Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় পানিবন্দি ৩৩ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:  অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় সৃষ্ট বন‍্যায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ৩৩ হাজার পরিবার। এই অবস্থায় দুর্গতদের উদ্ধারকাজের পাশাপাশি চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঢাকা পোস্টকে এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রমতে, বন‍্য দুর্গত এলাকাগুলোর মধ‍্যে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ‍্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন‍্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। এতে এই উপজেলায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ।

একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার। এই উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ‍্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে কমেছে বন‍্যার পানি। তবে এই উপজেলা সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন। 

এছাড়া ফুলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন‍্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার একশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ‍্যা ১৭ হাজার।


আরও খবর



আগামী মাসে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: গভর্নর

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১১১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, 

“আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।”

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও যোগ করে বলেন, 

“২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে। 

সবশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর



গাজায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত ইসরাইলি ড্রোন হামলায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ২৯জন দেখেছেন

Image

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।

গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, ‘আজ সকালে খান ইউনিসের কাছে বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন’। 

তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের অন্যান্য হামলায় আরো চারজন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



চিন্তামুক্ত থাকার জন্য যে দোয়া করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। ঘুম ভেঙে উঠেই একরাশ দুশ্চিন্তা চেপে বসে মাথায়। সারা দিন অফিসের কাজে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। চাকরি, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। কিছুতেই মন শান্ত হতে চায় না। এই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার কারণে রাতে যেমন ঠিকমতো ঘুম হয় না, তেমনই দিনভর অশান্তি, উৎকণ্ঠা কাজ করে মনে। মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য উপযোগী টিপসগুলো মেনে চলা উচিত। একইসঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তার কাছে দোয়া করা উচিত। এখানে একটি দোয়া তুলে ধরা হলো, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবেন। 

চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-

حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

উচ্চারণ : হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তার প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

দোয়ার ফজিলত 

হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবার সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রেখে) এই দোয়া পড়বে, অথবা ফজিলতের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া এমনিই দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সব ধরনের চিন্তা থেকে হেফাজত করবেন। (আবু দাউদ)

আল্লাহর ওপর ভরসা

বিপদ-আপদ এবং যেকোনো মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনতো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয়, যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের কাছে তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে’ ( সুরা আনফাল, আয়াত, ২)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে।’ (সুরা, নাহল, আয়াত : ৯৯)

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ ( সূরা নাহল, আয়াত : ৪২)

কোরআনের অন্যত্র আরও বর্ণিত হয়েছে ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ।’ ( সুরা ইবরাহীম, আয়াত, ১১)

আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনিই বান্দার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, বান্দার আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরোনোর পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে জীবিকা দেন যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটা পরিমাপ ঠিক করে রেখেছেন।’ (সুরা, তালাক, আয়াত : ২-৩)।


আরও খবর



সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলো, জানুন নতুন মূল্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

সরকার সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে নতুন ‘এক দেশ, এক রেট’ নীতি ঘোষণা করেছে, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিরাট সান্ত্বনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবাদাতারা (আইএসপি) নির্দিষ্ট গতিতে একই রকম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবেন, যাতে গ্রাহকরা সারাদেশে একই মূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেতে পারেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)  রোববার (১৮ মে) নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করে। নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, পাঁচ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড (৫ এমবিপিএস) গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে চারশত টাকা, যা আগে ছিল পাঁচশত টাকা। একইভাবে, দশ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডের (১০ এমবিপিএস) ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে সাতশত টাকা এবং বিশ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড (২০ এমবিপিএস) গতির ইন্টারনেটের মূল্য এক হাজার একশত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এই দামগুলো যথাক্রমে ছিল পাঁচশত, আটশত ও এক হাজার দুইশত টাকা।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি জানায়, নতুন ট্যারিফ কার্যকর হলেও, ইতিমধ্যে কিছু সেবা প্রদানকারী কম দামে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছেন। তবে সরকার সব সেবাদাতাদের জন্য এই ট্যারিফ বাধ্যতামূলক করেছে।

নতুন ট্যারিফ আগামী জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে এবং প্রথম ধাপে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, পরবর্তীতে বাজারের চাহিদা ও গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় এই ট্যারিফ প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যেতে পারে।

নির্ধারিত ট্যারিফের শর্তাবলী অনুযায়ী:

১. বিটিআরসির লাইসেন্সধারী সব সরকারি ও বেসরকারি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এই ট্যারিফ অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবেন।

২. গ্রাহক সেবার মান ও পরিষেবার নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’ এর মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রেড এ, বি ও সি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইএসপি গুলো এই মান বজায় রাখবে।

৩. পাঁচ দিন ধরে অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে গ্রাহক মাসিক বিলের পঞ্চাশ শতাংশ, দশ দিন হলে পঁচিশ শতাংশ এবং পনেরো দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে মাসিক বিল দিতে হবে না।

৪. সরকারের অনুমোদিত সর্বনিম্ন ইন্টারনেট স্পিড হবে ৫ এমবিপিএস এবং সংযোগ রেশিও ১.৮ আনুপাতিক হারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫. অনুমোদিত ট্যারিফ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং ট্যারিফের বাইরে অন্য কোনো সেবা বা মূল্য গ্রহণযোগ্য নয়।

৬. অনুমোদন ছাড়া ট্যারিফের বাইরে সেবা প্রদান করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই নতুন উদ্যোগ গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সেবাকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে এবং সারাদেশে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫