Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের নিরাপত্তায় কাজ করবে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

শুক্রবার থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ পর্ব শেষ হবে রবিবার।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম।

বৃহস্পতিবার সকালে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের নিরাপত্তায় র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবেন।

তিনি জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে মাঠে নেমেছে পুলিশ। পুরো ইজতেমার মাঠে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। পাশাপাশি ইজতেমা এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহনের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে।

জিএমপি কমিশনার আরও জানিয়েছেন, ‘পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের একাধিক ইউনিট ইজতেমা ময়দানে কাজ করছে। বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বেও বিদেশি মেহমান আসতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ আজ থেকে পুরো ইজতেমা এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর



ইসলামে অহেতুক সন্দেহ করা অপরাধ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের মানব সমাজে প্রচলিত অনেক ব্যাধির মধ্যে একটি হলো অমূলক ধারণা করা। কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কাউকে সন্দেহ করা। সামান্য এই ধারণা থেকেই পরবর্তী সময়ে দুই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর মধ্যে কখনো হিংসা-বিদ্বেষ ও দলাদলির মতো কেলেঙ্কারি পর্যন্ত ঘটে যায়। তাই আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব অমূলক ধারণা থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে- ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয়ই কিছু ধারণা গুনাহ।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২) অর্থাৎ কারো ব্যাপারে এমন কিছু ধারণা বা সন্দেহ করা, যে বিষয়টি তার মধ্যে নেই, এটা গুনাহের কাজ। এটা তার হক নষ্টের শামিল। এজন্য পরকালে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা কারো ব্যাপারে অনেক বড় কোনো সন্দেহ করে বসি। সেই সন্দেহ থেকে আরো কিছু কল্পনা করে ফেলি। নিজের সন্দেহ-কল্পনার কথা অন্যান্যের সঙ্গে শেয়ারও করি। পরে যখন প্রকৃত সত্য জানতে পারি, তখন লজ্জিত হতে হয়। নবীজি (সা.)ও সন্দেহ বা ধারণা থেকে কঠিনভাবে দূরে থাকতে বলেছেন। হাদিসে পাকে ইরশাদ হয়েছে-‘সাবধান! তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, অনুমান হলো সবচেয়ে বড় মিথ্যা।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০৬৪; মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৩) আমাদের আরেকটি বদ অভ্যাস কারো ব্যাপারে কোনো কিছু শুনেই বিশ্বাস করে ফেলি। তথ্যের কোনো যাচাই-বাছাই করি না। আল্লাহ তাআলা এ থেকে নিষেধ করে বলেন, ‘হে মুমিনরা! কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে, যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হয়।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬) এ ব্যাপারে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হতে এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে, তা-ই বলে বেড়ায়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯২) উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বোঝা গেল, সন্দেহের ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি নিশ্চিত। তাই অন্যের ব্যাপারে অহেতুক সন্দেহ করা থেকে আমাদের বেঁচে থাকা কর্তব্য। কারো সম্পর্কে কিছু শুনলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করব। অথবা সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত হব। আল্লাহ আমাদের সব ধরনের মিথ্যা ধারণা থেকে হেফাজত করুন!


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




স্ত্রীর দেনমোহর নিয়ে ইসলামে যা বলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক:  মহর হল বিয়ের মাধ্যমে নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের খাতিরে ইসলাম স্বামীর ওপর যে আর্থিক জিম্মাদারী আরোপ করেছেন তারই নাম দেনমোহর। দেনমোহরের মাধ্যমেই বিবাহ পূর্ণাঙ্গ ও বৈধ হয়। প্রাচীন আরবে যৌতুক দেয়ার প্রথা চালু ছিল, নবুয়াত প্রাপ্তির পর মোহাম্মদ (সা.) এই মোহর আদায় করা স্বামীর অবশ্য পালনীয় কর্তব্য এবং বিয়েতে স্ত্রীর জন্য মোহর নির্ধারণ এবং তাতে নারীর পূর্ণ মালিকানা প্রদান ইসলামি বিধানের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। দেনমোহর বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত এক গুরুত্বপূর্ণ হক বা অধিকার। দেনমোহর নারীদের অস্তিত্বের বিনিময় নয়। বরং মানবতা রক্ষার্থে দেনমোহর আদায় করা হয়ে থাকে। কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন আয়াতে দেনমোহরের কথা উল্লেখ রয়েছে। দেনমোহর বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যকীয় করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদের আপনি মোহরানা প্রদান করেন।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৫০)

‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪) হযরত আয়শা রা. নিহলার তরজমা ফারিজাহ করেছেন। আরেক জন প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ বলেন, আরবী ভাষাতে শব্দটি ওয়াজিবের অর্থে ব্যবহৃত হয়। এজন্য দেনমোহর ধার্য্য করা এবং তা আদায় করা ওয়াজিব। যদি কেউ দেনমোহর না দেওয়ার শর্তে বিবাহ করে তারপরও মোহরে মিসল (পারিবারিক দেনমোহর) দেওয়া ওয়াজিব হবে। ইমাম মালেক রহ. এর নিকট তো এমন অবস্থায় বিবাহই সংঘঠিত হবে না।

দেনমোহরের পরিমাণ

দেনমোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ দশ দিরহাম। যদি কেউ তার চেয়ে কম দেনমোহর নির্ধারন করে তাহলে তা ধর্তব্য হবে না; বরং দশ দেরহাম ওয়াজিব হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: দশ দেরহামের চেয়ে কম দেনমোহর নেই। ১০ দিরহাম বর্তমান হিসাবে ৩০ গ্রাম ৬১৮ মিলি গ্রাম হয়। বর্তমান টাকার হিসাবে সর্বনিম্ন দেনমোহরের পরিমাণ ২ হাজার ৮৩৫ টাকা। যদি ১ তোলা রৌপ্যের মূল্য ১ হাজার ৫০ টাকা হয়, তাহলে ৩০ দশমিক ৬১৮ গ্রাম রৌপ্যের মূল্য ২ হাজার ৮৩৫ টাকা। ইমাম মালেক (রহ.) এর নিকট দেনমোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ এক চতুর্থাংশ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) অথবা তিন দিরহাম খাটি রৌপ্যমুদ্রা। এক চতুর্থাংশ দিনার বর্তমান হিসাবে (প্রায় সাড়ে চার মাশা স্বর্ণ) এবং তিন দিরহাম। অর্থাৎ প্রায় ১১ গ্রাম। ইমাম মালেক (রহ.) কিছু হাদিসকে সামনে রেখেই এই মত পেশ করেছেন। ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এর নিকট দেনমোহরের কোনো সর্বনিম্ন পরিমাণ নেই। সর্বনিম্ন মূল্যবান জিনিসই তাদের নিকট দেনমোহর হতে পারে। তবে সর্বোচ্চ দেনমোহরের ক্ষেত্রে সকলেই একমত যে, তার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। কেননা কুরআনুল কারীমে দেনমোহরের ক্ষেত্রে (ক্বিনতার) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ অনেক সম্পদ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ১২ হাজার দিরহাম অথবা এক হাজার দিনারকে বলেছেন। সুতরাং নববী যামানা ও সাহাবিদের যামানাতে অনেক সময় অঢেল পরিমাণে দেনমোহর নির্ধারণ করা হতো। স্বয়ং নবী কারীম (সা.) এর পবিত্র স্ত্রীদের মধ্যে হযরত উম্মে হাবিবাহ (রা.) এর দেনমোহর চার হাজার দিরহাম ধার্য করা হয়েছিল, যা হাবশার বাদশাহ নাজাশী ধার্য করে নিজের পক্ষ থেকে তা আদায়ও করে দিয়ে ছিলেন। এ ব্যাপারে এক ঘটনা উল্লেখযোগ্য, আর তা হল: হযরত উমর রা. দেখলেন যে, লোকেরা আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে অধিক পরিমাণে দেনমোহর ধার্য করা শুরু করেছে, তাই তিনি মনে করলেন যে, দেনমোহরের একটা সর্বোচ্চ পরিমান ধার্য করে দেওয়া দরকার, আর তা ৪০০ দেরহামের চেয়ে বেশি হতে পারবে না। একথা তিনি মিম্বরে উঠে খুতবার মধ্যে উল্লেখ করেন। এরপর যখন তিনি খুতবাহ শেষে মিম্বর থেকে নেমে আসেন তখন এক কুরাইশী নারী বললেন: হে আমিরুল মু’মিনীন! আপনি এটা কিভাবে নির্ধারণ করলেন যে, ৪০০ দেরহামের বেশি দেনমোহর দেওয়া যাবে না? অথচ কুরআনে আল্লাহ তাআলা দেনমোহরের ব্যাপারে (ক্বিনতার) শব্দ উল্লেখ করেছেন, যার অর্থ প্রচুর পরিমাণ। অর্থাৎ তোমরা যত ইচ্ছা পারো দেনমোহর দাও। সুতরাং সেই অধিকারকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। হযরত উমর (রা.) এর মন নির্দিধায় সত্যকে গ্রহণ করার ছিল। সুতরাং ততক্ষণাৎ তিনি ইরশাদ ফরমান:

অনুবাদ: আল্লাহ আমাকে মাফ করেন, সকলেই উমরের চেয়ে বড় জ্ঞানী। অতপর তিনি পুনরায় মিম্বরে ওঠেন এবং ফরমান: হে লোকসকল! আমি তোমাদেরকে ৪০০ দেরহামের চেয়ে বেশি দেনমোহর দেওয়া থেকে মানা করেছিলাম, কিন্তু এখন তোমরা যত চাও তোমাদের সম্পদ থেকে দেনমোহর দিতে পার। আল্লাহ তাআলা যখন সাহাবায়ে কেরামকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করেছিলেন এবং তাদের অবস্থা ভালো হয়ে গিয়েছিল তখন তারা অধিক পরিমাণে দেনমোহর ধার্য করতেন। স্বয়ং হযরত উমর (রা.) এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, যখন তিনি হযরত আলী (রা.) এর কন্যা হযরত উম্মে কুলসুমকে বিবাহ করেন তখন চল্লিশ হাজার দিরহাম দেনমোহর হিসাবে ধার্য করেছিলেন। সম্ভবত তা নববী খান্দানের ইজ্জত এবং সম্মানের জন্য ছিল। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) এর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ আছে যে, তিনি তার কন্যাদের দেনমোহর এক হাজার দিনার রাখতেন। পরে ১৫০০ দিনারের কথা উল্লেখ রয়েছে। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) এক নারীকে বিশ হাজার দেনমোহরে বিবাহ করেছেন। হাদীসের শব্দে সাধারণভাবে বিশ হাজারের কথা উল্লেখ রয়েছে। সম্ভবত তার দ্বারা উদ্দ্যেশ্য বিশ হাজার দিরহাম। কিন্তু বেশির থেকে বেশি দেনমোহর রাখা শুধু লোক দেখানো এবং নিজের বড়ত্তের জন্য যেন না হয়, বরং সত্যিকার ভাবে তা স্ত্রীকে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে এবং তা আদায় করার মত সামর্থও থাকে; তাহলে বেশি ধার্য করাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থাতে দেনমোহর এত কম না হওয়া উচিৎ যার কোন গুরুত্বই থাকে না। আবার না এত বেশি পরিমাণ ধার্য করা উচিৎ যা আদায় করা কষ্টকর হয়ে যায় অথবা আদায় করার ইচ্ছাই না থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পবিত্র স্ত্রীদের সাধারণত ৫০০ দিরহাম দেনমোহর ছিল। বেশি গ্রহণযোগ্য অভিমত হল, হযরত ফাতেমা (রা.) এর দেনমোহর ৫০০ দিরহাম ছিল। এজন্য এটাকে মোহরে ফাতেমী বলা হয়। কিছু উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, ৫০০ দিরহামের বেশি দেনমোহর না হওয়া উচিৎ। ৫০০ দিরহাম বর্তমান বাজারের হিসাব হবে: ১ দিরহাম=৩ দশমিক ৯৭৫ গ্রাম। অতএব ৫০০ দিরহাম ১৪৮৭ দশমিক ৫০ গ্রাম। আমরা জানি, ১১.৩৩ গ্রাম-১ তোলা/ভরি। ১৪৮৭ দশমিক ৫০গ্রাম (৫০০দিরহাম)=১৪৮৭ দশমিক ৫০/১১ দশমিক ৩৩=১৩১ দশমিক ২৮ তোলা/ভরি। সুতরাং বর্তমান বাজারে প্রতি তোলা রুপা ১১০০ টাকা হলে, মোহরে ফাতেমী (১৩১ দশমিক ২৮ তোলা/ভরির) মূল্য হবে= ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৮ টাকা। স্বর্ণ ও রৌপ্যের মাধ্যমে দেনমোহর দেনমোহর ধার্যের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা উচিত। দেনমোহর এত কম পরিমাণ না হওয়া উচিৎ যার কোন মূল্যই বাকি থাকে না। আবার এত বেশি পরিমাণ হওয়া যাবে না যা স্বামীর জন্য আদায় করা অসম্ভব বা দুষ্কর হয়ে যায়। এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম স্ত্রীর পরিবারের অন্য সদস্যদের দেনমোহরের পরিমাণটা সামনে রেখেছেন। অর্থাৎ নারীর পিতার খান্দানের মেয়েদের দেনমোহরের পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে। ফিকহি পরিভাষায় তাকে মোহরে মিসাল বলা হয়ে থাকে। মোহরে মিসাল দ্বারা শুধু পরিমাণ উদ্দ্যেশ নয়, বরং তার মূল্যমানও দেখা হবে। যেমন: বিশ বছর পূর্বে যদি ফুফুর দেনমোহর দশ হাজার টাকা হয়ে থাকে এজন্য বর্তমানেও তার ভাতিজিকে দশ হাজার টাকাই দেনমোহর ধার্য করা হলে তা ইনসাফপূর্ণ কাজ হবে না। কারণ বিশ বছর পূর্বে দশ হাজার টাকা দ্বারা প্রায় দুই ভরি স্বর্ণ ক্রয় করা যেত আর আজকের বাজারে দশ হাজার টাকা দ্বারা আধা ভরিও পাওয়া যাবে না। সুতরাং শুধু মাত্র টাকার পরিমাণ দেখলে হবে না বরং বাজার মূল্যও দেখতে হবে। দু:খের বিষয় হল, আমাদের সমাজে আজ-কাল দেনমোহরের ব্যাপারে অনেক বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি দেখা যায়। এখনো অনেক এলাকাতে ও খান্দানে মাত্র পাঁচ, দশ হাজার টাকা দেনমোহর হিসাবে ধার্য করা হয়ে থাকে। যা মোটেই ঠিক না। আবার অনেক এলাকা এবং খান্দানে লোক দেখানোর জন্য লাখ লাখ টাকা ধরা হয়ে থাকে এবং তা আদায় করার ইচ্ছাও রাখে না। আজকাল যেহেতু কারেন্সির মুল্যের মাঝে স্থিতিশিলতা নেই বরং দিন দিন শুধু চড়া হতে চলছে এবং বিশ বছর পূর্বে পাঁচ হাজার অথবা দশ হাজার টাকার মূল্যায়ন ছিল, কিন্তু আজ এ পরিমাণ টাকা দিয়ে একটি গরিব পরিবারও চলতে পারেনা এবং আমাদের দেশে এ পরিমাণ টাকা কোথাও দেনমোহর হিসাবে দেওয়ার রেওয়াজও নেই; সুতরাং এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণ বা রৌপ্যের মাধ্যমে দেনমোহর ধার্য করাই উচিৎ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর যামানাতে দিনার স্বর্ণের হতো এবং দিরহাম রৌপ্যের হতো। স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যের মাঝে এখনো স্থিরতা রয়েছে। ফলে তা নারীদের হকের ক্ষেত্রে ইনসাফের বিষয় হবে। উদাহরণ স্বরুপ, আজ যদি কারো দেনমোহর টাকার পরিবর্তে পাঁচ তোলা স্বর্ণ ধার্য করা হয়, (যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা)। আর বিশ বছর পর যদি সেই দেনমোহর আদায় করতে চায় তাহলে তাকে সেই পাঁচ তোলা স্বর্ণই আদায় করতে হবে। তখন তার বাজার মূল্য আজকের মূল্য থেকে অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও নারী তার ধার্যকৃত দেনমোহরের সেই পাঁচ তোলা স্বর্ণই পাবে। কিন্তু এর বিপরীত যদি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর হিসাবে ধার্য করা হয়, তাহলে বিশ বছর পর যদি তা আদায় করতে চায় তাহলে তার উপর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই আদায় করা ওয়াজিব হবে। অথচ যেই টাকা দ্বারা তখন দুই তোলা স্বর্ণ ক্রয় করা যেত, আজ সেই টাকা দ্বারা এক আনা স্বর্ণও পাওয়া যাবে না। ফলে নারী এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াটাই নিশ্চিত এবং এটা তাদের সঙ্গে বেইনসাফি করা হবে। এক তো তাদের দেনমোহরকে সময়মত আদায় করা হয়নি, দ্বিতীয়ত যখন আদায় করতে যাচ্ছে তখন তার মূল্য আগের তুলনায় খুব কম। সুতরাং এ ব্যাপারে ‘ইসলামী ফিকহা একাডেমি ইন্ডিয়া’ ১৯৮৯ সালে এক ফিকহী সেমিনারের আয়োজন করে এবং নিম্নের বিষয়গুলো পাশ করা হয়: দেনমোহর স্বর্ণ এবং রৌপ্যের মাধ্যমে দেওয়া উচিৎ, যাতে করে নারীদের হকসমূহ পরিপূর্ণভাবে আদায় হয় এবং মুদ্রার মূল্যের ঘাটতির কারণে যেন নারীদের হকসমূহ নষ্ট না করা হয়। 

দেনমোহর-স্বামীর কাছে এক প্রকার ঋণ

এ কথা মনে রাখা দরকার যে, দেনমোহরও স্বামীর উপর অন্যান্য ঋণের ন্যায় এক প্রকার ঋণ। এজন্য সঠিক নিয়ম হল, বিবাহের সময়ই দেনমোহর আদায় করা। সাহাবায়ে কেরাম এবং পরবর্তী যামানাতে বিবাহের সময়ই দেনমোহর আদায় করার প্রচলন ছিল। যদি পুরা দেনমোহর আদায় না করতে পারত তারপরও বিবাহের সময় কিছু দেনমোহর আদায় করত। এ বিষয়টি আরবের ইসলামী সমাজে এত মজবুত ভাবে পালনীয় ছিল যে, ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন: যদি কোন নারীর বিবাহ হওয়ার পর এমন দাবী করে যে, আমার স্বামীর সাথে মিলন হয়েছে কিন্তু সে দেনমোহর আদায় করেনি, তাহলে তার এ দাবিটি বিশ্বাসযোগ্য ছিলনা। কারণ তা সমাজ ও পরিবেশে প্রচলিত আমলের বিপরিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত আমাদের এই উপমহাদেশে (ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে) বিবাহের সময় দেনমোহর আদায় করার কোন প্রচলন নেই। এখনতো অবস্থা এতোই খারাপ যে, যদি কেউ বিবাহের সময় দেনমোহর আদায় করে তাহেল সবাই মনে করে যে, স্বামীর মনে হয় তালাক দেওয়ার ইচ্ছা আছে!।

দেনমোহর আদায় করার নিয়ত যদি না থাকে

অনেক সময়তো দেনমোহর আদায় করার নিয়তই থাকে না। শুধু নামে মাত্র দেনমোহর ধার্য্য করা হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: যে বিবাহ করল এবং দেনমোহর শুধু ধার্য্য করল কিন্তু তার অন্তরে দেনমোহর আদায় করার নিয়ত নেই, তাহলে আল্লাহর দরবারে তাকে যিনাকারী হিসাবে গণ্য করা হবে। (নাউযুবিল্লাহ)

অন্য হাদিসে আছে যে, সে স্ত্রীর সাথে ধোকা বাজী করেছে, এজন্য সে কিয়ামতের দিন একজন যিনাকারী হয়ে উঠবে। কোন কোন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে তাকে অনেক যুলুম নির্যাতন করতে থাকে, যাতে করে স্ত্রী নিজেই দেনমোহর মাফ করতে বাধ্য হয়ে নিজেই চলে যায়। এটা খুবই নিম্ন স্বভাবের ও কলঙ্কময় কাজ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে খারাপ লোক ঐ ব্যক্তি, যে কোন নারীকে বিবাহ করে এবং তার প্রয়োজনকে পুরা করে তালাক দিয়ে দেয়, অথচ তার দেনমোহরও আদায় করে না। এজন্য পুরোপুরি ঋণ মনে করে বিবাহের সময়ই তা আদায় করার নিয়ত রাখা উচিৎ, কেননা যখন কোন ব্যক্তি তার ওপর ঋণকে আদায় করার নিয়ত করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার দিকে সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করে দেন। খোদা না করুন, যদি তালাকের পরিস্থিতি সামনে আসে তাহলে দেনমোহর আদায় করা থেকে বাঁচার জন্য বাহানা খোঁজা ঠিক না। বরং দেনমোহর ছাড়া আরো কিছু অতিরিক্ত দিয়ে স্ত্রীকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া উচিৎ। যাকে কুরআনে ‘মাতাউন’ বলা হয়েছে। ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন যে, কোন নারী যদি তার স্বামীর কাছে খুলআ কামনা করে, আর তা স্বামীর যুলুম ও নির্যাতনের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে সে অবস্থাতেও স্বামীর জন্য দেনমোহরকে মাফ করানোর বাহানা করা একটি অপছন্দনীয় কাজ। যদি নারীর ত্রুটির কারণে তালাকের পরিস্থিতি সামনে আসে, তাহলে দেনমোহর পরিমাণ ফেরত নেয়া অথবা মাফ করা জায়েজ আছে। এমনকি যদি দেনমোহর বিবাহের সময়ই আদায় করে থাকে তাহলে উত্তম হল সেই অবস্থাতেই রাখা। দেনমোহরের পরিমাণের চেয়ে বেশি আদায় করা মাকরুহ। 

ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে আগে দেনমোহর আদায় করা

যদি কোন কারণে স্বামী জীবদ্দশাতে দেনমোহর আদায় না করতে পারে, তাহলে অনেক এলাকাতে মৃত্যুর পর স্ত্রী থেকে দেনমোহরকে মাফ করানো হয়ে থাকে। কখনো এমন হয় যে, নারীর সামনে লাশ রেখে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বলা হয়ে থাকে যে, তোমার প্রাপ্য দেনমোহরকে মাফ করে দাও। সেই সময় নারী অনেক দুঃখ এবং ভারাক্রান্ত অবস্থায় থাকে, এমন অবস্থায় যদিও মন থেকে মাফ করতে না চায় তারপরও লোকমুখে লজ্জা-শরমের কারনে মাফ না করে উপায় থাকেনা। এমনটা করা অনেক ঘৃণিত ও শরীয়তের খেলাফ কাজ। শরীয়তের উসূল বা পন্থা হল, যদি কোন ব্যক্তি ইন্তেকাল করে তাহলে প্রথমে তার ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এরপর ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করা হবে। সুতরাং যেমনিভাবে অন্যান্য ঋণ আদায় করা ওয়াজিব এবং তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হতে হবে, তেমনিভাবে দেনমোহরও এক প্রকার ঋণ এবং তার ব্যাপারেও আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে। এজন্য দেনমোহর মাফ করানোর কোন অর্থই হয় না। সুতরাং অন্যান্য ঋণের ন্যায় স্ত্রীর ঋণও পরিশোধ করতে হবে। এরপর যা অবশিষ্ঠ থাকবে তা ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করা হবে।


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মোবাইল ফোনের নেশা কাটাতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৬জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল ফোন ধরে বসে থাকাটা আজকাল আর অভ্যাস নয়, রীতিমতো ‘খারাপ অভ্যাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তরই বা কোথায়— অচেনা এলাকা চিনতে হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, অফিসের প্রজেক্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক কিংবা সিনেমা দেখা— সবই তো করতে হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এমনকি অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলেও হাত বাড়িয়ে দিই মোবাইল ফোনের দিকে। তা হলে ফোন থেকে নজর এড়িয়ে চলবেন কী করে? এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডির গবেষণায় যা উঠে এসেছে। আমাদের সামাজিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে সরে আসার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে— মোবাইল ফোনে আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি থেকে শরীর ও মেধার ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় চিকিৎসকরাও মোবাইল আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিজিটাল সমাজের রাশ হাতে রেখেও কীভাবে আসক্তির মুশকিল আসান হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডি অবশ্য বলেছেন, সমাধান মিলেছে। একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে সেই ‘কার্যকরী’ উপায়। যার সাহায্যে মাত্র ৬ মিনিটেই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লেখিকা লিজ। আবার তার নিজস্ব পডকাস্টের চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলেই তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। লিজ বলেছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে— মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, পড়ার অভ্যাস মনকে হালকা করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসার আগে বই পড়ার অভ্য়াস ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাস অধিকাংশই মানুষ ভুলতে বসেছেন। গবেষণার কথা মেনে দিনের একটা সময় মোবাইল ফোন থেকে ৬ মিনিটের জন্য চোখ সরালে চাপমুক্তির পাশাপাশি আরও একটা ভালো কাজ হবে। মন একমুখী বা বলা ভালো— ফোনমুখী না হয়ে অন্য পথে চালিত হবে। আর কে বলতে পারে, মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পড়ার অভ্যাস হয়তো আমাদের মোবাইল আসক্তিকেও দূর করবে। লিজ যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণা করা হয়েছিল সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা কগনিটিভ নিউরোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক ডেভিড লুইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। পরে সেই গবেষণা বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি প্রসঙ্গে ডেভিড অবশ্য বলেছিলেন—বই পড়লে যে আমাদের মন অন্য পথে চালিত হয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো— সাদা পাতায় ছাপার অক্ষরগুলো আমাদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে জুড়ে আমাদের মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতাকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।


আরও খবর



রায়পুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালির মধ্য দিয়ে শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৬জন দেখেছেন

Image

খোরশেদ রনি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় রায়পুর এলএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে রায়পুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে এই র‍্যালি শেষ হয়। এতে শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

র‍্যালিতে শিবিরের লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি আবদুর রহমান ছাড়াও শিবিরের সাবেক জেলা ও শহর সভাপতি অ্যাড. আবদুল আউয়াল রাসেল, সাবেক জেলা ও শহর সভাপতি ফজলুল করিম, সাবেক জেলা সভাপতি সাইফুদ্দিন রাকিব, জেলা সাহিত্য সম্পাদক আবদুল মোতালেব, জেলা মাদ্রাসা ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক হযরত আলীসহ রায়পুরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালি শেষে সমাপনী বক্তব্যে শিবিরের জেলা সভাপতি বলেন, " শিবির এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। তাই আগেও যারা শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত ছিলো তারা আজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। আগামীতেও যারা শিবিরের বিরুদ্ধাচারণ করবেন, তাদেরকেও জনগণ বয়কট করবে।"


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঋণ খেলাপিদের মনোনয়ন দেবে না বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭০জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার: দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি। সংসদেই সব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শ্বেতপত্র এবং অতঃপর শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

তিনি জানান, রাজনীতিতে সংস্কার, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। ঋণ খেলাপিদের আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচন আসবে কি-না তা দেশের জনগণই ঠিক করবে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চীন এবং ভারতের সঙ্গে বিগত সরকার আলোচনা করেনি বলেও জানান তিনি।

দ্রুত নির্বাচনের জন্য কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি একটি নির্বাচিত সরকার সব ধরনের সংস্কার করতে পারে। কারণ তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসে। অতীতের সব ভুল শুধরে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি নীতিমালা সাজাচ্ছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর