আসলাম মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন– কেন তিনি ছাড়া পেলেন, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে টানা কয়েক দিনের আন্দোলনের মুখে অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চাকরি পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে আজ পোশাকশ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছে।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হতে পারেন আহসান এইচ মনসুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টার:


লাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হলেন অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর। 


 মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 



প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭ অব ১৯৭২) এর ১০(৫) অনুযায়ী পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরকে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।



প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘ড. আহসান এইচ মনসুর গর্ভনর পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশ ব্যাংক হতে গ্রহণ করবেন। 


এ নিয়োগের অন্যান্য বিষয় উল্লেখিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারণ হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’



আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা আহসান মনসুর বাংলাদেশের ত্রয়োদশ গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান পিপিপি প্রকল্প নীতিমালা তৈরিতে সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।


 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে লেখাপড়া করা আহসান মনসুর শিক্ষক হিসেবে সেখানেই পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। পরে অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা চলে যান। ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। 


পিএইচডি চলাকালীন ১৯৮১ সালে তিনি অর্থনীতিবিদ প্রোগ্রামের অধীনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে যোগ দেন। আইএমএফে দীর্ঘ কর্মজীবনে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে তিনি কাজ করেছেন। আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স এবং পলিসি রিভিউ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছেন।


 ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন আহসান মনসুর। ১৯৮৯ সালে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী ওয়াহিদুল হকের অর্থ উপদেষ্টা হন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর প্রবর্তনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল।



আরও খবর

তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় যে সতর্কতা মানা উচিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া লাখো মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে আশে-পাশের আশ্রয়কেন্দ্রে।বন্যার সময় পানিতে ডুবে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়সহ খাবার এবং নানা-ধরনের স্বাস্থ্য সংকটে পড়েন বন্যার্তরা। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় বন্যা পরবর্তী সময়ে। সে সময়ে নানা ধরণের রোগ-বালাইসহ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অনেক রকমের দূর্ভোগে পড়েন মানুষ।বিশেষ করে বন্যার সময় বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

জেনে রাখতে হবে বন্যার আগে ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।

বন্যার আগে

বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ার আগেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সুইচবোর্ড, ইলেকট্রনিক ডিভাইস সব নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। পাশাপাশি বাড়ির বৈদ্যুতিক প্রধান সুইচ বন্ধ করে রাখা উচিত। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে যাবেন। 

বন্যার পর

১. বন্যা পরবর্তী সময়ে ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে।

২. বাড়িতে পৌঁছেই মেইন সুইচ চালু করে দেওয়া উচিত নয়। সবকিছু ভালোমত পরীক্ষা করে তারপর বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।

৩. বাড়িতে ফিরে ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ ধরবেন না বা বিদ্যুতের কোন কাজ করবেন না।

৪. ভেজা মাটিতে খালি পায়ে বৈদ্যুতিক কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

৫. সম্ভব হলে পুরো বাসা ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।৬. ইলেকট্রিশিয়ান বাসার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ বললে তারপর বাসায় বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।

৭. যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ভিজে গেছে সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।  







আরও খবর