Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শত শত রোগীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালের শত শত রোগী।

এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মানিক বলেন, আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত। হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

ইরফান নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমার স্ত্রীর আজ সকালে ডেলিভারি হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে সব দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম চালু হবে।


আরও খবর



প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

গত ১৪ সেপ্টম্বর-২৪ শনিবার প্রকাশিত একটি দৈনিকে "ডিবি হারুনের সঙ্গে সখ্যতা অপবাদে আ,লীগ সমর্থকের বাড়ি দখল যুবদল নেতার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রেতিবেদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি পৌর যুবদলের সিনিয়ার যুগ্ম আহবায়ক হওয়ায় একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংবাদে বলা হয়েছে আমি নাকি জোর করে বাড়ি দখল করেছি। যাহার কোন ভিত্তি নেই। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় আমার বাবা মোতালেব বেপারির জায়গা সাবেক ডিবি প্রধান হারুন,তৎকালীন গাজীপুরের ডিবির ওসি আমির হোসেন ও কবির তালুকদার ৮.৭৫ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে নেয়। কাগজ মুলে উক্ত জমির মালিক আমার বাবা মোতালেব বেপারী। এ নিয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে দুই দফা শালিশ করি, তারা কাগজপত্র দেখে আমাদেরকে আমাদের জমি বুঝিয়ে দিতে বলে। কিন্তু তারা জমি বুঝিয়ে না দিয়ে আমাদেরকে উল্টো বিভিন্ন হুমকি দেয়। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই 


আরও খবর



খাবার গ্রহণে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক :  বড় প্লেটে একসঙ্গে খাওয়া সুন্নত। আরব দেশে এখনো বড় প্লেটে খাবার গ্রহণের সংস্কৃতি আছে। যদিও আলাদাও খাওয়া যায় এবং যার যার রুচি অনুযায়ী খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে প্রিয় খাদ্য হলো যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে একসঙ্গে খায়। (সহিহুল জামে, হাদিস : ১৭১; সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ৮৯৫) একসঙ্গে খেলে খাবারে বরকত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্রহণ কোরো না। কারণ একজনের খাবার দুজনের জন্য যথেষ্ট হবে আর দুজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৫৪) তবে একসঙ্গে খেতে বসে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। এবং এমনভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত, যাতে অন্যের অরুচি না হয়।

নবী (সা.) (একসঙ্গে খেতে বসে) সঙ্গীদের অনুমতি ছাড়া কাউকে একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২৩৫৭) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি বড় খাবারের প্লেট ছিল। সেই প্লেট নিয়ে ঘটে গেল এক শিক্ষণীয় ঘটনা। আবদুল্লাহ বিন বুসর (রা.) বলেন, একবার নবী করিম (সা.)-এর জন্য একটি ছাগল হাদিয়া পাঠানো হলো। সেদিন খাদ্য অল্প ছিল। ফলে তিনি তাঁর পরিবারকে বলেন, এই ছাগলটি রান্না করো। আর এই যে আটা এ দিয়ে রুটি তৈরি করো এবং তার ওপর সারিদ ছড়িয়ে দাও। নবী করিম (সা.)-এর একটি (বড়) গামলা ছিল যাকে ‘গাররা’ বলা হতো। চারজন লোক সেটাকে বহন করত। যখন সকাল হলো এবং তারা সালাতুজ জুহা আদায় করল, তখন ওই গামলাটি আনা হলো, লোকেরা তার চার পাশে জমা হলো। যখন লোকসংখ্যা বেশি হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) হাঁটু গেড়ে বসলেন। এতে এক বেদুইন বলল, এ কোন ধরনের বসা? নবী করিম (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে উদার ও বিনয়ী বান্দা হিসেবে পাঠিয়েছেন, অবাধ্য ও স্বেচ্ছাচারী হিসেবে পাঠাননি। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা এই খাদ্যের পার্শ্ব থেকে খাও, মধ্যভাগ থেকে খেয়ো না। কেননা মধ্যভাগে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হয়। তারপর বলেন, তোমরা নাও এবং খাও। মহান আল্লাহ আমাদের খাবার বরকতময় করুন।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




চার দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম কমলো

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: চলতি সেপ্টেম্বর মাসে টানা চার দফা বাড়ানোর পর এবার দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬০ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। যা আজ শ‌নিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। 




আরও খবর



এবার দুরন্ত ফিচার্সের বাইক আনছে বিএমডব্লিউ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল গাড়ি সংস্থা বিএমডব্লিউ। চার চাকার পাশাপাশি দুই চাকার যান বাজারে এনেছে সংস্থা। সবশেষ বৈদ্যুতিক স্কুটার এনেছে সংস্থা। এবার নতুন বাইক বাজারে আনছে তারা। অসংখ্য ফিচারের সুবিধা পাবেন এই বাইকে। সংস্থার নতুন বাইক হচ্ছে বিএমডাব্লিউ এফ ৯০০ জিএস। দুটি মডেল আসছে এই বাইকের। আরেকটি মডেল হচ্ছে বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার।

বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস এবং বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার উভয়ই একটি ৮৯৫ সিসির টু-ইন সিলিন্ডার লাইন ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ৮৫০০ আরপিএমে ১০৩ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করে। অন্যদিকে ৬৭৫০ আরপিএমে এই বাইকে ৯৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের পাশাপাশি এই বাইকে রাখা হয়েছে একটি ৬ স্পিডের ইউনিট গিয়ার বক্স। স্ট্যান্ডার্ড এফ ৯০০ জিএস অফ-রোড রাইডিংয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যেখানে থাকবে নূন্যতম র্যালি-স্টাইল বডিওয়ার্ক এবং ২২৬ কেজি ওজনের কার্ব ও একটি ছোট ১৪.৫ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। অন্যদিকে অ্যাডভেঞ্চার মডেলে একটি বড় ২৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক এবং বড় আসন পাবেন। উভয় মডেলই বিএমডব্লিউর স্ট্যান্ডার্ড ফিচারের সঙ্গে সজ্জিত, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইডিং এবং পাওয়ার মোড, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, এবিএস, একটি দ্বি-দিকনির্দেশক কুইক শিফটার এবং একটি ৬.৫ ইঞ্চির টিএফটি টাচস্ক্রিন থাকছে, যা কেবল বাইক সম্পর্কিত সব তথ্যই দেবে না বরং নেভিগেশনের ফিচার্সও দেবে। এই অত্যাধুনিক জিএস মডেল দুটি স্ট্যান্ডার্ড রাইডিং মোড রেইন ও রোড সহ আনা হয়েছে।

এর সঙ্গে বাইকটিতে ডায়নামিক ট্রাকশন কন্ট্রোল এবং একটি ডায়নামিক ব্রেক লাইটও লাগানো হয়েছে। বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস সাও পাওলো ইয়েলো এবং একটি স্পোর্টি জিএস ট্রফি ভ্যারিয়ান্ট অফ হোয়াইট ও রেসিং ব্লু মেটাল এই তিন রঙে বাজারে আসে। আর অন্যদিকে জিএস অ্যাডভেঞ্চার ভ্যারিয়ান্টটি ব্ল্যাক স্টর্ম এবং হোয়াইট অ্যালুমিনিয়াম ম্যাট কালারের সঙ্গে বাজারে আসে। বর্তমানে বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএসএর এক্স শোরুম দাম ভারতে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার রুপি। বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চারের এক্স শোরুম দাম ১৪ লাখ ৭৫ হাজার রুপি।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




বাংলাদেশের এই টেস্ট দলকে সেরা বলে মনে করছেন হার্শা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ–ভারত সিরিজ নিয়ে আগ্রহ–উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগে থেকেই। প্রতিদিনই দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করায় এবার সাকিব–মুশফিকরা ভারতীয়দের কাছ থেকে বাড়তি সমীহ পাচ্ছেন।সমীহ করাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশিদের কাছেও পরিচিত নাম। বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রায়ই তিনি প্রশংসা করে থাকেন।

এবার রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেছেন হার্শা। ভারতকে ফেবারিট মানলেও নাজমুলের দল দারুণ লড়াই করে সিরিজ জমিয়ে তুলবে বলে আশা তাঁর।

গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো তারা (বাংলাদেশ) এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাদের কিছু পুরোনো সফরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে এবং ডারউইনে (ও কেয়ার্নসে) খেলা হয়েছিল অসময়ে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালের সেই সফরেও তিনটি টি–টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতলেও এরপর হেরেছে সব ম্যাচ। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি। মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সেই দল দুই টেস্টেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।

তবে এবারের বাংলাদেশ দলকে আগের চেয়ে অনেক ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে হার্শার। সে কারণেই তাঁর আশা সাকিব–মুশফিকরা সিরিজটা জমিয়ে তুলতে পারেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’

ভারতে এবার বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হার্শার বিশ্লেষণ, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক। তবে প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে।’



আরও খবর