Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি শনাক্তের পরও খালাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রাম কাস্টমসে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। আমদানি পণ্যের বিবরণে তুচ্ছ ভুল বা ওজনে সামান্য হেরফেরের কারণে ক্ষুদ্র আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। অথচ শনাক্তের পরও আমদানি নিষিদ্ধ ১৪ হাজার কেজি ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লোমেট) খালাসের অনুমতি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এ পণ্য খালাসে জড়িতদের শনাক্তে গঠিত তদন্ত কমিটি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পায়নি! পুরো ঘটনাকে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের দুর্বলতা এবং মানুষের ‘মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতা’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনিয়মের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তাকে প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। যুগান্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০২২ সালে ঢাকার মিটফোর্ডের একটি বাণিজ্যিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ২০ হাজার ১৬০ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাউডার (চুনাপাথর) আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআইআর (গোয়েন্দা) শাখা পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখতে পায়, চালানে ১৪ হাজার কেজি ঘনচিনি এবং ৬ হাজার কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাউডার রয়েছে। এ ঘটনায় এআইআর শাখা থেকে আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও জেটি সরকারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সেই পণ্য পরে ছাড় করা হয়।

ঘনচিনি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমদানি নীতিতে নিষিদ্ধ। ২০০৬ সালে ঘনচিনির ব্যবহার ও আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। ঘনচিনি চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি; দামও কম, স্বাদ প্রায় চিনির মতোই। ঘনচিনির ব্যবহার ক্যানসার ঝুঁকি বাড়ায়। মানব হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় একে মাইয়োকার্ডিয়াল ক্যালাসিফিকেশন বলা হয়। এটি শুধু হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির ক্ষেত্রেই ঘটে তা নয়; বরং মূত্রথলিসহ দেহের অন্যান্য পেশিতে এ ঘটনা ঘটে। সেক্স ক্রোমোজমের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত অস্বাভাবিক সন্তানের জন্ম হতে পারে। ঘনচিনির ব্যবহারে পুরুষের অণ্ডকোষের ক্ষতি হয়, টেস্টস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাতে পুরুষত্বের হানি ঘটতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। তার ফলে সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা সৃষ্টি হতে পারে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে ১২টি প্যাকেটজাত ও ৪টি খোলা চিনির নমুনা সিঙ্গাপুরের প্যাসিফিক ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে তাতে সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনির অস্তিত্ব পাওয়ার দাবি করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পণ্য চালান বন্দরে পৌঁছানোর দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি (বি/ই) জমা না দেওয়ায় সন্দেহবশত এআইআর চালানটি লক করে। কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে নমুনা উত্তোলন করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে ঘনচিনির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ কারণে এআইআর বিল অব ল্যাডিং (বি/এল) লক করে এবং ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর টার্মিনাল ম্যানেজারকে কনটেইনারটিকে বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা হেফাজতে রাখতে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২৭ নভেম্বর কমিশনার ফাইলে মামলার সিদ্ধান্ত দেন।

যেভাবে পণ্য খালাস নেওয়া হয় : ফৌজদারি মামলার সুপারিশের প্রায় ৩ মাস পর কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় ও পরামর্শে আমদানিকারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট কৌশলে পণ্য খালাস নিতে এআইআর শাখায় ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বি/এল আনলক করার আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এআইআর শাখা নতুন আরেকটি ফাইল খুলে বি/এল আনলকের পর নিয়ম অনুযায়ী বি/ই নোটিং করে এবং পরে সেই বি/ই লক করা হয়। ২১ জানুয়ারি কায়িক পরীক্ষার জন্য নমুনা উত্তোলন করা হয়। স্যাম্পল চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে রাসায়নিক পরীক্ষায় আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া যায়, অর্থাৎ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাউডার পাওয়া যায়। এমনকি পরে শুল্ক গোয়েন্দার কায়িক পরীক্ষায়ও ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া যায়। কায়িক পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৬ ফেব্রুয়ারিতে পণ্য খালাস দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পণ্য খালাসে ৪টি নথি খোলা হয়। এআইআর শাখার একটি নথি খোলা হয় বি/এল নম্বর দিয়ে। ঘনচিনির অস্তিত্ব পাওয়ার পর বি/এল লক করে সেই নথি এআইআর শাখা থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শুল্কায়ন শাখায় পাঠানো হয়। প্রায় এক মাস পর আরেকটি নথি খোলা হয়, আমদানিকারকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বি/এল আনলকের জন্য। এ নথির মাধ্যমে বি/এল আনলকের পর বি/ই নোটিং করে আবারও লক করা হয়। পরে শুল্কায়ন শাখার কায়িক পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মালামাল খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। যে রিপোর্টে আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য পাওয়ার কথা নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

পণ্য খালাস নেওয়ার পর ২০২৩ সালের ৩১ মে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে এআইআর শাখা তৎকালীন উপকমিশনার সাইফুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল, আমদানিকারককে নজরদারিতে রাখা এবং এআইআর শাখার তৎকালীন শাখা সহকারীকে বরখাস্তের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাখা সহকারীকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হলেও পরে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। পরে ১৩ জুলাই উপকমিশনার এইচএম কবিরকে আহ্বায়ক করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল অব এন্ট্রির (বি/ই) মতো বিল অব ল্যাডিং (বি/এল)-এর কনটেইনার কায়িক পরীক্ষার পর অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে ইনপুট দেওয়ার মতো ইন্সপেকশন অ্যাক্টের ব্যবস্থা নেই। ফলে বি/এল লকের পর কায়িক পরীক্ষার বিষয়টি অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে পাওয়া যায়নি। এটা অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের বড় দুর্বলতা। এ দুর্বলতার সুযোগে ঝুঁকি নিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট বি/এল আনলকের জন্য আবেদন করেন এবং পরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুল্কায়ন সম্পন্ন করে পণ্য খালাস নেয়। এতে আরও বলা হয়, প্রতি মাসে এআইআর শাখায় ১০০টি নথি এবং শুল্কায়ন শাখায় এক হাজার নথি খোলা হয়। কোন নথিতে কী নির্দেশনা রয়েছে, তা মনে রাখা মনুষ্য ব্রেনের পক্ষে অসম্ভব। তাছাড়া ৪টি নথিতে কমন কোনো কর্মকর্তার সই পাওয়া যায়নি। তাই আলোচ্য জালিয়াতির সঙ্গে কাস্টমসের কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে দোষ চাপানো হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা কনটেইনার এআইআর শাখার লিখিত নির্দেশনা ছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কিপডাউন (নামানো) করেছে এবং কিপডাউনের পর এআইআর শাখার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা হেফাজতের বিষয়টি অবহিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফাইজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির অধিক্ষেত্রাধীন ভ্যাট কমিশনারেটে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির গোডাউন পরিদর্শন করে তারা কী ধরনের পণ্য আদমানি ও বিক্রি করে তা জানাতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

এক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে কলকাতার পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড। গত কয়েক বছরে একাধিক অভিনেত্রী অবশ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করে এসেছেন পরিচালক। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরিন্দমের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তা হতে হয়েছে তাকেও। অরিন্দমের বিরুদ্ধে যে অভিনেত্রী মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাকে প্রথমেই অভিবাদন জানিয়েছেন সুদীপ্তা।

পাশাপাশি অরিন্দমের সঙ্গে একাধিক কাজ করলেও কখনও তার সঙ্গে হেনস্তার অভিজ্ঞতা ঘটেনি বলেই জানান তিনি। যদিও বহু বছর ধরে অন্য নারীদের অভিযোগের কথা যে কানে এসেছে, সে কথা জানালেন সুদীপ্তা। ভারতীয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘অরিন্দমদার সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। আমার সরাসরি তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু প্রচুর মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা শুনেছি। এটা আমার ভুল যে এর বিরুদ্ধে সরব হইনি। তবে ওই মেয়েটিকে অভিবাদন জানায়, যিনি মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছেন।’অরিন্দম নিজের ভুল স্বীকার করেছেন জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা জেনে ভাল লেগেছে যে, অরিন্দমদা নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটাও সাধুবাদ জানানোর মতো। অভিনন্দন জানাব ওই মেয়েটিকে। অন্য মেয়েদের বলব কাজ হারানো টাকা না পাওয়ার ভয় কাটিয়ে প্রকাশ্যে আসতে এবং তারা সেটা করছেন। এগুলো নিয়ে যে কথা হচ্ছে, সেটা খুব ভালো বিষয়।’

অভিনেত্রীর কথায়, ‘একজন মেয়েকে অশালীন ভাবে ছোঁয়ার বিষয় নয়। এখানে মেয়েদের শরীর নিয়ে কথা বলা হয়। মহিলাদের হেয় করা হয়। নোংরা গালাগালি দেওয়া হয়। শুনি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই গালিগালাজ করাটাই প্রথা। কত ছোট ছোট মেয়েরা কাজ করে, তাদের অভিভাবকরা এসব দেখে ভয় পেয়ে যান! এবার এই কালচারটা বন্ধ হওয়ার সময় এসেছে।’


আরও খবর

আফ্রিদিকে হুমকি দিতেন ডিবি হারুন

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সবজির বাজারে অনেকটাই স্বস্তি,চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের দামে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে চাল, ডালসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম অনেক বাড়ে। সেই দর এখনও কমেনি।


 তাবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফলে দুশ্চিন্তা কাটছে না ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থাৎ মিল ও পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ তদারকি করলে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে।


বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বিক্রি হয় ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু বা মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।


রাজধানীর এক রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘এখন পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক। পণ্য আনা-নেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে না। তবু মিলাররা চালের দর বাড়িয়েছেন। সরকার মিলগুলোতে তদারকি করলে দাম কমে আসবে।’


এদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম কমছে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে পেঁপের কেজি ছিল ৭০ টাকা। পটোল, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। 


সপ্তাহদুয়েক আগে এসব সবজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার ৭০ টাকা কেজিতে বরবটি, বেগুন ও শসা বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এসব সবজি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কাঁচামরিচ কোথাও ২০০ আবার কোথাও ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


আলুর দর কিছুটা কমেছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন। পাড়ামহল্লায় বিক্রি হচ্ছে আরেকটু বেশি দরে। মাসখানেক আগে আলুর কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। রাজধানীর তেজকুনিপাড়ার সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির দর কমেছে। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও দর কমিয়েছেন।’


বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। আমদানি পেঁয়াজের কারণে দেশি পেঁয়াজের দর সামান্য কমেছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এর কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তবে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর আলু-পেঁয়াজের দর বেশি।


ডিমের ডজন ১৭০ টাকা থেকে কমে সম্প্রতি ১৪৫ টাকা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। তবে সোনালি জাতের মুরগির দর কমেছে।


 এটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এর কেজি ছিল ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। গরুর মাংস এত দিন ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সম্প্রতি তা অনেক জায়গায় ৭৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


ইলিশের ভরা মৌসুম এখন। ফলে দাম অনেক কম থাকার কথা। কিন্তু ইলিশের দাম তেমন কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে কমবেশি দেড় হাজার টাকা। আধা কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বেসরকারি চাকরিজীবীরা বলেন, চালের দর কমানো বেশি জরুরি। কারণ ভাতের বিকল্প নেই। সবজির মতো চালের বাজার তদারকির দাবি জানান তারা।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image


আদালত  রিপোর্টারঃ


রাজধানীর উত্তরা থেকে ২০১৫ সালে এক আইনজীবীকে অপহরণ করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এ আদেশ দেন। এদিন দুপুরে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ভুক্তভোগী আইনজীবী সোহেল রানা।



বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‍্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আপিল বিভাগের চার বিচারপতি শপথ নেবেন আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image



আদালত প্রতিবেদকঃ


সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।



সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।



প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাঁদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। 


শপথ গ্রহণের দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


এসব বিচারপতি নিয়োগ কার্যকরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে ছয়জনে।




আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমার মায়ের মতো একই পরিণতির হুমকি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে: সজীব ওয়াজেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা:


জনতা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমার মায়ের মতো একই পরিণতির হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।


সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের একটি বড় দল হিসেবে পুনরায় সংগঠিত হতে বললেন একই সাথে এ দেশের স্বাধীনতা যে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে সেটাও উল্লেখ করলেন। 


তার এই সৎ পরামর্শ কোনভাবেই মেনে নিতে পারলো না সেই একই 'মব', উল্টো তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমার মায়ের মতোই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকিও দিলো।


সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগকে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছাতে বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। 


এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও তাদের সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি। 


একইদিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা উপদেষ্টাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন, আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন।


 খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচার পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না।


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার তাড়ানোর পরদিন থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জনতা তা দমন করি, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি৷


 আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেবো না।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪