Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

ব্ল্যাক হানি না সাধারণ মধু- কোনটি বেশি উপকারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিস্ময়কর এক প্রাকৃতিক উপাদান মধু। যা এক প্রকার মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ। মধু তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন করে মৌমাছি। বিভিন্ন ফুলের নির্যাস বা রস সংগ্রহ করে রহস্যময় প্রক্রিয়ায় মধু সৃষ্টি করে তারা।

পবিত্র কোরআন থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিদ্যা- সবখানেই মধুর নানা উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। অগণিত শারীরিক সমস্যার সমাধান রয়েছে এই প্রাকৃতিক পদার্থটিতে। মধুর কিন্তু বিভিন্ন নাম রয়েছে। রঙ, গঠন কিংবা উৎসের ওপর নির্ভর করে এর নাম করণ করা হয়। মধুর এমনই একটি প্রকার ‘ব্ল্যাক হানি’। বাংলায় যাকে কালো মধু বলতে পারেন।

মধু মাত্রই উপকারি। তবে তুলনার কথা আসলে সাধারণ মধুর চেয়ে কালো মধু কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। স্বাদ, গঠন, রঙ, পুষ্টি উপাদান, স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে প্রতিনিয়ত এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কালো মধু কেন সাধারণ মধুর চেয়ে বেশি উপকারি, জানুন এই প্রতিবেদনে-

মধুর উৎস ফুলের নির্যাস এ কথা আমাদের সবার জানা। বছরের একেক সময় একেক ফুল ফোটে। সময়ের ওপর এদের ধরনে পরিবর্তন আসে। মূলত ফুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে মধুর রঙ কেমন হবে। এই যেমন সরিষা ফুলের মধু হালকা সোনালি রঙের। সেই তুলনায় কালোজিরা ফুলের মধু কালচে হয়ে থাকে।

কালো মধু কী?
যে মধুর রঙ গাঢ় বাদামি বা কালচে হয় তাকে কালো মধু বলা হয়। সাধারণ মধুর তুলনায় এর ঘনত্ব হয় বেশি, রঙও গাঢ়। একারণে এই মধুকে অনেকে ডার্ক হানি বা গাঢ় মধু নামেও চেনেন। প্রশ্ন থাকতে পারে, এই মধুর রঙ কালো বা বাদামী হয় কেন? কারণ যে সব ফুলের পরাগ গাঢ় বা কালচে রঙের, সে সব ফুলের রস সংগ্রহ করেই এই বিশেষ মধু তৈরি হয়।

ব্ল্যাক হানির প্রকারভেদ?
ফুলের ওপর নির্ভর করে কালো মধুর নানা প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় কালো মধু হলো- ব্ল্যাকবাট, বাকউইট, মেনুকা, জাররাহ, থাইম, চেস্টনাট, ড্যান্ডেলিয়ন, মেডো ইত্যাদি। প্রতিটি ধরনেরই রয়েছে আলাদা বিশেষত্ব। এই যেমন, মেনুকা হানি। নিউজিল্যান্ডের মেনুকা গাছের ফুলের নির্যাস বা রস সংগ্রহ করে মৌমাছিরা এই মধু তৈরি করে, এছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন রেইন ফরেস্ট গুলোতে অতি উচ্চ মানের কিছু কালো মধু পাওয়া যায়। এতে সাধারণ মধুর সব পুষ্টি উপাদান তো রয়েছেই, বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড। যা অন্য মধুতে নেই।

কালো মধু আর সাধারণ মধুর মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ মধু আর কালো মধু তৈরি প্রণালি, সংগ্রহের উপায় সবটাই এক। সব মধুই মৌমাছিরা ফুল থেকে আহরণ করে এবং মৌচাকে জমায়। আর মৌচাক থেকে তা মানুষ সংগ্রহ করে। তাহলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কোনটির পুষ্টি গুণই বা বেশি?

সাধারণ মধু আর কালো মধুর বাহ্যিক পার্থক্য রঙে আর ঘনত্বে। কালো মধু তুলনা মূলক কালচে হয়। এতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ায় ঘনত্ব আর পুষ্টি দুটোই সাধারণ মধুর থেকে বেশি থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, বাকউইট ফুলের মধুতে সাধারণ মধুর তুলনায় ২০ গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। কালো মধুতে প্রচুর ফ্রুক্টোজ থাকে। মিষ্টির তীব্রতা সাধারণ মধুর তুলনায় বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণেই বেশি মিষ্টতা মেলে।

আমরা দোকান থেকে যে মধু কিনি তার বেশির ভাগই মৌচাক থেকে সংগ্রহ করার পর পাস্তুরায়ন করা হয়। খাঁটি মধুতে প্রিবায়োটিক, প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ (পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) এবং ভিটামিন (বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ এবং সি) সহ ১৮০টির বেশি পদার্থ রয়েছে। এই উপকারি যৌগ গুলোর বেশির ভাগই পাস্তুরাইজেশনের সময় তাপে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট ফুলের মধু থেকে সৃষ্ট কালো মধু সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয়। ফলে পুষ্টি উপাদান গুলো অক্ষুণ্ণ থাকে।

কালো মধু রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তারুণ্য ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বিভিন্ন রোগের সঙ্গে শরীর সহজে লড়াই করতে পারে।

দুই ধরনের মধুই উপকারি। কোনটি খাবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনার। সাধারণ চা বা অন্য পানীয়তে চিনির বদলে মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে বেছে নিতে পারেন হালকা বা সাধারণ মধু। আর আপনি যদি সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি পুষ্টিকর কিছু খেতে চান তবে কালো মধু খান। মজবুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মিলবে এতে।

ব্ল্যাক হানি বা কালো মধু পাবেন কোথায়?
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মধু খুঁজে পাওয়াটাই কঠিন। সে ক্ষেত্রে কালো মধুর খোঁজ মেলা আরও জটিল বটে। তবে ইন্টারনেটের কল্যাণে বর্তমানে আমাদের দেশে এই মধুর চাহিদা বেড়েছে। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনায় কিছু বিদেশি ব্র্যান্ড দেশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার স্টোর, ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স সাইট ব্ল্যাক হানি এনেছে। এছাড়া দেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড, ‘কারকুমা’ ব্র্যান্ড নামে অর্গানিক ব্ল্যাক হানি বাজার জাত করছে। এটি ইউএসডিএ অর্গানিক সার্টিফাইড। লেভেল ও উৎস দেখে পছন্দ মতো জায়গা থেকে ব্ল্যাক হানি কিনতে পারেন।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত কমিটি বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত ১০ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল।

এই কমিটিতে থাকা এক শিক্ষা গবেষক ও ঢাবির দুই অধ্যাপককে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ পালিত হয়। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন-ও এই কমিটির বিষয়ে আপত্তি তোলে।

এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এরপর আজ শনিবার পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিলের কথা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১২ জন। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে তারা প্রাণ হারান। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে অবিরাম বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে এবং শনিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্যোগে আরও ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ৯৯ জন নিহত, ৬৮ জন নিখোঁজ এবং আরও ১০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু পোস্টের স্থানীয় সংবাদদাতাদের প্রাপ্ত তথ্য এবং নেপাল পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তরের নিশ্চিত হওয়া তথ্যে দেশব্যাপী ১১২ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাভরে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে ৭ জন, ভক্তপুর ও পাঁচথারে ৫ জন, সিন্ধুপালচোকে ৪ জন, দোলাকায় ৩ জন, ধনকুটায় ২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচথার, ঝাপা, মহোত্তারি, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, কাভরে, সিন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচোক, দোলাখা এবং রূপানদেহি জেলায় অন্তত ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে পার্বত্য এই দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়র কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



পাকিস্তানের বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণ, ২ চীনাসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের জেরে ২ জন চীনা এবং একজন পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। রোববার রাতে ঘটেছে এই ঘটনা।বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বোমাটি আইইডি ধরনের ছিল বলে জানিয়েছেন করাচি পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “বোমাটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। করাচির বহু এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।”

এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে সোমবার সকালে এক বিৃবতিতে পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস বলেছে, নিহত দুই চীনা নাগরিক করাচির বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প পোর্ট কাসিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। ছুটি নিয়ে দেশে আসার জন্য বিমানবন্দরে এসছিলেন তারা, তারা বিমানবন্দরে আসার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ।বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করে এর যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওয়াতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।

করাচি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে বিমানবন্দরে অবস্থানরত অন্তত ৭টি গাড়িতে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে গিয়েছিল। করাচি পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক আজফার মাহেসার জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের জন্য কারা দায়ী, তা এখনও জানা যায়নি এবং বিস্ফোরণের যে ধরন, তাতে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে সময় লাগবে।এদিকে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে জিন্নাহ বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দিয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ।


আরও খবর



পাকিস্তানের বিপক্ষে বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

জয় পেতে কেবল ১০৬ রান দরকার ছিল ভারতের। হারমানপ্রীত কৌরদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের জন্য এই লক্ষ্যটা তেমন সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। তবে সেটা তাড়া করতেই ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হলো ভারতকে। বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণ কামব্যাক করেছে হারমানপ্রীতরা। পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ভারতীয় নারীরা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার প্রথমে ব্যাটিং করে ভারতকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ ওভার ৫ বলে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত।


আরও খবর

১২ বছর পর ফাইনালে ব্রাজিল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




পাচারের অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে সরকার।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এবার টাস্কফোর্সকে নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং প্রথমবারের মতো এ টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে।

পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য কমিয়ে সভাপতিসহ ৯ জন করা হয়েছে। এতদিন টাস্কফোর্সের জন্য আহ্বায়ক কমিটি ছিল, যার আহ্বায়ক ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আর কমিটি ছিল ১৪ সদস্যের।

পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ; আইন ও বিচার বিভাগ; দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক); পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি); অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়; জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধি থাকবেন। উপযুক্ত প্রতিনিধি বলতে কী বোঝানো হয়েছে, অর্থাৎ কোনো সদস্য কোন পর্যায়ের কর্মকর্তার নিচে হবেন না, প্রজ্ঞাপনে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

নতুন টাস্কফোর্স থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে (বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ)।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বাড়ানো হয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি। এত দিন কার্যপরিধিতে তিনটি বিষয় থাকলেও এবার করা হয়েছে ছয়টি। এগুলো হলো বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিত করা; পাচার করা সম্পদ উদ্ধারে হওয়া মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করা ও তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া; বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া; জব্দ বা উদ্ধার সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া; এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্য আহরণ করা এবং পাচার করা সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।



আরও খবর