Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার  বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট দেড় মাসের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় আনা হয় খালেদা জিয়াকে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গত ২৩ জুন তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।উন্নত চিকিৎসার জন্য যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্য নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



ঢাবি ছাত্রশিবিরের কমিটি প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়। দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি হিসেবে মো. আবু সাদেক কায়েম ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে এস এম ফরহাদের নাম গণমাধ্যমে আসে।

এরপর বিভিন্ন মহল থেকে ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের দাবি উঠে। সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও ঢাবি শিবিরের প্রকাশিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ্ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল।

এছাড়া কমিটিতে সাহিত্য সংসস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন নুরুল ইসলাম নুর, বিজ্ঞান ও ক্রিড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন।


আরও খবর



লাল তালিকামুক্ত হলো পাকিস্তানের সব পণ্য

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘লাল তালিকাযুক্ত’ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দীর্ঘদিন পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটির পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করা হয়েছে।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ ‘রেড লেনে’ ছিল। ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পণ্যগুলোকে ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর। এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো রকম জটিলতা থাকবে না। পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে। 

গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান। ওই সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।



আরও খবর



বিজিএমইএ ‘মানবে না’ মজুরি ও ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শিল্পখাতে বিদ্যমান অস্থিরতা ও সমস্যা নিরসনে সরকারের কাছে ১৮টি দাবি উত্থাপন করে শ্রমিক পক্ষ। তাদের এসব দফার মধ্যে মজুরি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর দাবি কোনোভাবেই না মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ।গাজীপুর ও আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের উত্তরা কার্যালয়ে ‘বিশেষ সাধারণ সভায়’ এমন সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সদস্যদের মতামত জানতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ এ সভা ডাকে।বিশেষ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টাকে জানাবে রপ্তানি খাতের সংগঠনটি।

বিজিএমইএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সভায় উপস্থিত সদস্যরা একমত হয়েছেন নতুন করে মজুরি বৃদ্ধি ও বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না।

তার অভিযোগ, শ্রমিকদের নামে বিভিন্ন ফেডারেশন ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ১৮ দফা দাবি তুলেছে।



আরও খবর



শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সমাবেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।তাদের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার’ করার দাবিও জানান বিএনপি নেতারা।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গিয়াস আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসকে ফ্লোরিডা থেকে অভিনন্দন  জানাতে আসেন ফ্লোরিডা স্টেট বিএনপির সভাপতি ও  মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমরানুল হক চাকলাদার, সেলিম রেজা প্রমুখ।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পোর্ডিয়ামে দাঁড়িয়ে যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণ দিচ্ছেন তখন সদর দপ্তরের বাইরে তার সমর্থনে সমাবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা ড. ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দেশের তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশ বাঁচানোর জন্য ডক্টর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তারা।


আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : সৃষ্টির ওপর স্রষ্টার মর্যাদা যেমন, সব বাণীর ওপর কোরআনের মর্যাদাও তেমন। তাই ঐশীবাণী পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াতের ফজিলত এবং মর্যাদাও সবচেয়ে বেশি। এতে রয়েছে অনেক সওয়াব, কল্যাণ, রহমত, বরকত, আত্মার প্রশান্তি ও ইমানি শক্তি। কোরআনের প্রতিটি আয়াতে যেমন রয়েছে বিশ্ব মানবতার হেদায়েত ও মুক্তির বার্তা, তেমনি কোরআন তেলাওয়াতে রয়েছে বিশ্ববাসীদের জন্য অফুরান সওয়াব ও পুরস্কারের ঘোষণা। কেননা বান্দার জন্য আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একমাত্র মাধ্যম পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের বয়সের সময় ও শ্রম কম, কিন্তু তার সম্মান ও সওয়াব অনেক বেশি।

এ উম্মতকে আল্লাহতায়ালা কালামুল্লাহ বা আল কোরআন দান করেছেন, যা স্বয়ং আল্লাহর কথা। হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতেন, তবে তা ছিল নির্ধারিত সময়ে। আর এ উম্মতের জন্য যখন খুশি তখন আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু বলেন, আমার যখন মন চাইত আল্লাহর সঙ্গে কথা বলব, তখন আমি কোরআন তেলাওয়াত শুরু করে দিতাম। রমজান মাস ছাড়া পবিত্র কোরআন শরিফ খতম করে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ইচ্ছে করলে নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে ও সকাল-বিকাল দু-চার পৃষ্ঠা করে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা যায়। তাতে দেখা যাবে প্রতি দুই মাস তিন মাসে একটি করে খতম হয়ে যাবে। এছাড়াও কাজের সময়ও মুখস্থ করা ছোট ছোট সুরাগুলো আমরা পড়তে পারি অথবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে থেকে দেখে দেখে তেলাওয়াত করতে পারি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব নিয়মিত তেলাওয়াত করবে সেই ব্যক্তিকে যখন মৃত্যুর পর কবরে দাফন করা হয় তখন ফেরেশতারা মাথার দিক থেকে আজাব দেওয়ার জন্য এলে তখন কোরআন তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা সামনের দিক থেকে আসে তখন দান-সদকা তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা পায়ের দিক থেকে আসে, তখন মসজিদে পায়ে হেঁটে যাওয়া তাকে বাধা দেয়। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে মমিন ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হলো কমলা লেবুর মতো, তার স্বাধও ভালো আবার ঘ্রাণও ভালো।

তেলাওয়াতবিহীন মুমিনের উদাহরণ হলো খেজুরের মতো, তার স্বাদ ভালো কিন্তু কোনো ঘ্রাণ নেই। আর কোরআন তেলাওয়াতকারী পাপী ব্যক্তির উদাহরণ হলো ফুলের মতো, ঘ্রাণ ভালো কিন্তু স্বাধ তিক্ত। আর যে কোরআন তেলাওয়াত করে না এমন পাপী মমিনের উদাহরণ হলো মাকালের মতো, যা দেখতেই সুন্দর, তবে স্বাধে তিক্ত, বিষাক্ত ও দুর্গন্ধময়। (বোখারি)। বিশ্বনবী প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোরআনের আয়াতের সংখ্যার পরিমাণ হবে জান্নাতের সিঁড়ি, আর কোরআনের পাঠককে বলা হবে তুমি যতটুকু কোরআন পড়েছ, ততটুকু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাও। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কোরআন পড়েছে, সে আখেরাতে জান্নাতের সর্বশেষ ধাপে উঠে যাবে। আর যে ব্যক্তি কোরআনের কিছু অংশ পড়েছে, সে সমপরিমাণ ওপরে উঠতে পারবে।

আর তার কোরআন পড়ার সীমানা যেখানে শেষ হবে সেখানে তার সওয়াবের সীমানাও শেষ হবে। দুনিয়াতে কোরআন চর্চা তথা শিখা এবং শিখানোর ফজিলত সম্পর্কে প্রিয় নবী বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্ব উত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শিখে অতঃপর অন্যকে শিখায়। (বুখারি)। প্রিয় নবী আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি  কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে একটি নেকি পাবে আর একটি নেকি ১০টি নেকির সমপরিমাণ। (তিরমিজি)। দয়ার নবী (সা.) ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন কোরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে- তুমি পবিত্র কোরআন পড় এবং জান্নাতের ওপরে উঠতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে সুন্দর ও সহিভাবে, তারতিলের সঙ্গে কোরআন পড়তে, সেভাবেই পড়। জেনে রাখ যেখানে তোমার আয়াত পাঠ করা শেষ হবে, জান্নাতের সেই সুউচ্চ স্থানই হবে তোমার চিরস্থায়ী সুখ শান্তিময় বাসস্থান। (তিরমিজি)।

প্রিয় নবী (সা.) আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে, তা মুখস্থ করবে এবং তার বিধি বিধানের প্রতি যত্নবান হবে, সে উচ্চ মর্যাদার সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে জান্নাতে অবস্থান করবে, আর যে ব্যক্তি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কোরআন পাঠ করবে এবং তার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবে, সে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (বুখারি- মুসলিম)। নবীজি (সা.) আরও ইরশাদ করেন, তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর, কেননা কেয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হবে। 



আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪