Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

জনবল সংকট সত্বেও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ট্রেনের উৎপাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ব্যাপক জনবল সংকট ও বাজেটের সীমাবদ্ধতা সত্বেও দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে ৩ ইউনিট মেরামত লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কোচ মেরামতের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা (টার্গেট) ৪ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে।

নতুন নতুন রেলরুট চালু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালু হওয়ায় যেমন কোচের চাহিদা বেড়েছে তেমনি নতুন ট্রেন চালু করতেও অনেক কোচের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এ কারণে পুরাতন ট্রেন মেরামত ও নতুন ট্রেন সংযোজনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জোগান দিতে কারখানায় এই কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

রেলের সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার রেলবান্ধব। ফলে সারাদেশে রেলপথ বাড়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালুর পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। দিতে হচ্ছে কোচের জোগান। ফলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উপর চাপ বেড়েছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের (উপ-কারখানা) ইনচার্জ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন ৩ ইউনিট কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতিদিন দুই ইউনিটে একটি পূর্ণাঙ্গ কোচ বুঝানো হয়। সেক্ষেত্রে আমরা চলতি অর্থ বছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ৩১৭টি কোচ মেরামত করেছি। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪ ইউনিট মেরামত কাজ হয়েছে।

কারখানা সূত্র জানায়, সৈয়দপুর কারখানায় চরম লোকোবল সংকট রয়েছে। এখানে দুই হাজার ৮৫৯ জনের স্থলে লোকোবল রয়েছে মাত্র ৮২০ জন। কারখানার ২৮টি উপ-কারখানায় (শপ) উৎপাদন চলছে সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে। মাত্র ২৮ শতাংশ লোক কর্মরত আছেন ১১০ একর জমির উপর গড়ে ওঠা বিশাল ওই কারখানাটিতে। 

এছাড়াও কারখানায় বাজেট স্বল্পতা রয়েছে। চলতি বছরে মাত্র ২০ কোটি টাকা বাজেট মিলেছে। বাজেটের টাকায় মেরামত কাজে ব্যবহৃত উৎপাদন ও উপকরণ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দেয়া হয় রাজস্ব খাত থেকে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে শূন্যপদে লোক নিয়োগ জরুরি। সেইসাথে বাজেট দ্বিগুন করা না হলে উৎপাদন ব্যহত হতে পারে। 

কারখানা সূত্রে জানা যায়, উপরের চাহিদা অনুযায়ী অবিশ্রান্ত কাজ করছেন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা। রেলপথে চলাচলের পর অনুপোযোগী হয়ে পড়া কোচগুলো সৈয়দপুর কারখানায় এনে প্রয়োজনে মেরামত সেরে পূনরায় পাঠিয়ে দেয়া হয় রেলপথে।

সরজমিনে দেখা যায়, ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। ক্যারেজ শপে চলছিল ভারি মেরামত কাজ। একটি ক্যারেজের বগির ওপর (আন্ডারফ্রেম) ক্রেনের মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে সুপার স্ট্রাকচার। পাশেই বগি শপে চলছিল চ্যাচিজ মেরামতের কাজ। এছাড়া ক্যারেজ শপে চলছে রেলকোচে রংয়ের প্রলেপ। ১২ হাজার রকম যন্ত্রাংশ তৈরি হয় মেশিনসহ কয়েকটি শপে। যা রেলকোচ, ওয়াগণ ও ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়। একটি শপে ট্রেনের ব্রেক তৈরি হচ্ছিল। একটিতে তৈরি হচ্ছিল একটি কোচের সাথে অপর কোচকে জুড়ে দেওয়ার কাপলিং যন্ত্র। এছাড়া ঢাকায় পুড়ে যাওয়া ৩টি কোচও আনা হয়েছে কারখানায়। যেগুলো মেরামত করছিলেন শ্রমিকরা।

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদিকুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এখন কাজে তৎপরতা অনেক বেশি। দেশের রেলপথ বাড়ছে। তাই আমাদের ওপর চাপও বেড়েছে। কারখানাটিতে লোকবল সংকট নিরসনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। তবে সীমাবদ্ধতার মাঝেও কারখানার গতি নজীরবিহীনভাবে ধরে রাখায় তিনি শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মুহাম্মদ কুদরত ই খুদা জানিয়েছেন, এখন ম্যানেজমেন্ট লেভেল অনেক ভালো। মূলত ব্যবস্থাপনার কারণেই সৈয়দপুর কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। অবিলম্বে রেলওয়ের সব রকম সীমাবদ্ধতা দুর করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। ২০২১ সালের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের নিচে নেমেছে। অনেকের আশঙ্কা, তেলের দাম ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনো ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার। অয়েল প্রাইস ডটকম ও রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই তখন ধারণা করেছিলেন, তেলের দাম আবারও প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারে চাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার উল্টো ঘটনা, দাম কমে ৭০ ডলারের নিচে নেমে এল।

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে দাম কমছে। যতই সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা থাকুক, দিন শেষে বাজারে পণ্যের দাম নির্ধারণে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীন। তাদের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটা নির্ভর করে। কিন্তু সেই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। সেখানে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় তেলের বাজারে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। বছরের প্রথম ভাগে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের তেল আমদানি কমেছে। চাহিদা কম থাকায় তেল খুব একটা মজুত করছে না চীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার এটাই মূল কারণ।

কোভিড মহামারির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তার পর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।

অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।

চাহিদা কমলেই ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস করে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা তেলের উৎপাদন হ্রাস করেও বাজারে দাম খুব একটা বাড়াতে পারেনি। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়াতে পারে বলে জানা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে (এপিপিইসি) এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম বুরখার্ড এ কথা বলেছেন।

ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় তারা উত্তোলন বৃদ্ধির সময়সীমা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেক প্লাস জানায়, প্রয়োজনে তারা উত্তোলন কমানো বা অন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এপিপিইসিতে বহুজাতিক কোম্পানি ট্রাফিগুরার তেল বিভাগের প্রধান বেন লাকক বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শিগগির বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে। এমনকি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো উত্তোলন না বাড়ালেও বাজারে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


 গণহত্যার অভিযোগ আনা নিহত সিয়ামের বাবার আইনজীবী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।



গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে। 


বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এই আবেদন করেন।


আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশকে উল্লেখ করা হয়েছে।


 এ ছাড়া একই অপরাধে ব্যক্তির পাশাপাশি দল এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে আবেদনে।



শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।


এ ছাড়া আছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো.হারুন অর রশিদ। 


পাশাপাশি নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও  ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা, সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পঞ্চদশ সংশোধনী কেন বাতিল নয়: হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image



আদালত প্রতিবেদকঃ


সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  


সোমবার (১৯ আগস্ট) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। 


এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।




আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে রাতভর উত্তাল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোডে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন। 


তারা ভারতে পলাতক শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার দায়ে দ্রুত ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানায়।


 ধানমণ্ডি নিউ মডেল কলেজ ও রাসেল স্কয়ারের সামনে তখন হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। 


সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচারও করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। বিক্ষোভের সময় লাউড স্পিকারে বিভিন্ন কণ্ঠশিল্পী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন।



এর আগে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এখান থেকে দেশবাসীকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়কেরা। 


তারা বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ছাত্র সমাজসহ দেশের জনগণ। যেকোনোভাবে তাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রস্তুত তারা।



সন্ধ্যায় ছাত্র ও জনতা শেখ হাসিনার নির্দেশে করা গুলিতে নিহতদের স্মরণে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বালন ও নিহত হওয়ার ঘটনাস্থলে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দোয়া করা হয়।


শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘অধিকার আদায়ে আমরা সব সময় রাজপথে থাকব।’


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান করেছি, এবার সেই গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা সবাই জড়ো হয়েছি। এখন থেকে রাজপথ শুধু আমাদের দখলে থাকবে।’


এ সময় পূর্ব ঘোষিত চার দফা দাবির কথাও জানানো হয়। সেগুলো হলো:


১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।


২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।


৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ এবং নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।


৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম  ডেস্ক : মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)।

সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র। যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত।

প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল। রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার।

আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর