Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শত শত রোগীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালের শত শত রোগী।

এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মানিক বলেন, আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত। হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

ইরফান নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমার স্ত্রীর আজ সকালে ডেলিভারি হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে সব দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম চালু হবে।


আরও খবর



ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন হোল্ডার-রাসেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

 দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জেসন হোল্ডার ও আন্দ্রে রাসেলকে ফিরিয়ে এনে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য পৃথক-পৃথক দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রামে থাকবেন রাসেল।

দুই মাসের বেশি সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক নিকোলাস পুরান।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন হোল্ডার। ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ায় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি।

একই বছরের নভেম্বরে দেশের হয়ে সর্বশেষ সংক্ষপ্তি ফরম্যাটে খেলেছেন রাসেল। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অভিজ্ঞদের নিয়ে নতুনভাবে দল গোছানো শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেশের হয়ে হোল্ডার ৬৩টি ও রাসেল ৮৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হবে শাই হোপের। গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান রোভম্যান পাওয়েল।

নেতৃত্ব ছাড়লেও দলে জায়গা ধরে রেখেছেন পাওয়েল। বাংলাদেশ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন জাস্টিন গ্রেভস, শামার স্প্রিঙ্গার ও টেরেন্স হাইন্ডস। দলে আরও ফিরেছেন শেরফানে রাদারফোর্ড।

ইংল্যান্ড সিরিজের দলে থাকলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না ব্রেন্ডন কিং ও রোস্টন চেজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে দেশে ফিরবেন কিং ও চেজ। সদ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন চেজ। তাদের দুজনের বদলি হিসেবে আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে যোগ দেবেন কেসি কার্টি ও জাইড গুলি।
৬ জুন থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ১২ জুন থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : শাই হোপ (অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, ম্যাথু ফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, গুদাকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : শাই হোপ (অধিনায়ক), কেসি কার্টি, জনসন চার্লস, ম্যাথু ফোর্ড, জাইড গুলি, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, এভিন লুইস, গুদাকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড।


আরও খবর



পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য: গভর্নর

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১১জন দেখেছেন

Image

 বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য।

তিনি বলেন, ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য যুক্তরাজ্যের সাথে নিবিড় আলোচনা করছে সরকার। তারা নথিপত্র তৈরিতেও আমাদের সহায়তা করছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ১০ জুন থেকে ১৩ জুন লন্ডন সফরের পর তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মনসুর বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাচারকারীদের সম্পত্তি এবং লুট করা অর্থ সম্পর্কে তথ্য হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।’

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের যুক্তরাজ্যে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান এবং শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করা হয়।

মনসুর বলেন, ‘আমরা অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা করছি। আশা করছি একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মামলা-মোকদ্দমায় দক্ষ আইনি সংস্থাগুলো সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। মামলার তহবিলদাতা হলেন একজন তৃতীয় পক্ষ যা মামলার সাথে সম্পর্কিত আইনি খরচ মেটাতে মামলা থেকে সম্ভাব্য অর্থ পুনরুদ্ধারের একটি অংশের বিনিময়ে মামলাকারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে একটি তহবিল গঠনের কথা বিবেচনা করবে, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী আইনি সংস্থাগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘তারা (আইনি সংস্থাগুলো) উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পাবে। তবে কি পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে তার ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত হবে। 


আরও খবর



প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়নে গতি আনতে মাস্টারপ্ল্যানের তাগিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

উপকূলীয় মাতারবাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্রবন্দর, জ্বালানি কেন্দ্র এবং রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চল—এই লক্ষ্য সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ঘিরে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি (এমআইডিআই), যা এই অঞ্চলকে পরিণত করতে যাচ্ছে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ীকে বন্দর, উৎপাদন ও জ্বালানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি আনতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশনা দেন—মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে। পাশাপাশি সমুদ্রগামী বড় কনটেইনার জাহাজগুলোকে ধারণে সক্ষম টার্মিনাল গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

শুধু শিল্প নয়, শ্রমিকদের জন্যও পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন অপরিহার্য—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সফলভাবে প্রথম জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর, জাপান এখন মাতারবাড়ী-মহেশখালী অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেইআরএ এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ একাধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প এমআইডিআই উদ্যোগের মূলভিত্তি হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বুধবার (২৮ মে) শুরু হতে যাওয়া তার জাপান সফরে এমআইডিআই অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হবে। তিনি ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনায় মূলত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুসংহত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, মাতারবাড়ীকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনা ও রূপরেখা থাকা জরুরি।

এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। বৈঠকে এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর